ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

খুমেকে ফের সক্রিয় দালাল চক্র


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ১৩-১১-২০২২ দুপুর ২:৪১

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফের সক্রিয় দালাল চক্র। সম্প্রতি র‌্যাব-৬ খুমেক থেকে দালাল আটক করার পর কিছুদিন চক্রটি নিস্ক্রিয় থাকলেও পুনরায় প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজিসহ বিভিন্ন বিভাগে সক্রিয় হওয়ার জাল বুনে চলেছে। প্রশাসন নিস্ক্রিয় থাকায় দালাল চক্র সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপণ করছে প্রশাসন। 

চলতি বছরের আগস্ট মাসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে থেকে ৩২ দালালকে আটক করে। অভিযানের পর দালাল চক্রটি নিস্ক্রিয় থাকলেও আবার মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠছে। এই দালাল চক্রের কারণে দূর থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা প্রতারিত হয়ে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর থেকেও আস্থা হারিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে খুমেক সরকারি প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব দালাল রোগীপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা আত্মীয়স্বজনকে কম খরচে চিকিৎসার কথা বুঝিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

বহির্বিভাগে রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করতে আসা দীঘলিয়া উপজেলার বাসিন্দা জামাল গাজী জানান, খুব সকালে হাসপাতালের ভেতর এক্স-রে করতে এসে অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় এক লোক তার বাড়ি কোথায়, কী করেন ইত্যাদি জানতে চান। তারপর জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে আর কেউ এসেছে কি-না এবং হাসপাতালে তার কোনো আত্মীয় আছে কি-না। দালাল চক্রের সদস্য পরে তাকে বলে যে, হাসপাতালের পরীক্ষা সরকারি পরীক্ষা বলে দায় সারাভাবে করা হয়, সঠিক হয় না। বাইরে থেকে ভালো পরীক্ষা করা যায়, তার সঙ্গে গেলে খরচও বেশি লাগবে না। জামাল গাজী বুঝতে পারেন লোকটি দালাল চক্রের সদস্য বিধায় ফাঁদে পা দেননি।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান ফের দালাল চক্রের উপদ্রবের কথা স্বীকার করে দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। হাসপাতাল পরিচালনার প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে সারাদিন আমরা দালাল ধরার জন্য সময় ব্যয় করলে হাসপাতাল পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটে। তবে আমরা চেষ্টা করি রোগীদের সচেতন করার। কিন্তু দূর থেকে আসা রোগীরা না বুঝে অনেক সময় এদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ডিসি অফিসসহ প্রশাসনের কাছে আমরা বলেছি স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সেই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লোকসানের সম্মুক্ষীন হচ্ছে।

এমএসএম / জামান

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত