পাইকগাছার বিভিন্ন নদীতে পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে নারী-পুরুষ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন নদীতে পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে নারীরা। সেই সাথে জীবন সংগ্রামে সংসারের বোঝা টানতে নদী থেকে পোনা আহরণের পর রাতে সেই পোনা পৌঁছে দিচ্ছে মৎস্য ঘেরে।
অভাব অনটনের কারণে বিকল্প আয়ের পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে চিংড়ীর পোনা আহরণ করছেন। প্রতিদিন ভাটার সময় ছোট জাল দিয়ে শুধু বাগদার পোনা আহরণ করেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে যে অর্থ পান তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন। গোনমুখে ভাটার সময় প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার চিংড়ি পোনা আহরণ করেন। পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন নদীতে শত শত নারী-পুরুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাঁরা মনে করেন, নদী থেকে চিংড়ি পোনা আহরণ বন্ধ রাখতে হলে তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থানে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজ করতে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেক পরিবারে অভিভাবকশূন্য পরিবারটির সব দায়িত্ব পড়ে যাচ্ছে নারীর উপর। ফলে দিন দিন তাদের পারিবারিক বন্ধন ক্ষীণ হতে থাকে। তাছাড়া অনেকে সময়মতো সাংসারিক খরচ পাঠাতে পারে না। এতে বাড়িতে থাকা নারীকে সংসার সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। আবার অনেক বিধবা নারীর পরিবারে উপার্জন করার মতো কোন লোক না থাকাই সমস্ত দায়িত্ব ঐ নারীকেই নিতে হচ্ছে। নারীর দায়িত্ব তখন সংসার সামলানোতেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন ধারনের জন্য অর্থ উপার্জন করার দায়িত্ব ওই নারীকেই নিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় তাকে। ফলে নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। আর নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার কারণে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। পুরুষ শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে গেলেও বেশির ভাগ সময় নারী শ্রমিকরা বাড়িতে বেকার পড়ে থাকেন। অর্থ উপার্জনের বিকল্প কোন পথ না থাকায় নারীরা তখন বাধ্য হচ্ছেন নদীতে মাছের রেনু পোনা সংগ্রহ করতে।
পাইকগাছা উপজেলার সব থেকে বেশি পোনা আহরণ কারিদের দেখা যায় শিবসা নদীর দু'ধার দিয়ে শত শত নারী-পুরুষ পোনা আহরণ করছে। কথা হয় শিবসা নদীর তীরে রবিউল,বারিক, কামরুল,সখিনা বেগম, আকলিমারা জানান, অনেক সময় ভোর রাতে নদীতে জাল টানতে গেলে খুব ভয় লাগে। নদীতে কামট, কুমোর, সাপ, সোস থাকে আবার হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে যখন তখন ঝড় উঠতে পারে যে কোন মুহুর্তে বিপদ আসতে পারে। তাছাড়া নদীর পানির ভিতর সবুজ রঙ্গের কিরাল সাপ (সাপটি লম্বা হয় ৩/৪ ফুট এবং চওড়া হয় ২/৩ ইঞ্চি) থাকে কামড় দিলে মানুষ বাঁচে না।
শুধু সংসার চালাতে ভয়ডর বাদ দিয়ে নদীতে পোনা ধরতে নামতে হচ্ছে।
শামুকপোতা গ্রামের বিধবা নারী নুরনাহার (৪৮) বলেন, ‘হ্যাচারীর মালিকরা সাগর থেকে মা মাছ ধরে নিচ্ছে এবং তাছাড়া নদী মরে যাচ্ছে। তাই সাগর থেকে মাছ উপরের দিকে আসতে পারছে না। যে কারণে নদীতে মাছ ও পোনা কম পড়ছে। তাছাড়া নদীতে জেলের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যদি ১০ জন জাল টানতো কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন জাল টানছে। সেই সাথে পোনা আহরণের জন্য রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পেটের জ্বালায় নদীতে পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম

সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারপিট, স্বামী আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুরে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত মহল্লা গড়তে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আদমদীঘিতে শারর্দীয় দুর্গাপুজা শান্তিপুন ভাবে উদযাপনের লক্ষে প্রস্ততিমুলক সভা

রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার

মির্জাগঞ্জে নয় মাসের নাতি কে নিয়ে বিপাকে বৃদ্ধা ভানু বেগম

শালিখায় গ্রীষ্মকালীন ক্রিড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

কুতুবদিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইনসিওরেন্সের গ্রাহক পরিবারকে মৃত্যুদাবী প্রদান ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত
