ঢাকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

জাতিসংঘের ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ২৫-১০-২০২৫ দুপুর ১০:৪

১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন আশা করা হয়েছিল এই বিশ্ব সংস্থাটি পৃথিবী থেকে যুদ্ধ, অনুন্নয়ন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঠেকাবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে দেশগুলো জার্মানি ও তার মিত্রদের পরাস্ত করে তারাই এই সংস্থা গঠনের আসল চালিকা শক্তি। জাতিসংঘকে নিয়ে আশা ও উৎসাহের সেটাই আসল কারণ। কিন্তু খুব বেশি দিন লাগল না দেশগুলোর বন্ধুত্বে চিড় ধরতে। শুরু হয়ে গেল পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। যারা যুদ্ধ ঠেকাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দেখা গেল তারাই যুদ্ধ বাধাতে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। পৃথিবীকে এক করার বদলে তাকে বিভক্ত করে যার যার প্রভাব বলয়ে আনাই তাদের আসল লক্ষ্য। এরপর ৮০ টি বছর কেটে গেছে। অবস্থা বদলায়নি, বরং বহুগুণে অবনতি ঘটেছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করুন, পাঁচটি দেশকে তাদের সার্বিক গুরুত্বের কারণে এই সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ‘ভেটো’ প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ যে কাজ করে তার জন্য বিশ্বব্যাপীই এর চাহিদা অনেক বেশি। তবুও কেন যেন এর কাজ করার ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। জাতিসংঘের ক্ষমতা হ্রাস না করে এর টিকে থাকার কোনো উপায় নেই। অতিথিপরায়ণ দেশে জাতিসংঘের ভূমিকা আরও বেশি প্রয়োজন।জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদ সর্বদা বিশ্বের অবস্থা পর্যালোচনা করার একটি উপলক্ষ। কিন্তু এই বছর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকীতে সংস্থাটির নিজেদের অবস্থা পর্যালোচনা করাও একটি উপলক্ষ ছিল। যেকোনো দিক দিয়ে বিবেচনা করলে জাতিসংঘের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চরম উত্তেজনার জন্য জাতিসংঘকে দোষারোপ করা যাবে না। তবে তারা এই উত্তেজনার মৌলিক সমস্যা তুলে ধরেছে। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, যেখানে চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেকেই একটি বা অন্য স্থায়ী দ্বন্দ্বের ইস্যুতে ভেটো-ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সেখানে সংস্থার বাকি অংশকে যেকোনো বিষয়ে এগিয়ে যেতে চরম বাধা হয়ে থাকে।মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, যেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতিসংঘ সংঘাত নিরসন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযান করে অনেক উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করেছে।ফিলিস্তিনি শরণার্থী লোকদের সাহাযার্থে জাতিসংঘ ব্যাপক মানবিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যদিও জাতিসংঘ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, তবু জাতিসংঘ যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং অনেক যুদ্ধ সংক্ষিপ্ত করতে সাহায্য করেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘকে কিছুটা কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়া এখন ভিন্ন ভিন্ন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের অসংখ্য কার্যক্রমে ইসরায়েল সরাসরি আক্রমণ করেছে। ইসরায়েল সরকার কেবল ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থা-এর মানবিক প্রচেষ্টাকেই বন্ধ করেনি। বরং সংগঠনটির কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের আগে গাজার পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রাখার জন্য জাতিসংঘের অনেক ভূমিকা ছিল। যদিও এটি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিভেদ কাটিয়ে উঠতে পারেনি, বিশেষ করে ২০০৬ সালে গাজায় হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর আরও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। জাতিসংঘ এই ছিটমহলের দুই মিলিয়ন মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা মেটাতে সহায়তা করতে পারত। তারা পূর্বে অনেক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এখন ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহযোগিতা প্রদানে জাতিসংঘের কাজের প্রায় প্রতিটি দিককেই আক্রমণ করেছে।

