ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

খুলনায় হাসপাতালে বাক্সেই নষ্ট কোটি টাকার যন্ত্র:চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছে না রোগীরা


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ১৬-১-২০২৩ দুপুর ১:১১

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ২০১১ সালের মে মাসে এসেছিল আট কোটি টাকা মূল্যের লিনিয়ার অ্যাকসেলারেটর রেডিওথেরাপি মেশিন। তখন মেশিনটি বসানোর কোনো অবকাঠামো ছিল না। ফলে মেশিনটি বাক্সবন্দি করে রাখা হয়। ওই অবস্থায় ১২ বছর কেটে যাওয়ায় এখন তা আর ব্যবহার উপযোগী নেই। 

ক্যান্সার চিকিৎসায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই বললেই চলে।  অনেক যন্ত্রপাতি খুলনার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাক্সবন্দি অবস্থায় থেকে কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ফলে একদিকে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ঘটছে। অন্যদিকে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, লিনিয়ার অ্যাকসেলারেটর রেডিওথেরাপি মেশিন ছাড়াও সেখানকার রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের দুটি সিটি স্ক্যান মেশিনের মধ্যে একটি, একমাত্র ৩০০ এমএম এক্সরে মেশিন, ছয়টি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের মধ্যে দুটি অচল হয়ে পড়ে আছে। এসব মেশিনের মূল্য কয়েক কোটি টাকা। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও একই অবস্থা। মূলত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার উপযোগী জনবল না থাকায় এ অবস্থা। ফলে সম্পদ ও সেবা দুটোরই ক্ষতি হচ্ছে।

সূত্র মতে, ২০১১ সালের ১৫ মে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য লিনিয়ার অ্যাকসেলারেটর রেডিওথেরাপি মেশিনটি কেনা হয়েছিল। তখন ক্যান্সার ইনিস্টিটিউটে ওই মেশিনটি স্থাপনের সুযোগ না থাকায় তা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়ে খুমেক হাসপাতালেও মেশিনটি স্থাপনের কোনো সুযোগ ছিল না। ফলে সেটি বাক্সবন্দি করে অনকোলজি বিভাগের সামনে রাখা হয়। ২০১৫ সালে ১৭ নভেম্বর মেশিনটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ভ্যারিয়েন মেডিক্যাল সিস্টেম’-এর এক প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করে জানায়, এটি খুমেক হাপাসপাতালে স্থাপনের জন্য বিশেষ অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। এতে খরচ হবে সাত কোটি টাকা।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তখন সেই টাকা না দিয়ে তা জাতীয় ক্যান্সার ইনিস্টিটিউটে ফেরত নিতে চায়। যেহেতু মেশিনটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত ও বাক্সবন্দি ছিল, তাই ক্যান্সার ইনিস্টিটিউট মেশিনটি নিতে চায়নি। এভাবেই মেশিনটি বাক্সবন্দি থেকেই ১২ বছর পার করেছে এবং ব্যবহারের উপযোগিতা হারিয়েছে।

খুলনার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর অবস্থাও একই। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। তবে তা ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনবল নেই। এর ফলে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম ও অ্যানেসথেসিয়া মেশিনগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুকিতুল হুদা বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের তিন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তা হচ্ছে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও সার্জারি। আমাদের এখানে কেমোথেরাপি দেওয়া হয় ও সার্জারি করা হয়। তবে আমরা রেডিওথেরাপি দিতে পারি না। রেডিওথেরাপি দেওয়ার জন্য লিনিয়ার অ্যাকসেলারেটর মেশিনটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক যুগ ধরে বাক্সবন্দি থাকায় তা এখন অকেজো হয়ে গেছে।

ফলে যেসব রোগীর কেমো বা সার্জারি পর টিউমার ধ্বংস করতে রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হয়, তাদের ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রেফার করা হয়।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত