জলবায়ু সম্মেলন ও বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী
ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিতব্য ৩০তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন শুধু একটি বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনার স্থান নয়, বরং এটি বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি ও মানবিক সংকট তুলে ধরার সবচেয়ে বড় জায়গা। পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেইনফরেস্টের কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন প্রমাণ করছে যে জলবায়ু সমস্যা আর কেবল বিজ্ঞানের বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও বেঁচে থাকার লড়াই। ধনী ও দরিদ্র দেশের মধ্যে আস্থা সংকট, জলবায়ু অর্থায়নের অস্পষ্টতা, এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখিয়ে দিচ্ছে যে হাতে আর সময় নেই। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়, ১.৫° লক্ষ্যকে আইনি মানদণ্ডে উন্নীত করা, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে যাওয়ার দাবি এবং 'বাকু-টু-বেলেম' রোডম্যাপ-সব মিলিয়ে কপ৩০ এমন এক সন্ধিক্ষণ, যা হয় টেকসই ভবিষ্যতের দিকে পথ দেখাবে, নতুবা জলবায়ু প্রতিশ্রুতির ইতিহাসে আরেকটি ব্যর্থ অধ্যায় যোগ করবে। জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যবিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনটি এক কঠোর ও জটিল বাস্তবতা তুলে ধরেছে-বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯৫ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, অপর্যাপ্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং লাগাতার অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে এক ত্রিমুখী সংকটের সম্মুখীন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষ কেবল পরিসংখ্যানের সমষ্টি নয়, তারা এমন বাস্তব জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা বেঁচে থাকা এবং হতাশার এক অনিশ্চিত ভারসাম্যের মধ্যে আটকে আছে। এই চিত্র স্পষ্ট করে, বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এখন প্রথাগত আয়-ভিত্তিক পরিমাপের তুলনায় অনেক বেশি ভঙ্গুর ও জটিল। দারিদ্র্য এখন শুধু আয়ের ঘাটতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, আবাসন ও জ্বালানি ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আন্তঃসংযুক্ত ঘাটতিতে বিস্তৃত হয়েছে, যা দুর্বলতার গভীর স্তর তৈরি করছে এবং মানবমর্যাদাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন আজ আর কোনো বৈজ্ঞানিক বিতর্ক বা অনুমানের বিষয় নয়, এটি আমাদের চোখের সামনে ঘটতে থাকা এক ভয়াবহ বাস্তবতা। বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ও দাবানল আজ প্রায় প্রতিদিনের খবর। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দশকে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা শিল্প-পূর্ব সময়ের তুলনায় ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, যা মানবসভ্যতার জন্য এক ভয়াবহ সতর্ক সংকেত। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শিকার। এই সংকট এখন আর ভবিষ্যতের হুমকি নয়, বরং প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন, জীবিকা ও ভবিষ্যৎকে বিপর্যস্ত করছে। দুনিয়াজুড়ে পরিবেশ-প্রতিবেশকে বিবেচনায় না নিয়ে যেসব উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তার ফলে মানুষসহ প্রাণ-প্রকৃতি আজ চরম ঝুঁকির মুখে। এমনই এক বাস্তবতার মধ্যে ১৯৯২ সালে গঠিত ইউনাইটেড নেশন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) ৩৩ বছর পার করেছে। এ প্রক্রিয়ায় ১০-২১ নভেম্বর পর্যন্ত ব্রাজিলের বেলিম শহরে ৩০তম কপ বা জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে বিশ্বনেতা, বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, বিনিয়োগকারী, নাগরিক প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, করপোরেট ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বিগত ২৯টি জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতারা পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগোষ্ঠীর মিটিগেশন, অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দক্ষতা-সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিপূরণ, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: প্রথম জলবায়ু সম্মেলন বা কপ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিন শহরে যেখানে উন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের