ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে ফলছে সবুজ ফসল 


ফুলছড়ি প্রতিনিধি photo ফুলছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭-১২-২০২২ দুপুর ২:১৭

প্রতিদিন পাল্টে যাচ্ছে ভাঙন কবলিত ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের চরের অর্থনীতি। জেগে ওঠা বিশাল চরে গড়ে উঠেছে বসতি ও গো-খামার। শুষ্ক মৌসুমে বিশাল আকৃতির এই চরে চাষাবাদ করা হচ্ছে ভুট্টা, আলু, মরিচ, ধান, পাট, কাউন, তিল, বাদামসহ নানা শাক-সবজি।

জনবসতিহীন দূর্গম চরে এখন বসেছে প্রাণের মেলা। চরে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর অনেকেরই রয়েছে গরু ও ছাগলের খামার। ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করে পাল্টে যাচ্ছে কাবিলপুর, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ি, হরিচন্ডী, জিগাবাড়ি, ফজলুপুর ও উড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি চরের অর্থনীতি।

ফসল ও সবজি চাষের বিপুল সম্ভাবনাময় ফুলছড়ি উপজেলার চর অঞ্চলে একটি পরিকল্পনা নিয়ে যাত্রা শুরু করলে সম্ভাবনাটি বাস্তবে রূপ নেবে। অভাব ঘুচবে অভাবী চরবাসীর। উৎপাদন বহুগুণে বাড়বে ফসল কিংবা সবজিজাত সামগ্রীর। অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে চরাঞ্চলসহ গাইবান্ধা জেলা জুড়ে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ভাঙন কবলিত ব্রহ্মপুত্র নদীর চরগুলো ক্রমশ আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। আর এসব জমিতে আবাদ হচ্ছে এক ধরনের অর্থকরী ফসল। গত কয়েক বছরে খণ্ড খণ্ড আকৃতির ছোট বড় চর-দ্বীপচর  জেগেছে। এসব চরে অনেক মানুষে মাথা গোজার ঠাঁই করে নিলেও বর্ষা মৌসুমে পড়তে হয় ভয়াবহ ভাঙনের ঝুঁকিতে। বর্তমানে চরের অনেক স্থানে বসতি স্থাপন করে তাতে বসবাস করছে চরাঞ্চলের মানুষেরা। নদীর পাড় থেকে তাকালেই চোখ ধাঁধানো বর্ণিল সবুজ ফসলের সরব উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে নদীবক্ষ থেকে পানি তুলে সেচ দিয়েছেন কৃষকেরা। পরিত্যক্ত চরে ফলিয়েছেন সবুজ ফসল।

ব্রহ্মপুত্রের পারঘেঁষে থাকা প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে গবাদি পশু। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এসব কৃষক তাদের শত শত গরু-ছাগল নিয়ে এসেছেন চরে। পলি মাটির আস্তরণে জেগে ওঠা ঘাস, বিচালি খাইয়ে তারা গরু-ছাগল গুলোকে লালন করছেন। এক সময়ে ব্রহ্মপুত্র  নদীর পানির প্রাচুর্য্যতা থাকলেও ক্রমশ তাতে ভাটা পড়েছে। এখন জেগে উঠেছে বিস্তীর্ণ চর-দ্বীপচর।যেসব ফসলি জমি একদিন বিলীন হয়ে গিয়েছিল সেখানে পুনরায় নতুন করে চোখে পড়ছে ফসলের ক্ষেত। (৭ ডিসেম্বর বুধবার) ব্রহ্মপুত্র নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে ওঠা  চর-দ্বীপচর ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

শুধু ফসল কিংবা গো খাদ্য নয়। ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ও ফুলছড়ি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর বুক জুড়ে বিশাল চর জেগে ওঠায় সেখান থেকে খেয়াঘাট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রায় তিন চার কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর করা হয়েছে। যার ফলে ঘাট পারে গড়ে উঠেছে ধান ও গো খাদ্য নানা রকম জিনিসপত্র কেনাবেচার অস্থায়ী দোকান। বিশাল এই বালুময় চরে খেয়াঘাটের যাত্রীদের ক্রয় কৃত মালামাল স্বল্প সময়ে পৌছে দিতে অনেকে ঘোড়ার গাড়ি চালনা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

চরে গরু নিয়ে আসা সঞ্জু মিয়া বলেন, গো খাদ্যের দাম এখন অনেক বেশি। ধানসহ নানা ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে চরে। ঘাস বিচালিও রয়েছে প্রচুর। এগুলো টাকা দিয়ে কিনতে হয় না। যে কারণে আমার গরুগুলো নিয়ে চরে এসেছি।

পূর্ব পারুলের চরের কৃষক মোঃ আব্দুর রশিদ, জানান, ক্রমশ এ চরটির পরিমাণ বাড়ছে। পলি পড়ে ফসল চাষে উপযোগী হচ্ছে তাদের এসব জমি। প্রায় তিনযুগ আগে তাদের পূর্ব পুরুষের জমিতে তারা নতুন উদ্যমে চাষ আবাদ শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ফুলছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া আকাশ জানান, চরাঞ্চলের উন্নয়নকে ঘিরে যদি মেগা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায় এবং নদী শাসনের মাধ্যমে চরগুলোতে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়ানো যায়, সেই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা যায়, তাহলে চরগুলো পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য-প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটবে। স্থায়ী কিছু বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করে কমিউনিটি ভিত্তিক ফসল চাষ, বিক্রি এবং চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।  এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় ব্রহ্মপুত্র নদীর চরের অর্থনীতি পাল্টে যাবে। সে লক্ষ্যেই আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে নদীভাঙা মানুষগুলো।

জনবান্ধব সরকারের কাছে চরাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার ৬০% শতাংশ (প্রায় দেড় লাখ) মানুষ বাস করেন ৬০-৭০টি চরে। এই চরগুলোতে যাওয়ার জন্য ভালো কোনো রাস্তা নেই। শুকনো মৌসুমে বছরের পাঁচ থেকে ছয় মাস চরের মানুষ পায়ে হেঁটেই বাজার-ঘাটে আসা যাওয়া করেন। মালামাল পরিবহনে ব্যবহার করেন ঘোড়ার গাড়ি। যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ার জন্য কর্ম এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত যান না। ঠিক সময়ে আসা-যাওয়া করেন না স্কুলের শিক্ষকরা । ভালো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই এই চরাঞ্চলে। 

প্রীতি / প্রীতি

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত