জেলা রেজিষ্টার অফিসে অভিযোগ
তাড়াশে বিয়ের রেজিষ্টারে কাবিনের টাকা আকাশ ছোঁয়া
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের রেজিস্টারে কাবিনের টাকা আকাশছোঁয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা নিকাহ রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি।
২০১৭ সারের ১ সেপ্টেম্বর উপজেলার তাড়াশ পৌরসভার উলিপুর গ্রামের মো. আরশেদ আলীর ছেলে মো. মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মো. আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয়। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার মো. মোবারক হোসেন কাজী বিবাহ রেজিষ্টারে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে লিপিবদ্ধ করেন। এর পর থেকেই ছেলে মো. মোতালেব হোসেন বিবাহর রেজিষ্টারের নকল কপি চাইলে কাজী মো. মোবারক হোসেন তাল বাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে জোড় দাবিতে বিবাহর নকল চাইলে কাজী মো. মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের জাবেদা দেওয়া যাবেনা। পরে ওই গ্রামের আব্দুল মালেক কাজীর কাছে ফোন দিলে কাজী মো. মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের ভলিয়ম বই কোর্টে জমা দেয়া আছে।
এদিকে কাজী মো. মোবারক হোসেন মোছা. হাবিবা খাতুন (সুমি)’র নিকটতম আপন জন চাচা হওয়ায় মো. আবু বক্কারের সাথে যোগ সাজসে কাবিলের জাবেদানে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বসিয়েছে। এ যেন আকাশ ছোঁয়ার মত । জানা গেছে, নিকাহ রেজিষ্টারে অংকে লিখা হলেও কথায় লিখা হয় নি ঘর ফাঁকা ছিল। মিথ্যা ,জালিয়াতি, দুর্দান্ত,দাঙ্গাবাজ ও প্রতারনা করায় এক পর্যায়ে মো. মোতালেব হোসেন মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জে অভিযোগ করেন।
নিকাহ রেজিস্টারে জালিয়াতি করা হয়েছে মর্মে উলিপুর গ্রামের মৃত কছির খাঁর ছেলে মো. আঃ মালেক,খুটিগাছা গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিঞার ছেলে মো. গোলাম রাব্বানী ও মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আব্দুস সালাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাম সিরাজগঞ্জের নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা দিয়ে বলেন, উলিপুর গ্রামের মো. আরশেদ আলীর ছেলে মো. মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মো. আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয় আলোচনা সাপেক্ষে। সবার মধ্যে আলোচনা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে নিকাহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। বিবাহের সময় কাবিলনামার ১৩নং কলামে দেনমোহরানার ঘর ফাঁকা রেখে নিকাহ
রেজিস্টার কাবিলনামার সকল ঘর পুর করে বর ও কনের স্বাক্ষর গ্রহণ করে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জের মামলা ৮৪/২০২০ তদন্ত করে ১৮-১-২০২১ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন।দাখিলে উল্লেখ করেন কাজী মো. মোবারক হোসেনকে ৩বার নোটিশ করার পরেও তিনি আমার কার্যালয়ে হাজির হন নি। এছাড়াও গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করে দেখা যায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা কাবিল লেখার সময় ইউপি সদস্য বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লেখার সময় ঘর একটু ফাঁকা রাখা হয়। এতে পরিলক্ষিত হয় য়ে, কাজী সাহেব তার নিজের ভাতিজির কারনে দেন মোহরের পরিমান ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করেছেন। এছাড়াও আমার নিকট আরও প্রতীয়মান হয় যে,নামিক বাদি ও বিবাদির স্টাটাস অনুযায়ী ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার দেন মোহর ধার্য করা অস্বাভাবিক। অতিরিক্ত টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এমএসএম / জামান