ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোন সিলেটে দফায় দফায় ভূমিকম্পে জনমনে আতঙ্ক

শনিবার (২৯ মে) সিলেট দিনের প্রথম ভাগের শুরু হয় ভূমিকম্প আতঙ্কে। দফায় দফায় তিনবার কেঁপে ওঠে সিলেট। বেলা সাড়ে ১১টায় তৃতীয় দফায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর আগে সিলেটে ১৪ মিনিটের মধ্যে দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় সকাল ১০টা ৩৭ ও ১০টা ৫১ মিনিটে। তবে সিলেট আবহাওয়া অফিস ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও রিখটার স্কেলের মাত্রা জানাতে পারেনি। ভূমিকম্পে সিলেটের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিলেটে ১৪ মিনিটের ব্যবধানে দুবার এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবারে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর উৎপত্তিস্থল ও রিখটার স্কেলের মাত্রা কত ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন সিলেট তীব্র ভূকম্পপ্রবণ?
ভূমিকম্পের মাত্রা অনুসারে বাংলাদেশকে তিনটি ভূকম্পন বলয়ে ভাগ করা হয়েছে। এক নম্বর বলয়ে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৯ পর্যন্ত বা তার অধিক হতে পারে। এই এক নম্বর বলয়েই রয়েছে সিলেটের নাম। সিলেট ছাড়াও এই বলয়ের আওতাভুক্ত এলাকা হচ্ছে ময়মনসিংহ, রংপুর, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল। মার্কিন অধ্যাপক রজার বিলহাম ২০০১ সালের আগস্টে উপমহাদেশের ভূমিকম্প প্লেট (টেকনোটিক প্লেট) গবেষণা করে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তা জেনে সিলেটের মানুষের চমকে ওঠারই কথা। তিনি রিপোর্টে উল্লেখ করেন, এই দশকের মধ্যেই উপমহাদেশে বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বড় ধরণের ভূমিকম্প হবে। আর বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম বলয়ে অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে এই ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে সিলেট ডিজাস্টার ফোরাম আয়োজিত একাধিক সেমিনারে গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ১০০ বছর পরপর পুনরায় ভূমিকম্প হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
সিলেটে ১৮৯৭ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৯৭ সালের ১২ জুনের সেই গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়াক (আসাম আর্থকোয়াক নামে ভারতে পরিচিত) যার মাত্রা ছিল রিকটার স্কেলে ৮ দশমিক ৭। তখন থেকে এ পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান প্রায় ১২৫ বছর। এসব তথ্য উপস্থাপন করে বিশেষজ্ঞরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে ৭ থেকে ৮ -এর অধিক মাত্রায় ভূমিকম্প হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করেন। কোনো জায়গায় বড় ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার আগে পূর্ভাবাস হিসেবে আগে থেকেই মৃদু ভূকম্পন হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট অঞ্চলে ২০০০ সাল থেকে গত ১৮ বছরে ৫০০ বারেরও বেশি মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এই তথ্যও সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আগাম ইঙ্গিত বহন করে। গত ২০ দিনের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্প সিলেটে সংঘটিত হয়েছে। মাত্রা কম থাকলেও শব্দ আতঙ্ক ছড়িয়েছে বেশ। এছাড়া ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেশ কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দেয়। আর গত কয়েক বছরে একাধিকবার ভুমিকম্প হওয়ায় সারাদেশের মতো সিলেটের মানুষের মধ্যেও অজানা আতংক বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, ভূমিকম্পের জন্য ‘রেড জোন‘ বলে চিহ্নিত সিলেটের মানুষ অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি আতংকিত।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে আবহাওয়া অধিদফতরের সিলেট কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান, সিলেট ইন্দো-অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোশিয়া এই দুটি প্লটের উপর অবস্তিত। এ দুথটি প্লেটই ভূমিকম্পপ্রবণ। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় ১৮৯৭ সালের ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়া প্লেটে ফল্ট তৈরি হয়েছিল। এই ফল্টটি সিলেটের খুব কাছেই। সিলেটের গোয়াইঘাটে জাফলংয়ের ওপারে ভারতের ডাউকি এলাকায় ভূগর্বে ফাটল তৈরি হয় ১৮৯৭ সালে। তা ডাউকি ফল্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই ফল্টের কারণে সিলেট বেশ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে।
এমএসএম / জামান

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান

ভূরুঙ্গামারীতে নদীর বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

নরসিংদীতে সম্মানজনক বেতন ও এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ
