ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

কারখানার ভেতরে ও বাইরে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি


রূপগঞ্জ প্রতিনিধি photo রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১-৭-২০২১ বিকাল ৭:২

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৫২ জন নিহত হয়েছেন। লাশের অপেক্ষায় স্বজনদের কান্না যেন থামছেই না। রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে কারখানার সামনে ও কারখানার বাইরে নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। স্বজনদের একটাই দাবি, সকলেই যেন তাদের স্বজনদের লাশ দ্রুত ফিরে পেতে পারে। আর এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা। এ মর্মান্তিক ঘটনায় রূপগঞ্জের চারপাশ শোকাহত। স্বজনদের কান্নায় কারখানার চারপাশ ভারি হয়ে উঠেছে। স্বজনরা সকলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডিএনএর নমুনা দিয়ে আসেন। তবে তিন সপ্তাহ পর লাশ শনাক্ত হবেবলে জানিয়েছে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ।

অগ্নিকাণ্ডে ভবনের চতুর্থ তলার নিখোঁজ সেলিনা আক্তার (১৩)-এর বোন ও বাবা সেলিম মিয়া ‍এখানে ‍আসেন। মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সেলিম মিয়া। বারবার দৌড়ে চলে যান ওই ভবনটির সামনে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, একবার মাইয়াডারে তোমরা দেখতে দেও বাবা। আমার মাইয়ারে কেন কাজে পাঠাইলাম।’

পাগল হয়ে কারখানার সামনে ঘুরছিলেন কম্পা রানী বর্মণের মা সুমা রানী বর্মণ ও তার পরিবারের লোকজন। তাদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল সন্ধ্যায়। কম্পা রানীর শেষ কথা হয়েছিল ’মাগো আমারে বাচাঁও। আমি শ্বাস লইতে পারতাছি না। আমি বুঝি তোমাগো দেখতে পারমু না।‘

কারখানার বাইরে কাদঁছিলেন নিখোঁজ তুলি আক্তারের মা ও বাবা আব্দুল মান্নান ‍এবং এক মধ্য বয়সী নারী। বলছিলেন, ‘একবার মা কইয়া ক আমারে। আমি তোরে ছাড়া কেমনে থাকমু। কারখানার মালিকরা সবটি গেট বন্ধ কইরা দিছিল। প্রত্যেকটা গেট তালা দিয়ে সবটি মানুষটিরে মারছে।’

এদিকে, রোববার সকালে গিয়েও ওই ভবনটি থেকে ধো‍ঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ভবনটির বেশকিছু অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনের পলেস্তরা ও বেশকিছু অংশ ধসে পড়েছে। ফাটল দেখা দেয়ার কারণে ভবনটিকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দেয়। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটির আশপাশে থাকা বসবাসকারী সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে।

ভবনটির পাশে বসবাসকারী টিটু মিয়া জানান, শুনেছি ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এতে আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এ কারণে ভবনটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভেঙে ফেলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে, ভবনের কিছু অংশে এখনো ধোঁয়া উঠতে থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের কোনো কর্মীকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। নতুন করে আবার ধোঁয়া উঠতে দেখেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে রূগপঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে ৫২ জন নিহত হন। চতুর্থ তলাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকায় ওখানকার কোনো শ্রমিকই বের হতে পারেননি। ওই তলা থেকে ৪৯টি ম‍ৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩০ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। এ ঘটনায় তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ আগুনের ঘটনায় ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজিম উদ্দিন মজুমদার বাদী হয়ে হাসেম ফুডের চেয়ারম্যান আবুল হাসেমসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিল্ডিং কোড না মেনে অব্যবস্থাপনায় এ ভবনটি নিমার্ণ করা হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি নির্মাণের সময় কোনো নিয়মই মানেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ ও গণসংহতির পরিষদের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

এমএসএম / জামান

শালিখায় তিলাওয়াতুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

বীজ কিনে প্রতারণার শিকার কৃষক শফিকুলের ১০ বিঘার ধানে চিটা

শিবচরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহাদাত গ্রেফতার

ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চার শ্রমিক নিহত

পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

শাজাহানপুরে বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত

পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ব্রহ্মপুত্র তীরের কাশফুলের খর: অর্থনৈতিক উৎসে পরিণত

ধামইরহাটে জর্ডানে নারী কর্মী পাঠাতে প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মশালা ও জব ফেয়ার

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে ৭৮ লাখ চক্ষু পরীক্ষা ও ৪৫ লাখ লোকের চিকিৎসা করেছে অরবিস