খুমেকে ফের সক্রিয় দালাল চক্র
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফের সক্রিয় দালাল চক্র। সম্প্রতি র্যাব-৬ খুমেক থেকে দালাল আটক করার পর কিছুদিন চক্রটি নিস্ক্রিয় থাকলেও পুনরায় প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজিসহ বিভিন্ন বিভাগে সক্রিয় হওয়ার জাল বুনে চলেছে। প্রশাসন নিস্ক্রিয় থাকায় দালাল চক্র সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপণ করছে প্রশাসন।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে র্যাব অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে থেকে ৩২ দালালকে আটক করে। অভিযানের পর দালাল চক্রটি নিস্ক্রিয় থাকলেও আবার মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠছে। এই দালাল চক্রের কারণে দূর থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা প্রতারিত হয়ে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর থেকেও আস্থা হারিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে খুমেক সরকারি প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব দালাল রোগীপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা আত্মীয়স্বজনকে কম খরচে চিকিৎসার কথা বুঝিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
বহির্বিভাগে রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করতে আসা দীঘলিয়া উপজেলার বাসিন্দা জামাল গাজী জানান, খুব সকালে হাসপাতালের ভেতর এক্স-রে করতে এসে অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় এক লোক তার বাড়ি কোথায়, কী করেন ইত্যাদি জানতে চান। তারপর জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে আর কেউ এসেছে কি-না এবং হাসপাতালে তার কোনো আত্মীয় আছে কি-না। দালাল চক্রের সদস্য পরে তাকে বলে যে, হাসপাতালের পরীক্ষা সরকারি পরীক্ষা বলে দায় সারাভাবে করা হয়, সঠিক হয় না। বাইরে থেকে ভালো পরীক্ষা করা যায়, তার সঙ্গে গেলে খরচও বেশি লাগবে না। জামাল গাজী বুঝতে পারেন লোকটি দালাল চক্রের সদস্য বিধায় ফাঁদে পা দেননি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান ফের দালাল চক্রের উপদ্রবের কথা স্বীকার করে দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। হাসপাতাল পরিচালনার প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে সারাদিন আমরা দালাল ধরার জন্য সময় ব্যয় করলে হাসপাতাল পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটে। তবে আমরা চেষ্টা করি রোগীদের সচেতন করার। কিন্তু দূর থেকে আসা রোগীরা না বুঝে অনেক সময় এদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ডিসি অফিসসহ প্রশাসনের কাছে আমরা বলেছি স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সেই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লোকসানের সম্মুক্ষীন হচ্ছে।
এমএসএম / জামান
চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন এর দিনব্যাপী প্রশাসনিক কার্যক্রম
বাগেরহাট টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নব-নির্মিত ৫ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর
কুমিল্লা-৯ আসনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
কুমিল্লায় প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় শাড়ি জব্দ
নিসচার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জয়পুরহাটে র্যালি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষকদের পদসোপান আন্দোলন: দুই বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত
কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া
ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন : শফিকুর রহমান
আমরা হিন্দু-মুসলিম নয় আমরা বাঙ্গালী এটাই আমাদের পরিচয়ঃ মহিত তালুকদার
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মুজিবনগরে দোয়া মাহফিল
ময়মনসিংহ রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, পিতার আহাজারি