হার ২০০০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের নির্গমনের পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৯৭ সালে কপ৩ সম্মেলনে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে অতিমাত্রায় কার্বনসহ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে ‘কিয়োটো প্রটোকলে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলো (অ্যানেক্স-এ ভুক্ত)। ২০১৫ সালে কপ২১ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি যা একটি সর্বজনীন আইনি বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তি। যেখানে সব রাষ্ট্রই গ্রিনহাউজ গ্যাস প্রশমন, অভিযোজন ও অর্থায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। তাছাড়া এ চুক্তিতেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে কপ২৬ সম্মেলনে গ্লাসগোয় গৃহীত অন্যতম প্রতিশ্রুতি হলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণের মাত্রা পর্যায়ক্রমে হ্রাস অথবা পর্যায়ক্রমে বন্ধ এবং অভিযোজনের অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ করা। ২০২৩ সালের কপ২৮ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ তহবিল (লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড) গঠন ও তার কার্যকারিতা নিশ্চিত, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস ও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য কৌশল নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০২৪ সালে কপ২৯ সম্মেলন আজারবাইজানের বাকুতে জলবায়ু অর্থায়নের ওপর জোর দেয়া হয়। সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে ধনী উন্নত দেশগুলো ন্যূনতম ৩০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ, প্যারিস চুক্তির ধারার ৬ বাস্তবায়নে বৃহত্তর আঙ্গিকে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের তহবিল সংগ্রহ করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছায়।এ পর্যন্ত যেসব প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে সেখানে প্রধানত দুটি ইস্যু। প্রথমটি হলো কার্বনসহ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিগর্মন হ্রাস করা, দ্বিতীয়টি হলো জলবায়ু ক্ষতি মোকাবেলায় অর্থায়ন। কিন্তু ১৯৯৫ সালের প্রথম সম্মেলনে গ্রিনহাউজ গ্যাসের উদ্গীরণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি হলেও ৩০ বছর ধরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলছে।
গ্লোবাল কার্বন বাজেটের (২০২৪) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৫ সালে বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ যেখানে ছিল ২৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন টন, ২০২৪-এ এসে সেই নির্গমনের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৪১ দশমিক ৬ বিলিয়ন টনে এসে দাঁড়িয়েছে, যার বৃদ্ধির হার ৪৯ শতাংশ। গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের সঙ্গে বেড়ে চলেছে মানুষের জীবন ও জীবিকার ভোগান্তি; পরিবেশ-প্রতিবেশের অবক্ষয়। পাশাপাশি জলবায়ু অর্থায়নে নানাভাবে নানা তহবিল গড়ে উঠলেও প্রান্তিক ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এর আওতায় কতটুকু এসেছে তা একটি বড় জিজ্ঞাসা। জলবায়ু অর্থায়নের যে শাখা-প্রশাখা গজিয়েছে তা বিশ্লেষণ করে কতটুকু ঋণ আর কতটুকু সহায়তা বা ক্ষতিপূরণ-এটা নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব। জলবায়ু সংকট, যুদ্ধ, নিপীড়ন ও খাদ্য-জল সংকটকে আরো তীব্র করে ঝুঁকি গুণক হিসেবে কাজ করছে, যার ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের মোট সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১১ কোটি ৭০ লক্ষে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের বন্যায় ৫.৮ লাখ মানুষ, মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোচায় শরণার্থী রোহিঙ্গারা এবং চাদে বন্যায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষ পুনরায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা নির্দেশ করছে যে, জলবায়ু দুর্যোগ এখন বারবার স্থানচ্যুতির প্রধান চালক হয়ে উঠছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত মানুষ রাজনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশগুলোতে সংঘাত ও জলবায়ুর প্রভাবে বিপন্ন, যেমন সুদান, সিরিয়া, হাইতি, কঙ্গো, লেবানন, মায়ানমার, বাংলাদেশ ও ইয়েমেন উল্লেখযোগ্য। এই দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে নগণ্য অবদান রাখলেও জলবায়ু অর্থায়ন ও অভিযোজন ফান্ড থেকে বঞ্চিত রয়েছে।ব্রাজিলে কপ৩০-এ জলবায়ু আলোচকদের এই দ্রুত বাড়তে থাকা জনসংখ্যার দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন-'অর্থায়ন হ্রাসের ফলে শরণার্থী এবং বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে চরম আবহাওয়ার প্রভাব থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে সীমিত হচ্ছে'।
