জোনাল অফিসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে তিতাস গ্যাসের গ্রাহক নাম পরিবর্তন
জালিয়াতি করে এক গ্রাহকের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে, গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসের মিরপুরের জোনাল অফিসের ব্যাবস্থাপকের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, রাজধানীর মিরপুর শাহআলীরবাগ একটি সাততলাা বাড়ির ওয়ারিশগনকে বঞ্চিত করে গ্যাস লাইন, নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন অপর ওয়ারিশ। অভিযুক্তের দাবি, নিয়ম মেনেই হয়েছে সব। এদিকে, তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগ প্রমাণ হলে, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর মিরপুরে ৬১/৬ শাহআলীরবাগে একটি বাড়িতে আব্দুল মজিদ রোকানী নামে তিতাস গ্যাসের একটি সংযোগ আছে যার গ্রাহক সংকেত নং-১০৪০২৭৬৭৯।আব্দুল মজিদ রোকানী মারা যাাওয়ার পরে তার একমাত্র ছেলে আব্দুল হাফিজ রোকানী ও ০৪ মেয়ের মধ্যে বন্টননামা সম্পপাদিত হয়।ওয়ারিশদের মধ্যে ছেলে হিসেবে অগ্রধিকার ভিত্তিতে অন্যন্য ওয়ারিশদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে আব্দুল হাফিজ রোকানী ঐ ভবনের ২য় তলায় নিজ নামে সংযোগটি নামজারী করে ব্যাবহারর করে আসছিলেন এতদিন।গত ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আব্দুল হাফিজ রোকানী মারা যান।তার মৃত্যর পরে গত ২০২১ সালে শামীমা হাসান নামে অপর একজন ওয়ারিশ গ্যাসের সংযোগটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে স্বাক্ষর নকল করে নো-অবজেকশন কাগজ বানিয়ে তিতাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে গ্যাস সংংযোগটি নিজ নামে নামজারী করে নিয়ে আসেন।মৃত ব্যাক্তির স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে,তিতাস গ্যাসের মিরপুর জোনাল অফিসের ব্যাবস্থাপক রফিকুল ইসলামকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ঐ সংযোগটি শামীমা হাসান নামে নতুন করে নামজারী দেয়া হয়।তিতাসের নকশায় সংযোগটি দীর্ঘ বছর যাবতদোতলায় অবস্থান দেখানো হয়েছে এবং আব্দুল হাফিজ রোকানী নামে হাল-নাগাদ বিল পরিশোধ আছে।শামীমা হাসান নাম পরিবর্তনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন তাকে সহায়তা করেছেন তিতাস গ্যাসের ১১ নং জোনের ব্যাবস্থাপক রফিকুল ইসলাম।প্রতিকার চেয়ে ২০২৩ জানুয়ারী মাসের শেষদিকে মিরপুরে তিতাসের স্থানীয় অফিসে আবেদন করলেও, তাতে সাড়া পায়নি ভুক্তভোগী।
প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ আমলে নিয়েছে তিতাস গ্যাস। , বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অনিয়ম হলে প্রতিকারের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
মিরপুরের তিতাস গ্যাসের জোনাল অফিসের ব্যাবস্থাপক রফিকুল ইসলাম দৈনিক সকালের সময় কে জানান,বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে,এটা তাদের পারিবারিক সমস্যা,আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি।
এমএসএম / এমএসএম