ঢাকা রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ পুরস্কার দেবে দি অ্যাম্বাসেডর প্রকাশনী


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১-১০-২০২২ রাত ১০:৩৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন স্মারক পুরস্কার- "শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ" ঘোষণা করছে প্রকাশনী সংস্থা দি অ্যাম্বাসেডর। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী  ব্যক্তি ও সংস্থা, পিপিপি সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং উন্নয়ন সংগঠন বা ব্যাক্তি পর্যায়ে দেয়া হবে এই পুরস্কার।

দি অ্যামবাসেডর প্রকাশনীর কর্ণধার শামীম আহমদ এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে বলছেন,- জাতির পিতার দেখানো পথে অপ্রতিরোধ্য ছুটে চলা বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই এই মুহূর্তে এমন পুরস্কার অপরিহার্য এবং প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনার দর্শনে আছে মানুষের প্রতি বিশ্বাস-ভালোবাসা, সততা, দক্ষতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতার বিশেষ গুণ। তার কর্ম ব্রত ও হিমালয়সম দৃঢ়তা তাকে স্থান দিয়েছে মহাকালের অনন্তযাত্রায়। তাই নানাভাবে তার সৃষ্টি কর্ম মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সাহসিকতা ও মানবতার রাজনীতিতে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি এখন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেছেন। তার চলার পথ সবসময় মসৃণ ছিলো না, নানা বাধা-বিপত্তি, বৈরিতা এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে। অদম্য মনোবল, সাহস এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে দেশ এবং প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই আজ বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার নাম ছড়িয়ে আছে মানবিক নেতা হিসেবে। শেখ হাসিনা মানেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক। জাতির পিতার রক্ত, স্বপ্ন, দ্রোহ আর বেদনা বুকে ধারণ করে তিনি হয়েছেন বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্নসারথি। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শামীম আহমদ বলছেন, এই পুরস্কার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ইতিহাস সংরক্ষণের পুরস্কার। পুরস্কারটি ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশের প্রতীক। 

সংকটকালে দাঁড়িয়েও ‘আরও সবুজ, আরও পরিচ্ছন্ন এবং আরও নিরাপদ’ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেন। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। তাকে বলা হয় বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থানের একমাত্র কারিগর। বিশ্বমানচিত্রে শান্তির দূত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ও সুরক্ষা নিশ্চিতে তাদের জন্য আলাদা অবকাঠামো নির্মাণ করে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপসহীন। 

ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, ৯৯.৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৪.৭ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারীনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে আকাশচুম্বী সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো এবং ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন, কৃষিতে নতুন নতুন গবেষণা, শিল্পায়নের অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতটাকে উন্মুক্ত করে দেয় আ.লীগ সরকার। প্রতিষ্ঠা করে কর্মসংস্থান ব্যাংক। শিল্পায়নে বড় শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্প, কুটির শিল্প, বাজারি শিল্প বিভিন্ন ধরনের শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে। বেড়েছে কর্মসংস্থান। স্বল্প পুঁজি দিয়েই মানুষ উৎপাদন করতে পারছে। বাজারজাত করতে পারছে। বেড়েছে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা। শিল্প খাতের উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের আয় বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি আমাদের নারী সমাজের অগ্রগতি সবই সম্ভব করেছে শেখ হাসিনা সরকার। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে।

এমএসএম / এমএসএম