আমরা যদি স্থিতিশীলতা চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যেখানে মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ভবিষ্যতে বাস্তুচ্যুতি রোধ করতে, জলবায়ু অর্থায়ন শীঘ্রই প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলোতে পৌঁছাতে হবে। কপ৩০-কে ঘিরে বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। বরাবরের মত এবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে সবচেয়ে বড় প্রতারণা হিসেবে আখ্যা দিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিনি সরাসরি অংশ না নিলেও দূর থেকে চাপ, হুমকি ও বাণিজ্যিক প্রতিশোধের কৌশল ব্যবহার করে বৈশ্বিক জলবায়ু সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারেন। এর উদাহরণ পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার বৈঠকে, যেখানে ট্রাম্পের প্রভাবের কারণে কার্বন শুল্ক অনুমোদন এক বছর পিছিয়ে যায়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছে। অপরদিকে, চীন সম্মেলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন এসডিসি নিয়ে সমালোচনা থাকলেও, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দ্রুত অগ্রগতির কারণে দেশটি আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী দশকগুলোয় জলবায়ু, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংকটের মুখোমুখি হতে হবে, যা শাসন, সংহতি ও সহনশীলতার পরীক্ষা নেবে। প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপত্তা, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ কাজের অধিকার নিশ্চিত করার অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিই ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে পারে। উন্নয়নকে কেবল জিডিপির প্রবৃদ্ধি দিয়ে পরিমাপ না করে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষা করার ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে পরিমাপ করতে হবে। নীতি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এই দুর্বল পরিস্থিতিকে সম্মিলিতভাবে বেঁচে থাকা এবং সমৃদ্ধি ভাগ করে নেয়ার পথে স্থানান্তরিত করা সম্ভব।
মানবমর্যাদা, জলবায়ু অভিযোজন, সামাজিক সুরক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং সমপ্রদায়ের ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে দুর্বলতাকে স্থিতিস্থাপকতায় রূপান্তরিত করা যেতে পারে, যা আমাদের বর্তমান সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ।জলবায়ু পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং ভঙ্গুর সামাজিক ব্যবস্থা জীবিকা, সংহতি ও মর্যাদার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় পদ্ধতিগত সংস্কার, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন অপরিহার্য। পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা কেবল দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, তাই সক্রিয় ও মানবকেন্দ্রিক পদক্ষেপ আগামীকালের গল্প পুনর্লিখন করতে পারে, যা হবে হতাশার নয়, বরং স্থিতিস্থাপকতা ও সম্মিলিত অগ্রগতির। এই বাধ্যবাধকতা সুস্পষ্ট-বিশ্বব্যাপী ও জাতীয় নেতাদের অবশ্যই উন্নয়নের কেন্দ্রে মানবিক মর্যাদা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি স্থাপন করতে হবে।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক,যুক্তরাজ্য
Aminur / Aminur
জলবায়ু সম্মেলন ও বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী
দেশ ও দল পরিচালনায় একই ব্যক্তি নয়
৭ নভেম্বর: “সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজাগরণ”
নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা মোটেও কাম্য নয়
সৎ মানুষ অন্যায়ের প্রতিপক্ষ
নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হোক
নাগরিক সমাজ ও মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন জিয়াউর রহমান
নাগরিক সচেতন হলে রাজা নীতিবান হতে বাধ্য
নাগরিক ভোগান্তি রোধে দরকার পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস ও জনসচেতনতা
জাতিসংঘের ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব
রাজনীতিতে রাজা আছে, নীতি নাই