কাতার বিশ্বকাপ বিশ্বের জন্য নতুন চমক
বিরানব্বই বছরের যাত্রায় অনেক নতুনের জন্ম দিয়েছে বিশ্বকাপ, প্রতি আসরেই সংযোজন হয়েছে নতুন কিছুর। ব্যতিক্রম হবে না এবারও। তবে এবার কাতার বিশ্বকাপে যেন নতুনের মেলা বসেছে। আরববিশ্বে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপে দেখা মিলবে এমন অনেক কিছুর, যা আগের কোনো আসরে দেখা যায়নি। ফিফা বিশ্বকাপের আগের সব আসরই অনুষ্ঠিত হয়েছিল জুন-জুলাইয়ে। নজির বিহীনভাবে এবার সেটা পাল্টে গেছে। খেলা হতে যাচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। মূলত কাতারের তপ্ত জলবায়ুর কারণেই এবারের আসর শীত মৌসুমে সরিয়ে আনা হয়েছে। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের মৌসুমের মাঝে বিশ্বকাপ হওয়ায় খেলার মধ্যেই আছেন ফুটবলাররা, যা প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলের জন্য ভালো হবে। কাতারই মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ, যারা ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। শুধু মধ্যপ্রাচ্যই নয়, আরববিশ্বেও কাতারই প্রথম। এশিয়ায় অবশ্য এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। প্রথমবার হয়েছিল ২০০২ সালে, যৌথভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে। আরববিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেছেন, করোনা মহামারির পর গোটা বিশ্বকে একত্র করার প্রথম বড় টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। আরববিশ্বের ব্যতিক্রমী এক বিশ্বকাপ আয়োজন করতে কাতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।৩২ দেশের প্রতিনিধিত্বে ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিফা বিশ্বকাপের আসর বসছে কাতারে। ১২ বছর আগে ২০১০ সালে তৎকালীন ফিফা প্রেসিডেন্ট জোসেফ ব্লাটার কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই একটির পর একটি ঘুষ কেলেঙ্কারির পর্দা উন্মোচিত হতে থাকে। অর্থকড়ি নানা রকম ব্যবসা জুটিয়ে দেওয়া, সমালোচন কারীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া এ রকম অজস্র অসাধুতা অবলম্বন করে কাতার তার বিশ্বকাপ ভেন্যু ধরে রাখতে সক্ষম হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ঘুষ কেলেঙ্কারি, যা গত বছরগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে, তা কাতারের বিশ্বকাপ ফুটবল উৎসবে নান্দনিকতার চেয়ে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়েছে।
গত ৩০ বছরে ছোট উপসাগরীয় দেশ কাতার খেলাধুলায় বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছে। এ বিশ্বশক্তির হওয়ার পেছনে রয়েছে অনৈতিকতা এবং অর্থকড়ির লেনদেন। বিশ্বদরবারে নিজেদের পরিচিতির জন্য কাতারের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার অংশ হলো কাতার ন্যাশনাল ভিশন ২০৩০। আর এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে গ্যাস এবং তেল রপ্তানির অঢেল পয়সা। ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা বা ফিফা নাইজেরিয়াতে জুনিয়র বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সময় নাইজেরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন অত্যন্ত লোভী এবং নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক সানি আবাচা। তা অবশ্য ফিফার জন্য কোনো সমস্যা ছিল না। তবে জুনিয়র বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে নাইজেরিয়াজুড়ে কলেরা ও মেনিনজাইটিস রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ফিফার তৎকালীন সভাপতি জোসেফ ব্লাটার খুব দ্রুত জুরিখে তাঁর অফিসে বসে জুনিয়র বিশ্বকাপ ফুটবলের নতুন ভেন্যু কাতারের নাম ঘোষণা করে। ১৯৯৮ সালে ফিফা প্রধান হিসেবে জোসেফ ব্লাটার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে আবার সভাপতি নির্বাচিত হন। ফিফার এই নির্বাচনের ভোটারদের ক্রয় করার পেছনে ছিল কাতারের অসাধু অর্থবল। এর পরপরই জোসেফ ব্লাটার কাতারের অন্যতম মিত্র হয়ে দাঁড়ান। সভাপতির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে কাতার ফিফাতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার পর যতটা অবমাননার শিকার হয়েছে, এর আগে অন্য কোনো দেশ ততটা হয়েছে কি? চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে ভেন্যু হিসেবে কাতারকে বেছে নেওয়া ঠিক হয়নি বলে অনেকে সমালোচনা করলেও ইতিপূর্বে এ ধরনের আয়োজক অন্য ছোট দেশগুলো সে ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েনি। যেমন ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ড আয়োজক ছিল। সেখানকার আবহাওয়াও দুর্বিষহ চরমভাবাপন্ন ছিল। কিন্তু তা নিয়ে তখন তেমন কোনো সমালোচনা ওঠেনি।
