মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান
স্বাধীনতার ৫১ বছর: প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

বিলম্বে হলেও আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। কিন্তু আরও বহুদূর যেতে হবে সত্যিকারের সুখী-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্নের সোনার বাংলারূপে গড়ে তুলতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপনের দেশবাসীর বড় ভাগ্যবান। কত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের উল্লাসে মুক্ত জন্মভূমিতে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দে উল্লসিত হয়েছেন, কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপনে শামিল হতে পারেননি। কারণ তারা দুনিয়াতে বেঁচে নেই। যে গুটি ক'জন বেঁচে আছেন তারাও নিরবে নির্বিতে স্মৃতি গুলোকে আগলে রেখে আছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো তারা আজ প্রাপ্তির মুকুটে থাকতেন। প্রধানমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর বাবার ডাকে যারা বাঁশের লাটি নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন।
আজ বিজয়ের দিনে আপনাদের জানাবো সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও প্রত্যাশার কথা-
বীরমুক্তিযোদ্ধা আপ্তাব উদ্দিন ৭১'র রণাঙ্গনে হাতের লাঙ্গল ফেলে দিয়ে শেখ মুজিব এর ডাকে পাক হানাদার হটাতে এক কাপড়ে বেরিয়ে যান মায়ের দোয়া নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানী পেয়ে বুড়ো বয়সে চলছেন নতজানু হয়ে পরের বাসায় ভাড়াটিয়া হয়ে। শুনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের বসতবাড়ি করে দিচ্ছেন খুশিতে প্রাণে হাজারো বছর বেঁচে থাকার নিশ্বাস। কিন্তু দিন, মাস, বছর গেলেও মুক্তিযোদ্ধা আপ্তাব উদ্দিন সেই জায়গা বা বাসস্থান না পেয়ে ঘুরছেন ভূমি অফিস পাড়ায়। সাংবাদিকের দেখা হলে বলছেন আপনারা একটু কথা বলে দেখেন কেনো তড়িঘড়ি। মরার আগে সেই জমি টুকরোতে বউ বাচ্চাকে রেখে যেতে চান তিনি।
উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মালেকুল ইসলাম বেঁচে নেই। বাজারে দেখা হলে বলতেন "সাংবাদিক চাচা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলো কবে সেই কমপ্লেক্সে আমার সহকর্মীরা ডুকে গল্পসল্প করবো" মৃত্যুপথে যাওয়ার কিছু প্রাক্কালে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিলো অবশ্য।
মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য তারা মিয়া বেঁচে নেই। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন পরের জায়গায়। তাঁর স্ত্রী পুত্র জানিয়েছেন বাবা মুক্তিযোদ্ধা গর্বে বুক ভরে যায়। শেখ হাসিনা সরকার যদি জানতেন আমার স্বামী পরের জমিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তাহলে হয়তো নিজের অজান্তে চোখ বেয়ে অশ্রুজল পরতো। আমরা ভাই-বোন নয় জন। মাথা টেকানোর জায়গা করে দিলে আমৃত্যু ঋণী থাকবো।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান হাসনু। ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম। শেখ মুজিব এর ডাকে ঘরে বসে থাকেন নি। ফিরে এসে কিছুই ফেলেন না। মাছের ব্যবসা করে সংসার চালালেও এখন আর চরণ চলে না। এখন নির্ভরশীল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীর উপর। বয়সের ভারে নতজানু এর মাঝে "মরার উপর খড়ার ঘা" নদী ভাঙনের কবলে সারা ঘর কুশিয়ারা গর্ভে। পরে সরকারের ০১ নং খতিয়ানের জায়গা দখল কিনে কোনো রকম দিনযাপন করছেন হাওরের মাঝখানে। নাই কোনো রাস্তাঘাট। বর্ষার সময়ে মনেহয় তারা যেনো পানির উপরে ভাসছেন। প্রলয়ঙ্করী বন্যা-২০২২'এ তাবু বানিয়ে বউ, বাচ্চা, নাতিপুতিদের নিয়ে তাবু টাঙিয়ে থেকেছেন রাস্তায়। মরণপথের যাত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান হাসনু সরকার প্রধানের কাছে নিকট আকুতি করেছেন- জীবনের শেষ সময়টুকু যে জায়গায় কাটাচ্ছি ওই জমিতে আমার স্ত্রী সন্তান কে একটি সুন্দর বাড়ি বানিয়ে দেন।
মুক্তিযোদ্ধা খালিক মিয়া বেশ আগেই পরপাড়ে চলে গেছেন। এখন স্ত্রী পুত্র ও কন্যা সন্তানেরা বাসায় বাসায় থাকতে হচ্ছে। তাঁদেরও দাবি মাথাগোঁজার টাই যেনো করে দেন শেখ হাসিনা সরকার।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ কালে আওয়ামী লীগ সরকার যা যা করেছে তারা মন থেকে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেছেন। তারা জানান, আমরা সরকারের উপর তথা শেখ হাসিনার উপর অনেক খুশি আছেন। সরকার প্রধান তাঁদের সম্মানী বৃদ্ধি করেছেন। সকল পর্যায়ে সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। সবশেষ বলেন, "শেখের বেটি যেনো হাজার বছর বেঁচে থাকেন এই দোয়া করি।"
সূত্র জানায়, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধারা একবার করে জমি পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা আপ্তাব উদ্দিন ছাড়া। ভূমি অফিসের নাজির তৈয়ব আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধারা জমি পেয়ে বিক্রি করে দেন। একাধিক বার কাউকে জমি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরদিকে জমিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা জানান, তাঁদের জমি দেয়া হলেও দখলে যেতে পারেন না তারা। জমি সরকারের ০১ নম্বর খতিয়ানে থাকলেও দখলি মালিকদের সামনে অসহায় মুক্তিযোদ্ধারা। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা আপ্তাব উদ্দিন বুড়ো বয়সে অফিস পাড়ায় হাটছেন ০২ বছর। একাধিক বার কাগজপত্র জমা দিলে দুই বছরেও সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। সবশেষ আপ্তাব উদ্দিন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার তাকে বলেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছুটি থেকে আসলে পাবেন।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানান, বালাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাতটি গৃহ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার নিচ্ছে না। বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব শিঘ্রই হবে। আরেক প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, পূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু জমি দেয়া হয়েছিলো এখন তাদের নামে রেকর্ডও হয়েগেছে। তারা নিজেদের জায়গায় এখন যেতে পারবে।
সুজন / সুজন

রাজবাড়ীতে বাড়ি থেকে মাকে বের করে দিল ছেলে-পুত্রবধূ!

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা
