প্রতিশোধের রাজনীতি জাতির জন্য এক অভিশাপ
রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো, জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা, সমাজে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং উন্নয়নের পথ সুগম করা। কিন্তু যখন রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে প্রতিশোধপরায়ণতা, তখন রাজনীতি তার মহৎ উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে জাতির উপর নিক্ষেপ করে অদৃশ্য বিষ, যা ভয়ানক অভিশাপ।
প্রতিশোধের রাজনীতি একদিকে যেমন গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে, তেমনি রাষ্ট্রের অর্থনীতি, উন্নয়ন, সামাজিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, শিক্ষাব্যবস্থা, যুবসমাজ ও জাতীয় সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে দেয়।
প্রতিশোধের রাজনীতি, ধারণা, উৎস ও বৈশিষ্ট্য:
প্রতিশোধের রাজনীতি বলতে বোঝায়, কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী বা নেতার দ্বারা প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ক্ষতির প্রতিদান হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন অথবা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রবণতা। এটি মূলত ‘রাগ’, ‘হিংসা’, ‘ঘৃণা’ ও ‘অতীতের অপমান’কে ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।
প্রতিশোধের রাজনীতি জন্ম নেয় মূলতঃ ক্ষমতা হারানোর ভয়, অতীতের রাজনৈতিক সংঘর্ষ, স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব, দুর্বল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি, বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করা থেকে।
যে রাজনৈতিক পরিবেশে অতীতের অভিযোগ, প্রতিশোধ ও প্রতিদানে ভরা, সেই পরিবেশে উন্নয়ন ও শান্তির জায়গা সংকুচিত হয়ে যায়।
প্রতিশোধের রাজনীতির পরিচায়ক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে, প্রতিপক্ষের প্রতি চরম বিদ্বেষ, মামলা, হয়রানি, গ্রেপ্তারকে হাতিয়ার করা, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক কাজে লাগানো, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষকে দমন করতে ব্যবহার, প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করার চেষ্টা, প্রতিহিংসা ছড়াতে দলীয় প্রচারযন্ত্র সক্রিয় করা ইত্যাদি।
প্রতিশোধের রাজনীতির প্রেক্ষাপট:
বিশ্বের ইতিহাসে প্রতিশোধের রাজনীতি বহুবার জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ফরাসি বিপ্লবের পর ‘রেইন অব টেরর’ অর্থাৎ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সহস্রাধিক মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। প্রতিশোধের প্রতিযোগিতায় রাষ্ট্র বিশৃঙ্খলার শিকার হয়। ল্যাটিন আমেরিকার সামরিক সরকারগুলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে গিয়ে দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে পড়ে। গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়ার সংঘাতে প্রতিশোধ প্রবণতা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশ, প্রায় সব দেশেই ক্ষমতার পালাবদলে প্রতিহিংসা দেখা গেছে। আর এসব কারণে দেশের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, প্রতিশোধের রাজনীতি কোনো দেশের জন্য উন্নয়ন নয়, বরং ধ্বংসের বীজ।
প্রতিশোধের রাজনীতি ও জাতির মনস্তত্ত্ব: প্রতিশোধের রাজনীতি জাতিকে বিভক্ত করে, সমাজ ভেঙে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যায়, মানুষ মানুষকে সন্দেহ করতে শুরু করে, পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু, সব সম্পর্কেই বিভাজন দেখা দেয়, ফলে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়। প্রতিশোধপরায়ণ রাষ্ট্রে, সত্য বলাকে অপরাধ অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভিন্ন মতাবলম্বীরা হুমকির মুখে থাকে, সাংবাদিকরা নিরাপদ নয়, শিক্ষকেরা নিরপেক্ষ থাকতে ভয় পায়, সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক আলোচনাও করতে ভয় পায়। এই ভীতির কালচার তরুণ প্রজন্মের মানসিক ক্ষতির কারণ হয়। তরুণদের উচিত রাজনীতিতে স্বপ্ন ও উন্নয়ন খোঁজা। কিন্তু প্রতিশোধের রাজনীতিতে তারা দেখে, ঘৃণা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, অনিশ্চয়তা। ফলে তারা রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়ে যায়। অনেকে বিদেশে চলে যেতে চায়, মেধাপাচার বাড়ে। ফলে দেশে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়না। এরফলে সুযোগ নেয় সুবিধাবাদিরা। রাজনৈতিক আদর্শ বিলুপ্ত হয়ে ব্যক্তি স্বার্থে টেররিস্ট গ্রুপের দৌরাত্ম বাড়ে।
