ডিসিদের উপর স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকির দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণায় সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা বিএমএ শাখা

বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের তদারকির দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের খুলনা শাখা। বুধবার বেলা ১২টায় খুলনার বিএমএ ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ৮টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বিএমএ খুলনা শাখার চিকিৎসক নেতৃবৃন্দরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা.শেখ বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে চিকিৎসকদের মর্যাদা লুণ্ঠিত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির জন্য উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলায় সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পর্যায়ে পরিচালক এবং সবার ওপরে রয়েছেন মহাপরিচালক ও তাঁর দপ্তরের পরিচালকেরা। উপযুক্ত তদারক কর্তৃপক্ষ থাকা সত্ত্বেও অপেশাদার, ঔপনিবেশিক ভাবধারার আমলা দিয়ে অতিরিক্ত তদারক করা হলে দ্বৈত তদারকির ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ডা. শেখ বাহারুল আলম আরও বলেন, আমরা মনে করি, এটি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমলাতন্ত্রের পূর্বনির্ধারিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আমলাদের একটি কুচক্রী মহল স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলে প্রশাসনিক ক্যাডার ও চিকিৎসকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করা হলে চিকিৎসকেরা তা মেনে নেবেন না এবং যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক নেতারা বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জনবল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্রের সংকট নিরসনের দাবি জানিয়ে আসছেন। পাশাপাশি পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য রোধের দাবিও বিভিন্ন সময় তুলে ধরেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় দাবি পূরণে সব সময় উদাসীন রয়েছেন। এজন্য অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন চিকিৎসকেরা। দাবীগুলো হলো- ১) গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্ব ডিসিদের উপর হস্তান্তরের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে,২)রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসার স্বার্থে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রের সংকট নিরসন করতে হবে,৩)কৃত্য-পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য রোধ করতে হবে ৪) চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে এবং চিকিৎসা কেন্দ্র সমূহ রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন প্রনয়ণ ও পর্যাপ্ত প্রহরী নিয়োগ করতে হবে ৫) চিকিৎসা দিতে গিয়ে কোন রোগীর মৃত্যু ঘটলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাষ্ট্রের কাছে দায়মুক্তি ভোগ করার আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে,৬)বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজনের তাগিদে চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা সহজ ও সুগম করতে হবে,৭) পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনী চিকিৎসকদের সর্বক্ষনিক হাসপাতালে থাকতে হয় তাই তাদের আবাসন ব্যবস্থা এবং অতিরিক্ত সময়ের জন্য সম্মানিভাতা প্রদান করতে হবে ৮) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আবাসন স্থানের সম্প্রসারন ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা.বাহারুল আলম বলেন,স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী প্রয়োজন হলে বিএমএ করবে। কিন্তু ডিসিদের উপর স্বাস্থ্য বিভাগ তদারকীর প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। ডিসিদের অধীনে একাধিক জনবল থাকলেও সিভিল সার্জনের অধীনে একাধিক জনবল নেই। বিএমএ বিভিন্ন সময়ে জনবল ঘাটতি পূরনসহ অনেক দাবী তুলে ধরলেও মন্ত্রনালয় উদাসিন থেকেছে। করোনাকালীন সময়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মন্ত্রনালয় ডিসি এবং উপজেলা প্রশাসনের ওপর তদারকীর দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা সবসময় তাদের সাথে সমন্বয় করে রোগীদেরকে নিজেদের জীবন বাজি রেখে স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছেন। স্বারকলিপি প্রদাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের যেীথ উদ্যোগে স্বারকলিপি প্রদানের সময়ে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএমএ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী নেওয়াজ, সহসভাপতি এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, মোল্লা হারুন অর রশিদ ও শামসুল আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি, ডিসি সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তৃণমূল পর্যায়ের হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ডিসিদের তদারকির প্রস্তাব দিয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালেও ডিসিদের ভিজিট বাড়াতে বলা হয়েছে। ফার্মেসিতে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলবে না বলেও জানানো হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

মাতারবাড়িতে নারীদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিল ইপসা

মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ২০২৫ জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

লন্ডনে বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী পরিবারের মতবিনিময় সভা

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

শালিখায় পাটের চেয়ে কদর বাড়ছে পাটকাঠির

কোটালীপাড়ায় গরুচোর চক্রের দুই সদস্য গেপ্তার

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক