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিল। ওই অঙ্গরাজ্যে কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে খারাপ বর্ণবাদী দাঙ্গার মাত্র দুই বছর পর সেখানে ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয়। মুসোলিনির শাসনাধীন ইতালিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে; আর্জেন্টিনার নৃশংস সামরিক জান্তার অধীনে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে এর আয়োজন করা উচিত হয়নি-এমন কথা কেউ বলেনি। ব্রাজিলে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের সময় বিদেশিদের নজর থেকে দেশটি দারিদ্র্য আড়াল করতে বহু স্থানীয় গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করেছিল। প্রবলভাবে সমকামী বিরোধীদের উত্থানের মধ্যে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজিত হলেও কাতারের মতো তাদেরও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। এই দেশগুলো যা-ই করুক না কেন, তাদের বৈধ আয়োজক হিসেবেই দেখা হতো বা হয়; কারণ, পশ্চিমে ফুটবলকে শুধু তাদেরই ‘সম্পদ’ হিসেবে মনে করা হয়। বিপরীতে, কাতার যখন আয়োজক হিসেবে সবাইকে টক্কর দিয়ে প্রতিযোগিতায় জিতে গেল, ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে বিষয়টিকে ঘৃণার সঙ্গে দেখা হচ্ছিল। কাতারের এই সুযোগ প্রাপ্তিকে পশ্চিমারা বহিরাগত অভিজাতদের অবৈধ অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখছিল। ২০ নভেম্বর দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়া ইভেন্টের সেই আয়োজক হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে, এরই সুবাদে কাতার ইতিহাস গড়ছে যে এযাবৎকালে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে ছোট দেশ। এই বৈসাদৃশ্যকে উদ্যাপন করতে ফিফা বিশ্বকাপের আগের দুটি বিশাল আয়োজক দেশ ছিল রাশিয়া ও ব্রাজিল। যদিও কাতারকে কূটনীতিকদের চোখে অনেকে সফট পাওয়ার এবং স্মার্ট পাওয়ার হিসেবে এই মুহূর্তে কৃতিত্ব দিচ্ছেন, তবে বিশ্বকাপ ফুটবলকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের চোখে দেখার চেয়ে তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত নজরে দেখতে হবে।
উত্তর-ঔপনিবেশিক পণ্ডিতেরা যুক্তি দিয়েছেন, প্রাচ্যের কোনটি ভালো,কোনটি মন্দ তা ইউরোপ-আমেরিকানদের কল্পনাপ্রসূত সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করে থাকে। এবারের বিশ্বকাপ সেই ভাষ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটা মোক্ষম সুযোগ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের মধ্যে জাদুকরি কিছু আছে। বিশ্বকাপের ২২তম আসরের আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দোহা বিশ্বের সামনে উপস্থাপনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে। এর জন্য তারা হাইড্রোকার্বন শিল্প থেকে উপার্জিত আয়কে দেশের নানা ধরনের অবকাঠামো, বিশেষ করে রাস্তাঘাট, পরিবহন এবং প্রযুক্তির আধুনিকীকরণের জন্য ব্যবহার করেছে।
কাতারিরা দ্রুত নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তির আগ্রহী ব্যবহারকারীতে রূপান্তরিত করেছে। দোহা নিজেকে বলা যায় একটি গ্রাম থেকে একটি ঝকমকে শহরে এবং বিভিন্ন প্রবাসী সম্প্রদায়ের বাসযোগ্য জনপদে পরিণত করতে দ্রুতগতিতে আধুনিকীকরণে ব্যস্ত রয়েছে। এটি এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এমন এক শহর, যা কাতারিদের আরও বেশি ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করেছে; আরও বেশি কানেকটিভিটি দিয়েছে; ই-গভর্ন্যান্স এবং ব্যাংকিং বা স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও অনেক বেশি দক্ষ করে তুলেছে। যদিও ফুটবলের মাঠ আন্তর্জাতিক ঐক্য এবং ক্রীড়াঙ্গনের ভ্রাতৃত্ববোধকে অনুপ্রাণিত করে বলে মনে করা হয়, তথাপি ফুটবলের বৃহত্তম এই কার্নিভ্যালেও আমরা বনাম অন্যরা ধর্মী শ্রেণি বিভক্তি থেকে কাতার রেহাই পায়নি। এই নিরিখেই বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত পশ্চিম একটানা কাতারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী ও কুরুচিপূর্ণ প্রচার চালিয়ে গেছে। কাতারিরা বিদেশিদের সঙ্গে ওঠাবসায় অভ্যস্ত এবং বিশ্বকাপ এটি প্রমাণ করতে তাদের সামনে একটি সুযোগ করে দিয়েছে। পশ্চিমে গৎবাঁধা ধারণা হিসেবে কাতারিদের ধর্মান্ধ মুসলিম মনে করা হয়।তার জের ধরেই সম্প্রতি কাতারের জাতীয় ফুটবল দলকে ব্যঙ্গ করে প্যারিসে ইসলামবিদ্বেষী কার্টুন আঁকা হয়েছে।
কিন্ত তাদের সেই ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করার এবং বহু সংস্কৃতির সঙ্গে সখ্য প্রদর্শনের আরেকটি সুযোগ কাতারের সামনে এনেছে এই বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আনন্দধারায় মৃদু দুঃখের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।বিশ্বকাপ ফুটবলের যে উৎসব উচ্ছ্বাস ও নান্দকিতার ঐতিহ্য, তা ১৫ হাজার শ্রমিকের মানবেতর মৃত্যুর কথা ভাবলে শিউরে উঠতে হবে। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে অবকাঠামো নির্মাণের শীর্ষ সময়ে ৪ লাখ শ্রমিকদের মধ্য শুধু স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ করতেই ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কাতারে বিশ্বকাপের অবকাঠামো তৈরি করতে গিয়ে মানবেতর পরিবেশে কত শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলেছে। ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ৫ হাজার ৯২৭ জন। এই হিসাবের মধ্য ফিলিপাইন ও আফ্রিকার দেশগুলোর শ্রমিকদের বাইরে রাখা হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাতারে ১৫ হাজার ৭৯৯ শ্রমিক মারা গেছেন। তাঁরা কাতার সরকারের অভিবাসী মৃত্যুর রেকর্ড থেকে এই সংখ্যার কথা জানিয়েছে। এসব শ্রমিক কাতারে কাজে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলক ফিটনেস মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। এত শ্রমিকের প্রাণহানির পরও কাতার কর্তৃপক্ষ আজ অবধি তাদের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রাক্কালে অতিথি শ্রমিকদের মৃত্যু বা জলবায়ু সুরক্ষার পরিবর্তে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম এসব বিষয় এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রকৃতপক্ষে, অন্যান্য আরব, এশীয়, আফ্রিকান এবং দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর মতো ফুটবল কাতারে এসেছিল ঔপনিবেশিকতার মাধ্যমে যখন দেশটি ১৯১৬ থেকে ১৯৭১ সালে পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল। ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) যে আদি কোম্পানি থেকে উদ্ভূত, সেই অ্যাংলো-পার্সিয়ান অয়েল কোম্পানি (এপিওসি) ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে কাতারে তেল অনুসন্ধান ও উৎপাদন শুরু করে।
১৯৪০-এর দশকে দেশটিতে ফুটবল খেলা শুরু হয়। উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম ঘাসের পিচসহ ফুটবল মাঠ ছিল দোহা স্টেডিয়াম। দেশটি স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর আগে সেখানে ১৯৬০ সালে লিগ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মজার বিষয় হলো, উত্তর-ঔপনিবেশিকতার গবেষণায় ফুটবল সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি। অথচ সাবেক উপনিবেশের অনেক বস্তি থেকে অনেক ফুটবল তারকার জন্ম হয়েছে। যেমন ব্রাজিলের সাও পাওলো থেকে পেলে; জ্যামাইকার কিংসটন থেকে রহিম স্টার্লিং।আলজেরিয়ার রাবাহ মাদজার থেকে মিসরের মোহাম্মদ সালাহ-এমন অনেক আরব খেলোয়াড় ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে যুক্ত হয়েছেন। এখনকার ফুটবল বিশ্বকাপ সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তির সাংস্কৃতিক অনুকরণে অনুশীলন করা ঠিক হবে না। কিন্তু এখনো ফুটবলে বর্ণবাদ ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটে। পশ্চিমে ফুটবল যখন বর্ণবাদকে মোকাবিলা করার জন্য লড়াই করছে, তখন সম্প্রতি প্যারিসে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় রিচার্লিসনের দিকে বর্ণবাদী আচরণ করে কলা ছুড়ে মারা হয়েছে। কাতারের স্টেডিয়ামে যাতে বিশ্বকাপের সময় এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য অ্যালকোহলমুক্ত স্টেডিয়ামগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। ইউরোপীয় ফুটবল অঙ্গনে অ্যালকোহলঘটিত সহিংসতা, বর্ণবাদ এবং নোংরা ভাষায় গালি দেওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। সে ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য কাতার স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করেছে। তবে তারা খেলাটি উপভোগ করার বিকল্প উপায় রেখেছে, যা কাতারের স্থানীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করবে না। কাতারিরা বিদেশিদের সঙ্গে ওঠাবসায় অভ্যস্ত এবং বিশ্বকাপ এটি প্রমাণ করতে তাদের সামনে একটি সুযোগ করে দিয়েছে যাইহোক, বিশ্বকাপের স্বত্ব পাওয়ার পর থেকেই পুরো কাতারজুড়ে আটটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে ৮০ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম সবচেয়ে বড়। এই স্টেডিয়ামে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল হবে।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
এমএসএম / এমএসএম