প্রতিশোধের রাজনীতি ও গণতন্ত্রের মৃত্যু:
প্রতিশোধের রাজনীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর। যে দল সরকারে থাকে তারাই ভিন্নমত দমনে মগ্ন হয়ে পড়ে। বিরোধী দলকে ধ্বংসের চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে বিরোধী দল থাকলেই গণতন্ত্র টিকে থাকে। কিন্তু প্রতিশোধমুখী রাজনীতি বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে চায়, মামলা, হয়রানি, গ্রেপ্তার, অফিস দখল, সমাবেশে হামলা ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়ায়। আর এসব কাজের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনীতির ফায়দা হাসিলে ব্যবহার করা হয়। যখন রাষ্ট্রীয় বাহিনী রাজনৈতিক নির্দেশে চলে, তখন আইন ভেঙে যায়, অপরাধী বাঁচে, সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ করে রাজনৈতিক প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিচার হয় প্রায়ই, দলীয় সুবিধা আদায়ের নিমিত্তে নির্বাচনী লক্ষ্য অনুযায়ী প্রতিপক্ষকে দমন করার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে মানুষ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারায়। ফলে সংসদ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, সংসদ আর বিতর্কের স্থান থাকে না; হয়ে ওঠে একদলীয় প্রচারের মঞ্চ।
প্রতিশোধের রাজনীতির অর্থনৈতিক প্রভাব: প্রতিশোধের রাজনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি অর্থনীতিতে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধ্বংস হয়, অস্থিতিশীলতা বাড়লে, বিদেশি বিনিয়োগ কমে, দেশীয় উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে ভয় পায় ফলে নতুন শিল্প গড়ে ওঠে না। উন্নয়ন প্রকল্পে অনেক সময় প্রতিহিংসার প্রভাব দেখা যায়। এক সরকার শুরু করা প্রকল্প অন্য সরকার এসে বাতিল করে। শুধু প্রতিশোধের কারণে রাষ্ট্রীয় অর্থ নষ্ট হয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ভেঙে যায়। ফলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন কমলে, তরুণদের চাকরি কমে, দক্ষ শ্রমিক বিদেশমুখী হয়।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অর্থনীতি স্থবির করে, ফলে বাজারে উত্তেজনা বাড়ে, দরকারি পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায় ক্রমাগত।
প্রতিশোধের রাজনীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: প্রতিশোধের রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। শুধু ভিন্নমতের রাজনীতি করার অপরাধে ইচ্ছাকৃত গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে। প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর জন্য পুলিশি অভিযান, মামলা, হুমকি, সবই চলে সমানতালে।
ক্ষমতাসিনরা নিজেদের গদি রক্ষার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত করে, সংবাদ প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিহিংসামূলক ক্ষমতার অপপ্রয়োগে মিডিয়াকে চাপে রাখে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করে দেয়, সত্য কথা চাপা দিয়ে মিথ্যার প্রচার বাড়ায়। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাহীনতা বিঘ্নিত হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতায়, গুম, খুন, দলীয় সন্ত্রাসী হামলা, এসব বেড়ে যায়।
জাতীয় পরিচয়, সংস্কৃতি ও সামাজিক গঠন ধ্বংস:
প্রতিশোধের রাজনীতি সমাজের গভীরে পৌঁছে, জাতীয় ঐক্য ভাঙে, এক জাতি হয়ে যায় দুই ভাগে বিভক্ত, যেন দুই শত্রু রাষ্ট্র।
শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সবাই দলীয় পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক চর্চায় দলীয় বিভাজন সৃষ্টি হয়। সামাজিক আস্থা ধ্বংস হয়, তখন মানুষ আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না, এটাই প্রতিশোধের রাজনীতির ভয়ংকর ফল।
প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা ও যুবসমাজে প্রতিশোধের প্রভাব:
প্রতিশোধের রাজনীতির ফলে ন্যায় অন্যায় বিচেনার চেয়ে দলীয় পরিচয় বেশি বিিেচত হয়, রাজনৈতিক সুকিধা দিতে গিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হয়।প্রতিশোধের রাজনীতিতে, বদলি, পদোন্নতি, শাস্তি সবই রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে হয়। ফলে রাষ্ট্রের দক্ষতা কমতে থাকে।
দলীয় সুবিধা যখন আইনের উর্ধ্বে ওঠে যায়, অপরাধ করে দলীয় পরিচয়ে যখন সহজেই পার পেয়ে যায় তখন শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, সংঘর্ষ, দখলদারিত্ব, প্রতিশোধমূলক হামলা, ছাত্র রাজনীতির অবক্ষয় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। আর যুবসমাজ নিরাপদ ভবিষ্যৎ না দেখে বিদেশগামী হয়।
সামাজিক সহিংসতা ও আইনের শাসনের ক্ষয়:
প্রতিশোধের রাজনীতি সমাজে সহিংসতা বাড়ায়, দলীয় সংঘর্ষ, নির্বাচনী সহিংসতা, বিরোধী মত দমনের অভিযান একপক্ষীয় নীতি অনুসরণ করে। এতে আইনের শাসন ভেঙে যায়। যেখানে রাজনীতি প্রতিশোধপরায়ণ, সেখানে আইন দুর্বল, ন্যায়বিচার অনুপস্থিত।
প্রতিশোধের রাজনীতি থেকে মুক্তির পথ: যেহেতু রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য দেশ ও দশের সেবা/কল্যাণ করা তাই প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে সেবার পরিধি বাড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণকে প্রাধান্য দিতে হবে। বিরোধীকে শত্রু নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে হবে, ভালো কাজের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে হবে। ভালোবেসে কে কত জনগণের মনে জায়গা করে নিতে পারে সেটাই রাজনীতি। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সহনশীলতা গড়ে তুলতে হবে। শক্তিশালী ন্যায়বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রতিশোধের চক্র ভাঙতে হবে। নির্বাচনই রাজনৈতিক সংঘাতের মূল সমাধান। ফলে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় সংলাপে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত্য তৈরি করতে হবে। এসব বাস্তবায়নের জন্য সুশীল সমাজকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। নাগরিক সমাজর তথা গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা, শিক্ষাবিদ, সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের নৈতিক ও গণতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা ভবিষ্যতের নেতৃত্ব। তাদের মধ্যে সহনশীলতা না থাকলে জাতি আবারও প্রতিশোধে জড়াবে।
উপসংহার:
প্রতিশোধের রাজনীতি যেকোনো জাতির অগ্রগতিকে শিকল দিয়ে বেধে রাখে। এটি, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, অর্থনীতিকে দুর্বল করে, সমাজকে বিভক্ত করে, মানুষের মানসিকতা অসুস্থ করে, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, নিরাপত্তা সংকট তৈরি করে, ন্যায়বিচারকে ক্ষুণ্ণ করে।
একটি জাতি কখনোই এগোতে পারে না যখন তার রাজনীতি প্রতিশোধ, বিদ্বেষ, সংঘর্ষ ও ঘৃণার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। সময় এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীলতা, সংলাপ, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং মানবিকতাকে সামনে আনার। যে রাষ্ট্র প্রতিশোধের রাজনীতি থেকে মুক্ত, সেই রাষ্ট্রই ভবিষ্যতে সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জাতির পরিচয় গড়ে তোলে। তাই যারা দেশকে ভালোবাসে তারা কখনোই প্রতিশোধের রাজনীতিতে জড়ায় না। তাই দেশের স্বার্থে, মা, মাটির অস্তিত্ব রক্ষার্থে প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করা জরুরী।
লেখক: সাংবাদিক, কবি ও সভাপতি, রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন।
এমএসএম / এমএসএম
বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়
গ্রামীণ ঐতিহ্য ও শীত কালীন রসদ সুমিষ্ঠ খেজুর রস
প্রতিশোধের রাজনীতি জাতির জন্য এক অভিশাপ
জলবায়ু সম্মেলন ও বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী
দেশ ও দল পরিচালনায় একই ব্যক্তি নয়
৭ নভেম্বর: “সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজাগরণ”
নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা মোটেও কাম্য নয়
সৎ মানুষ অন্যায়ের প্রতিপক্ষ
নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হোক
নাগরিক সমাজ ও মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন জিয়াউর রহমান
নাগরিক সচেতন হলে রাজা নীতিবান হতে বাধ্য