পাল্টাপাল্টি অভিযোগে চরম উত্তপ্ত খুলনার রাজনীতি

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গনসমাবেশ শেষ হলেও দুই দলের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ। খুলনার রাজনীতিতে বিরাজ করছে চরম উত্তপ্ত অবস্থা। গণসমাবেশের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। নেতৃবৃন্দরা বিএনপিকে কড়া হুশিয়ারী দিয়ে বলেন,সরকার পতনের নামে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালালে জনগগনকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে ওইদিন বিকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে খুলনা বিএনপি নেতারা বলেন,গনসমাবেশ বানচাল করতে শাসক দলের ছাত্রলীগ,যুবলীগ নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে।তারা অবৈধ অস্ত্র,হকিষ্টিক,রামদা,রড,লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।গনসমাবেশের আগের রাতে প্রায় ২০০ নেতাকর্মীকে বিনা কারনে গ্রেফতার করে এবং গন পরিবহন বন্ধসহ নানান ধরনের বাধা সৃষ্টি করে গনসমাবেশ বানচালের পায়তারা করেছে শাসকদল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম মনা বলেন, বাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস জানিয়েছেন, কোন পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে তা আমি জানিনা। আর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেছে, শ্রমিক ইউনিয়ন কোন ধর্মঘট ডাকেনি। শফিকুল আলম মনা বলেন, মূলত সরকারের চাপে বিএনপির গণসমাবেশকে বানচাল করতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয় ।
জানা যায়, সমাবেশের দিন খুলনা রেলস্টেশন ভাঙচুরের ঘটনায় গত রবিবার বিএনপির ১৫০জন তোকর্মীর নামে মামলা করেন স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার।তিনি জানান, রেলস্টেশন প্রধান গেটে অবস্থান করা নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সরে যেতে বলা হলে তারা উত্তেজিত হয়ে দরজা-জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। এদিকে খুলনা ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিএনপির ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কাজী মোবাক্ষের।৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০-২০০ জনকে বেনামি করে এ মামলা করা হয় বলে জানা যায়।
খুলনা নগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুর আলম মনা বলেন,নগরীর দেীলতপুর,খালিশপুর,জোড়াগেট,শিববাড়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে শাসকদল আওয়ামীলীগ ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে।তারা সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যে এবং সাধারন মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করতে সমাবেশের দিন ও পূর্বেরদিন লাটিসোটা নিয়ে হামলাসহ বাইক মহড়া দিয়েছে,বিএনপির নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করেছে।তাদের হামলায় প্রায় ২০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নামেই মামলা করেছে।
অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য, হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন,বিএনপির স্থানীয় দুই গ্রুপের কোন্দলে নিজেদের মধ্যে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।আর এই বিষয়টি বিএনপি আওয়ামীলীগের ওপর চাপাতে চায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এমএসএম / জামান

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
