ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

মেধাবী হলেই ভালো চাকরি হয় না কেন?


নাসিরউদ্দিন ফুরকান photo নাসিরউদ্দিন ফুরকান
প্রকাশিত: ২-৭-২০২৫ দুপুর ৩:৩১

৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। আশেপাশের গ্রামে ,নিজের আত্মীয় স্বজনের ছেলেমেয়েদের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার খবরে নিজের ছেলেমেয়েদের মেধার মাপকাঠি যাচাই করেন অনেক অভিভাবক। ভাবেন আমাদের আব্দুল ছবদুল তো তাদের চেয়ে ভালো ছাত্র। বিসিএস তো দূরের কথা একটা ছোটখাটো সরকারি চাকরি পেলো না। কত আফসোস তাদের সন্তানের জন্য । অথচ ছেলে অনেক ভালো বেতন পান একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে। আমার কথা হলো ,যারা ছেলেমেয়েদের বড় চাকরি বিসিএস ক্যাডার বানানোর স্বপ্ন দেখেন তারা অনার্স পাস করার পরে আরো ৫ বছর বাপের হোটেলে থাকা খাওয়া ও নিয়োগ পরীক্ষার খরচ রেডি রাখবেন। অনার্স পাস করার পরেই ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ফিডব্যাকের আশা করলে সেই সদ্য পাস ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি চাকরি করে এবং তাদের আর চাকরির জন্য ভালো প্রস্তুতি নেয়া হয় না। দেখবেন ক্লাসে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর চেয়ে চতুর্থ পঞ্চম হওয়া শিক্ষার্থী অনেক সময় ভালো চাকরি পান। এর অন্যতম কারণ তার পরিবার তাকে কী কী সুযোগ দিয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পরীক্ষা দিতে ৪/৫ বছর যে শ্রম ও খরচ হয় তা ১৮ বছর শিক্ষা জীবনের কাছাকাছি। আমাদের দেশের অভিভাবকদের ধারণা পড়াশোনা করে চাকরি ই করতে হবে। তারা পড়াশোনা শেষ হলেই চাকরির টাকা দেখার আশায় থাকেন। যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের কাছে শুনুন পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে তারা কী কী করেছেন ,কত বছর লেগেছে। আর একটি বিষয় , অর্থ উপার্জনের সাথে লেখাপড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ক্লাসের সবচেয়ে ব্যাক বেঞ্চার শত কোটি টাকার মালিক বনে যায়। অনেকেই ইন্ডাস্ট্রি করে আর প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী সেই ইন্ডাস্ট্রির কর্মচারী হয় এমন নজীর অনেক আছে। অর্থ বিত্ত উত্তরাধিকার সূত্রে অনেকেই এতো পরিমাণ পেয়ে থাকেন যা একশ চাকরি করে উপার্জন সম্ভব নয় কিন্তু জ্ঞান অর্জন ,শিক্ষা এগুলো নিজেরটা নিজেরই অর্জন করতে হয়। এটা ব্যাংক ব্যালেন্স বা জমিজমা না যে দলিল করে নেয়া যায়। তাই আবারও বলছি , জ্ঞান অর্জন শিক্ষা অর্জনের সাথে অর্থ উপার্জনের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। চাকরি করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। শুধুমাত্র কটা পয়সার জন্য সারাজীবন আমরা নিজের মেধা বিলিয়ে একটিভ ইনকাম করি তাই দুনিয়ার ১% ধনীর তালিকায় এই চাকুরিজীবী নেই। যারা প্যাসিভ ইনকাম করে তারাই ধনী। রবার্ট টি কিয়োসাকি তার "রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড" বইয়ে বলেছেন , গরীর মানুষ টাকা উপার্জন করে নিজে পরিশ্রম করে আর ধনীদের নিজে পরিশ্রম করতে হয় না। তাদের অর্থ ই তাদের আরো অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়। যাইহোক ,স্বপ্ন যাদের চাকরি তাদেরকে সময় দিতে হবে। অভিভাবকদের চিন্তা উন্নত না হলে সন্তানকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের অন্তরায় হয়ে যাবে। মেধাকে কাজে লাগাতে মেধাকে অস্ত্রের মতো ধারাতে হয় সময় নিয়ে এইটা মাথায় রাখতে হয়। অনেকে এই সুযোগ পান না বলেই তাদের "মেধাবী কিন্তু সরকারি চাকরি পায়নি "এমন কথা শুনতে হয়। পরিশেষে একটি কথা , দেশের ১৮ কোটি মানুষের ১৮ লাখ মানুষ সরকারি চাকরি করে। মানে ১০০ জনে ১ জন। সরকারি চাকরি না পেলে আপনি খারাপ থাকবেন আর পেলে ভালো থাকবেন এই কথা বিশ্বাসযোগ্য না। সীমিত আয় ,অসীম খরচ আর মুদ্রাস্ফীতির দেশে সরকারি চাকরি একটি জেলখানা বটে। প্রতি বছর যে বেতন বাড়ে খরচ বাড়ে তার ছগুণ। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে ভালো করে। যা করবেন খুব ভালো করে করতে হবে। 

এমএসএম / এমএসএম

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ : গল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠুক সচেতনতার বাঁধ