এসব কাজে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র নীরবভাবে সমর্থন করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চরমপন্থি সরকার; যা কিছু করে তার প্রায় সবকিছুই তিনি মেনে নিয়েছেন। 
ইতোমধ্যে জাতিসংঘ দক্ষিণ সুদান, যা একটি আধা ব্যর্থ রাষ্ট্র এবং সুদানে যেখানে একটি নৃশংস গৃহযুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করছে, সেখানেও কার্যকর প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। একইভাবে ১৯৬০-৬৩ সালে কাটাঙ্গা বিচ্ছিন্নতা থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব কঙ্গোতে সাম্প্রতিক শান্তি অভিযান বজায় রাখতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এমন সংকটের অভাব নেই, যেখানে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা বিশেষভাবে প্রয়োজন। গাজা ও সুদান থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, হাইতি, মায়ানমার এবং আফগানিস্তানে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দরকার। বৃহত্তর শক্তিগুলো একে অপরের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন সংঘাতে ব্যস্ত। ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলকে এসব কাজে সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিচ্ছে। জাতিসংঘ থেকে তহবিলও প্রত্যাহার করে নিয়েছে, যাতে এই প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে ভবিষ্যতে আরও দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের তহবিলের ২৫ শতাংশ প্রদান করে। এখন তারা তাদের অনুদান পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে মানবিক কার্যক্রমের জন্য স্বেচ্ছাসেবী অর্থায়নের ক্ষেত্রেও এটি অনেক বড় অংশ। কিন্তু এখন এই তহবিলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুদানকারী চীনও তার অর্থ প্রদানে পিছিয়ে রয়েছে।আর্থিক পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটতে থাকায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি এই সংস্থাটির কর্মীদের এক-পঞ্চমাংশ ছাঁটাই করার নির্দেশ দেন। কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে কর্মীদের মনোবল অনেক কম, এতে উন্নতির সম্ভাবনাও কম। 

সাধারণ পরিষদে ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক ভাষণে স্পষ্ট করে বলেছেন, জাতিসংঘের প্রতি তার অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নেই। তিনি কেবল নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য জাতিসংঘকে সাহায্য করতে পারেন। ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তরাষ্ট্রের বহুপক্ষীয় প্রতিশ্রুতি আরও খারাপ করে তুলবে। জাতিসংঘের কি কোনো ভবিষ্যৎ আছে? যদিও এর চাহিদা আগের মতোই বিশাল, তবুও এর কাজ করার ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পেয়েছে।বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের ক্ষমতা হ্রাস না করে টিকে থাকার কোনো উপায় নেই। ঠিক কীভাবে জাতিসংঘ তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে, তা আগামী কয়েক বছর সেটিই মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।২০২৬ সালে গুতেরেসের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের দীর্ঘমেয়াদি টিকে থাকার বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক হতে থাকবে। জাতিসংঘের সদর দপ্তরটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে স্থানান্তর করা একটি স্বাভাবিক পদক্ষেপ। কেবল জাতিসংঘ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল প্রত্যাহার এবং খরচ সাশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তার কারণেই নয়, বরং জাতিসংঘের সমাবেশে যোগদানকারীদের ভিসা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকৃতির কারণেও সদর দপ্তর স্থানান্তর করা দরকার। জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে রাখার প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মনে করেন না। অনেক দিক থেকেই ভিন্নভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। জাতিসংঘের সদর দপ্তর স্থানান্তরই হতে পারে এর টিকে থাকার একমাত্র উপায়। জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব ড্যাগ হ্যামারস্কজোল্ড মন্তব্য করেছিলেন, সংস্থাটি বেহেশত প্রদানের জন্য নয়, বরং আমাদের নরক থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। জাতিসংঘের এই কাজটি আগের মতোই এখনো গুরুত্বপূর্ণ।জাতিসংঘের এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে সবকিছু পরিবর্তন করতে হবে। জাতিসংঘ যে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে, সে কথা স্বয়ং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস স্বীকার করেছেন।

শান্তিরক্ষার বাইরে এই মুহূর্তে জাতিসংঘের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ জলবায়ু-সংকটের মোকাবিলা। আর মাত্র ১০ বছরের মধ্যে যদি ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা কমিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে বিশ্ব এক অনিবার্য ভয়াবহ বিপর্যয়ে নিক্ষিপ্ত হবে। এ জন্য একদিকে প্রয়োজন জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন সূর্য বা বাতাসের ব্যবহার বাড়ানো। অথচ যাঁরা এই বিশ্বের হর্তাকর্তা,তাঁরাই সবচেয়ে বেশি গ্যাস-তেলের কারবারি।অন্য যে কাজটি করা একই রকম জরুরি, তা হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান। এ ব্যাপারে ধনী দেশগুলো লম্বা লম্বা কথা বলেই তাদের দায়িত্ব সেরেছে, অর্থপূর্ণ খুব সামান্যই করেছে। আন্তোনিও গুতেরেসের ভাষায়, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেশগুলোর এই ব্যর্থতায় বিশ্ব এখন ভীষণ সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব সংস্থা হিসেবেও জাতিসংঘ এখন একরকম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এক ভাষণে গুতেরেস বলেছিলেন, ‘একতাবদ্ধ হওয়ার বদলে আমরা বিশ্বকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলছি। লক্ষ্য অর্জনের বদলে আমরা একে-অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এভাবে জড়িয়ে গেছি যে সংস্থাটি তার চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলছে।’ মহাসচিব তাঁর স্বভাবজাত কূটনৈতিক ভাষা ত্যাগ করে সে ভাষণে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘আমাদের বিভক্তি বাড়ছে, অসাম্য বাড়ছে, লক্ষ্যপূরণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। বড় বিপদে পড়ে গেছি আমরা। যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল, অর্থাৎ সব রকমের আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সমন্বিত কার্যক্রম-তা অনুসরণের বদলে এখন বড় বড় দেশ যে যার মতো নিজেদের প্রভাবাধীন জোট গড়ে সেখানেই বিচারসভা বসাচ্ছে। জি-৭, জি-২০ বা ব্রিকস-এসবই এক অর্থে ছোট ছোট জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ যে ক্রমেই তার কার্যকারিতা ও প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে, তার এক বড় কারণ এই সংস্থা বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে বা বদলাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের দিকে তাকান। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরিষদের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। যে পাঁচটি দেশ সেই ১৯৪৫ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো অধিকার নিয়ে বসে আছে, তার তিনটিই ইউরোপের। ফ্রান্স বা যুক্তরাজ্য একসময় বিশ্বশক্তি ছিল, এখন তারা নিজেদের অতীতের ছায়ামাত্র। তাহলে কী হবে? বাস্তবতা মেনে সরে দাঁড়াতে বললে তারা কখনোই রাজি হবে না। আফ্রিকা মহাদেশ বা আরব দেশগুলো থেকে এই পরিষদে কোনো স্থায়ী সদস্য নেই। তৃতীয় বিশ্ব থেকে চীন আছে বটে, কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে বৃহত্তম ভারত তেমন সুযোগ থেকে বঞ্চিত। লাতিন আমেরিকার কোনো দেশেরও সেখানে পা রাখার স্থায়ী কোনো জায়গা নেই। এক কথায়, গত আট দশকে বিশ্ব বদলেছে, কিন্তু বিশ্ব সংস্থা বদলায়নি।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক, লন্ডন 

Aminur / Aminur

নাগরিক ভোগান্তি রোধে দরকার পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস ও জনসচেতনতা

জাতিসংঘের ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব

রাজনীতিতে রাজা আছে, নীতি নাই

গণতন্ত্রে উত্তরণে তারেক রহমানের যত চ্যালেঞ্জ

তুরস্কের প্রত্যাবর্তন: মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন সম্ভাবনা

জীবনের জয়গানে সড়ক হোক মুখরিত

এক ভয়ংকর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ

জয় হোক বিশ্ব মানবতার

আলোর উৎসব দীপাবলি :শান্তি ও সম্প্রীতির জয়গান

কর্পোরেট দুনিয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিলুপ্তির সম্ভাবনা: প্রযুক্তির ঝড়, না কি মানবিক পুনর্জাগরণ?

জুলাই সনদ স্বাক্ষর হলো, সংশয় কি কাটলো

পুলিশ - সাংবাদিক দূরত্ব কাম্য নয়

গাজার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