ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজারে আত্মস্বীকৃত ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মামলার রায় ২৩ নভেম্বর


শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার photo শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১৫-১১-২০২২ বিকাল ৫:৫২

কক্সবাজারে আত্মস্বীকৃত ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর পৃথক দুটি মামলার রায় আগামী ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে মামলার রায়ের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল। এ সময় আদালতে হাজির হওয়া ১৮ জনকে রায় ঘোষণার দিন পর্যন্ত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। একই সাথে পলাতক ৮৪ জনের জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা বারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পৃথক দুটি মামলার রায়ের জন্য ২৩ নভেম্বর নির্ধারিত দিন ধার্য করেছে আদালত। অপরাধ অনুযায়ী রায়ে আসামিদের সাজা হবে। তাই হয়তো রায় না হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে যারা পলাতক আছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এদিকে, আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলী খালী গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে হারুন, লেদার লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, লেদা বেলা কাদেরের ছেলে হুজুর আলম, শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার নুরুল আলম প্রকাশ নুরাইয়া এবং হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার শীর্ষ ইয়াবাকারবারী জামাল মেম্বারের ছেলে শাহ আজম।

সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর শাহ আজমের মাদকের ডেরা থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অথচ তিন বছর আগে তারা মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র ও ইয়াব তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল।

স্থানীয়রা জানান, আত্মসমর্পণের পর ধারণা করা হয়েছিল টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা কমবে। কিছুদিন ভালোও ছিল। কিন্তু সবার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণীত করেছে মাদক কারবারীরা। জামিনে এসে আবারো জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়। অনেকে আবার বাহক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এক কথায় প্রশাসনের কাছে যে শপথ করে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সে শপথ মানছে না তারা। 

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকের ভয়াবহতা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে সরকার। সে মতো নিয়মিত অভিযানও পরিচালনা করা হয়। সরকারের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি বুঝতে পেরে ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ১০২ জন ইয়াবার গডফাদার আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শপথ নিয়েছিল তারা। কিন্তু জামিনে এসে অনেকে তাদের শপথ রক্ষা করছে না। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে পাঁচজনের নামে নতুন করে মাদকের মামলাও হয়েছে। এরপর থেকে আত্মসমর্পণকারীদের নজরদারির আওতায় নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে নেমেছি। এ যুদ্ধের বিরুদ্ধে যারাই যাবে তাদের শাস্তি পেতে হবে।

যেসব আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারিকে কারাগারে পাঠানো হল তারা হলেন- নুরুল হুদা মেম্বার, শাহ আলম, আব্দুর রহমান, ফরিদ আলম, মাহবুব আলম, রশিদ আহমদ, মোহাম্মদ তৈয়ব, জাফর আলম, মো. হাসেম, আবু তৈয়ব, আলী নেওয়াজ, মো. আয়ুব, কামাল হোসেন,  নুরুল বশর, আব্দুল করিম, দিল মোহাম্মদ, মো. সাকের।

এমএসএম / জামান

কোন লুটেরা, চাঁদাবাজ ও বল প্রয়োগকারীকে ভোট দেবেন না; গণসংযোগে রাশেদ খান

খানসামা টিটিসিতে ধর্মীয় বৈষম্য–নির্যাতনের অভিযোগ: জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে তদন্ত আবেদন

কেরুজ ভোটের দাবীতে আন্দোলনের শুরুর দিনেই দুপক্ষের মারামারি

নওগাঁয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ধলু’র উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

নৈয়াইর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাহার

রামগঞ্জে যুবদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে বিএনপি কর্মী খুন

ঠাকুরগাঁওয়ের ফকিরপাড়া থেকে মটরসাইকেল চুরি : মামলা

কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগে সরব জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার

কর্ণফুলী'তে হত্যা'সহ একাধিক মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি সাজু হাসান গ্রেপ্তার

শীতের আগমনে লেপ তোষকের ব্যস্ততা; পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে ধুনকরদের শীতের বাজার

কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

আত্রাইয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সেনা সদস্য নিহত