গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন জিয়াউর রহমান
গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, সমাজের বিবেক এবং জনগণের কণ্ঠস্বর। একটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক সমাজ পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন এমন এক নেতা, যিনি গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে কেবল রাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে নয়, গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে দেখেছিলেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি মুক্ত সংবাদমাধ্যমই পারে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় রাখতে, জনগণের অধিকার রক্ষা করতে এবং সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে। জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তচিন্তার, মতপ্রকাশের ও তথ্যের স্বাধীনতার দৃঢ় সমর্থক।
তিনি মনে করতেন, সংবাদমাধ্যম সরকারবিরোধী নয়, বরং সরকারের সহযোগী; কারণ, সংবাদমাধ্যম হলো সমাজের দর্পণ। একটি জাতি তার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন দেখতে পারে সংবাদমাধ্যমের আয়নায়।
যেখানে সংবাদমাধ্যম স্বাধীন, সেখানে সত্য বিকশিত হয়; আর যেখানে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়, সেখানে সত্য ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন এক সময় এসেছিল যখন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়েছিল, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল সীমিত। সেই কঠিন সময়ে যিনি সংবাদপত্রকে নতুন প্রাণ দিয়েছিলেন, মুক্ত চিন্তার পথ খুলে দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তিনি বিশ্বাস করতেন, “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে শুধু সাংবাদিকের অধিকার নয়; এটি জনগণের জানার অধিকার, গণতন্ত্রের জীবনরেখা।”
ঐতিহাসিক পটভূমি:
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিতিশীলতা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রায় নিঃশেষ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ৬ জুন তৎকালীন সরকার “সংবাদপত্র বাতিল অধ্যাদেশ” জারির মাধ্যমে শুধুমাত্র চারটি সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা ও সাময়িকী বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা হয়রানি, গ্রেফতার ও সেন্সরশিপের মুখে পড়ে। জনগণের জানার অধিকার তখন ছিল কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ। এই দমননীতির প্রতিক্রিয়ায় সমাজে হতাশা ও ক্ষোভ জন্ম নেয়। কিন্তু জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রথমে প্রয়োজন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।
১৯৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান উপ-প্রধান সামরিক প্রশাসক এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময়ে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পাশাপাশি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেন। বন্ধ করে দেওয়া সংবাদপত্রগুলোকে একে একে পুনরায় প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয়, যা সেসময় গণমাধ্যম জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
সংবাদপত্র বিষয়ে জিয়াউর রহমানের দর্শন:
জিয়াউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন। তিনি বলতেন, “সত্য বলা অপরাধ নয়, বরং জাতিকে বাঁচানোর পথ।” তাঁর মতে, সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়াই সাংবাদিকদের দায়িত্ব। তিনি কখনো সংবাদমাধ্যমকে “বিরোধী শক্তি” হিসেবে দেখেননি, বরং “সহযোগী শক্তি” হিসেবে গ্রহণ করেছেন। জিয়ার রাজনৈতিক দর্শনে স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা ছিল মূল দুটি স্তম্ভ। তিনি মনে করতেন, রাষ্ট্রযন্ত্র তখনই দায়বদ্ধ হবে যখন জনগণ তার কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত থাকবে। এই অবহিত করার মাধ্যম হলো সংবাদপত্র।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবাদপত্রের পুনর্জাগরণ:
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই তিনি সেন্সরশিপ নীতি শিথিল করেন। অনেক বন্ধ থাকা পত্রিকাকে পুনরায় প্রকাশের অনুমতি দেন, নতুন নতুন পত্রিকা প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করেন। সাংবাদিকদের আটক বা হয়রানি বন্ধ করা হয়; অনেককে মুক্তি দেওয়া হয়। দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক জনতা, দৈনিক দেশ, এসব পত্রিকা তাঁর সময়েই নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তিনি সরকারকে নির্দেশ দেন যাতে সমালোচনামূলক সংবাদ প্রকাশে বাধা না দেওয়া হয়। কারণ, তাঁর দৃষ্টিতে “সমালোচনা মানে শত্রুতা নয়, এটি রাষ্ট্রের আয়না।”
বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের উন্মুক্ততা:
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান যখন বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন, তখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বহুদলীয় রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমও বহুমাত্রিক রূপ নেয়। রাজনৈতিক মতবিরোধ প্রকাশে পত্রিকা ও ম্যাগাজিনগুলো উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে। রেডিও, টেলিভিশন ও সরকারি প্রচারযন্ত্রেও কিছুটা উন্মুক্ততা আসে। তাঁর সময়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “বিটিভি”-তে বিরোধী মত বা সমালোচনামূলক আলোচনা প্রচারেরও সুযোগ ছিল, যা পরবর্তী অনেক সরকারের সময়ে আর দেখা যায়নি।
সাংবাদিকদের জন্য নীতিগত ও কল্যাণমূলক পদক্ষেপ:
জিয়াউর রহমানের আমলে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয় বহু উদ্যোগ। তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-কে শক্তিশালী করেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেন। তাঁর নির্দেশে সাংবাদিকদের জন্য আবাসন প্রকল্প, প্রেস ক্লাবের অনুদান, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, এবং প্রণোদনা স্কিম চালু করা হয়। তিনি সংবাদপত্রকে শুধু মুক্ত করেই থামেননি, বরং তার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি মজবুত করেছেন।
সমালোচনা সহ্য করার অসাধারণ উদাহরণ:
জিয়াউর রহমান ছিলেন সহনশীল নেতা। তাঁর শাসনামলে বহু পত্রিকায় সরকারের সমালোচনা প্রকাশিত হলেও তিনি কখনো প্রতিহিংসাপরায়ণ হননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, সত্যের মুখোমুখি হওয়াই একজন নেতার সাহসের প্রমাণ। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আপনারা যদি আমাকে সমালোচনা না করেন, তাহলে আমি ভুল বুঝব যে সবকিছু ঠিক আছে।” এই সহনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস তাঁকে অন্য সকল স্বৈরাচারী শাসক থেকে আলাদা করেছে।
জনগণের জানার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা:
জিয়াউর রহমান তথ্যের স্বাধীনতাকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে দেখেছিলেন। তিনি বলতেন, “একজন সচেতন নাগরিকই পারে দুর্নীতি ও অন্যায় রোধ করতে।” তাঁর শাসনামলে সরকারি দপ্তরগুলোতে তথ্য প্রকাশের প্রচলন শুরু হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জনগণকে অবহিত করতে থাকে। এটাই ছিল বাংলাদেশের তথ্য অধিকার নীতির সূচনা।
সাংবাদিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিকতার বিকাশ:
জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, মুক্ত সংবাদপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা। তাঁর সময়েই সাংবাদিক প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পিআইবি ও বাসস যৌথভাবে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করে, যাতে সাংবাদিকরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও নৈতিকতার শিক্ষা পান। তিনি বারবার বলতেন, “সত্যকে জানাতে হলে সাংবাদিককে প্রথমে সৎ হতে হবে।”
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জাতীয় উন্নয়ন:
জিয়াউর রহমানের দৃষ্টিতে সংবাদপত্র ছিল উন্নয়নের অংশীদার। তিনি মনে করতেন, মুক্ত সংবাদমাধ্যম সমাজের ভুল ধরিয়ে দেয়, দুর্নীতিবাজদের ভয় দেখায়, প্রশাসনকে সঠিক পথে রাখে। তাঁর সময়েই ‘উন্নয়ন সাংবাদিকতা’র ধারণা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়।
তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের খবর প্রকাশে সাংবাদিকদের উৎসাহ দিতেন, যাতে জনগণ রাষ্ট্রীয় অগ্রগতি সম্পর্কে সচেতন থাকে।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সহনশীলতা:
জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে বিরোধিতা মানে শত্রুতা নয়। তিনি মনে করতেন, ভিন্নমত গণতন্ত্রের শক্তি। এই বিশ্বাস থেকেই সংবাদপত্রে বিভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ ছিল। তাঁর সময়ের সাংবাদিকরা বলেন, “জিয়া ছিলেন এমন এক নেতা যিনি কলমের স্বাধীনতায় আস্থা রাখতেন।” তাঁর এই রাজনৈতিক সহনশীলতা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে আছে।
গণমাধ্যম স্বাধীনতার উত্তরাধিকার:
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর সংবাদপত্র নীতিই বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিকাশের ভিত তৈরি করে। পরবর্তীকালে শত শত পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন নিউজপোর্টাল যেভাবে গড়ে উঠেছে, তার মূল শিকড় তাঁর আমলের নীতি ও চিন্তায় নিহিত।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে সরকারি প্রচারণার মুখপাত্র না করে জনগণের মুখপাত্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। এই ঐতিহ্য আজও বাংলাদেশের সংবাদজগতে জীবন্ত।
আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমানের অবদান:
জিয়াউর রহমান শুধু দেশীয় সংবাদপত্র স্বাধীনতায় সীমাবদ্ধ থাকেননি; আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশকে একটি গণমাধ্যম-বান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, এএফপি, এপি-এর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেন। বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশে প্রতিবেদন করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, যা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে।
সমালোচনা ও বাস্তবতার মূল্যায়ন:
যদিও কিছু সমালোচক দাবি করেন তাঁর সময়ে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, তবে বাস্তব প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, তাঁর উদার নীতি তখনকার অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অভূতপূর্ব। তিনি ধীরে ধীরে সেন্সরশিপ তুলে দেন, সংবাদপত্রকে আত্মনিয়ন্ত্রণের সংস্কৃতি শেখান, এবং রাষ্ট্রের সমালোচনাকে সহনীয় পরিসরে নিয়ে আসেন।
বর্তমান রাজনীতি ও গণমাধ্যম:
বর্তমানে রাজনীতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও এর বাস্তবতা অনেকটা ভিন্ন। এখনকার অনেক রাজনীতিবিদ সমালোচনা পছন্দ করেন না, তারা নিজেকে সবজান্তা মনে করেন, তারা যা করেন তাই সঠিক বলে মনে করেন। গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। তাদের সাথে যারা ইয়েস স্যার বলতে পারে তাদেরকেই আপন বা নিজেদের দলের লোক মনে করেন। আর যারা ভুল ধরিয়ে দেয় তাদেরকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করা হয়। তবে এটা রাজনীতি বা শাসনের এক কলঙ্ক, হয়তো শাসক এব্যপারে অবগত নয় তবুও দায় কিন্তু এড়াতে পারেন না। আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনেক সাংবাদিককে যেমন জামাত, শিবির বা বিএনপির ট্যাগ দেয়া হয়েছে, সেই একই সাংবাদিককে এই সময়ে এসে আওয়ামী লীগের দোসর তকমা লাগানোর চেষ্টাও নেহাত কম হয়নি। এটা তেলবাজি না করা বা নিরপেক্ষতার কারণেও হয়ে থাকে। তবে সাংবাদিকদের মাঝেও যারা সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের বিষয়টি আলাদা। আবার কিছু সাংবাদিকও আছেন যারা নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা না করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য বিতর্কিত কাজ করে থাকেন। আমাদের এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রয়োজন আর নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দিতে হবে।
উপসংহার:
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন কারণ তিনি জানতেন, একটি স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে না। তিনি সাংবাদিকদের মর্যাদা দিয়েছেন, সংবাদপত্রকে মুক্ত করেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সংবাদপত্র জনগণের কণ্ঠে পরিণত হয়েছিল। আজ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বিকাশে যে আলো জ্বলছে, তার উৎস সেই মানুষটির হাতে, যিনি কলমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন, সত্যের শক্তিতে আস্থা রাখতেন, আর যিনি বলেছিলেন, “গণতন্ত্রের শত্রু হলো মিথ্যা, আর মিথ্যার শত্রু হলো স্বাধীন সংবাদপত্র।”
সমাপ্তি মন্তব্য:
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না; তিনি ছিলেন স্বাধীন সংবাদপত্রের এক অকৃত্রিম বন্ধু। তাঁর বিশ্বাস, নীতি ও সহনশীলতা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শে যারা রাজনীতি করেন বা রাষ্ট্র পরিচালনা করার কথা চিন্তা করছেন তাদের কাছে আমার চাওয়া থাকবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের নীতি যেন ফলো করা হয়।
লেখক: সাংবাদিক, কবি ও সভাপতি, রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন।
এমএসএম / এমএসএম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন জিয়াউর রহমান
নাগরিক সচেতন হলে রাজা নীতিবান হতে বাধ্য
নাগরিক ভোগান্তি রোধে দরকার পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস ও জনসচেতনতা
জাতিসংঘের ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব
রাজনীতিতে রাজা আছে, নীতি নাই
গণতন্ত্রে উত্তরণে তারেক রহমানের যত চ্যালেঞ্জ
তুরস্কের প্রত্যাবর্তন: মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন সম্ভাবনা
জীবনের জয়গানে সড়ক হোক মুখরিত
এক ভয়ংকর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ
জয় হোক বিশ্ব মানবতার
আলোর উৎসব দীপাবলি :শান্তি ও সম্প্রীতির জয়গান
কর্পোরেট দুনিয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিলুপ্তির সম্ভাবনা: প্রযুক্তির ঝড়, না কি মানবিক পুনর্জাগরণ?