বই মেলায় কথাসাহিত্যিক দিলরুবা আহমেদ এর বই

কথাসাহিত্যিক দিলরুবা আহমেদ এর জন্ম বাংলাদেশে। বহু বছর ধরে বসবাস করছেন আমেরিকায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে লোক প্রশাসন বিভাগে সম্মান ডিগ্রী অর্জন করেছেন। আমেরিকায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বর্তমানে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। কাজের ফাঁকে নিয়মিত করেন সাহিত্য চর্চা। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ১৬টি বই। গল্প ও উপন্যাস লিখতে পছন্দ করেন।
২০০৫ সালে নিয়মিত লিখতেন যায়যায়দিন পত্রিকায়। তখনও ছিল চিঠির যুগ। বাংলাদেশ থেকে বহু চিঠি পেতেন সে সময়। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পাঠকদের চিঠি পড়ে অন্যরকম আনন্দ অনুভব করতেন। বর্তমানে তিনি বেশি লেখেন বিডি নিউজ-২৪ এ। এ ছাড়াও দৈনিক যুগান্তর, সমকাল, ইত্তেফাক, আমাদের সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকার সাহিত্য পাতায় লেখেন। বর্তমানে লেখা সম্পর্কে সরাসরি ফিডব্যাক পান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চিঠির যুগ হোক আর অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যোগ হোক, সব সময় পাঠকের মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। লেখালেখির শুরুর দিকে তাঁর লেখার মন্তব্য যখন পেতেন পাঠকদের কাছ থেকে, তখন নিজের পরিচয় অনেকটা আড়াল করে রাখতেন। এই সময়ে আমেরিকায় বসবাসকারী সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তাঁর বেশ পরিচিতি আছে। লেখালেখি করছেন প্রায় ২৫ বছর ধরে। সাধারণত লেখেন গল্প, উপন্যাস। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে- টেক্সাস টক, আমার ঘরে এসো, আঠার, ঝুমকোলতার সারাটা দিন, হেঁটে চলেছি বন জোসনায়, প্রবাসী, বলেছিল, মাছের মায়ের পুত্রশোক (কিশোর গল্প), ব্রাউন গার্লস, গ্রীন কার্ড, প/ড় ( ভ্রমণ কাহিনী) অত্যন্ত সমাদৃত ও আলোচিত।
আমেরিকায় বসবাস করেও বাংলায় লেখেন। আমেরিকায় বাংলা চর্চা কম, তারপরেও বাংলায় লেখন। তিনি জানান- ‘আমার পাঠক বাংলাদেশের মানুষজন। অনলাইনে সারা পৃথিবী থেকে পাঠকরা পড়ছে। লেখার ফিডব্যাক ভালো পাই বাংলাদেশ থেকে। ২০০৫ সালে ‘টেক্সাস টক’ লেখার সময় বাংলাদেশ থেকে অনেক চিঠি পেতাম। মেইল পেতাম। এখন ফেসবুকে নিয়মিত ফিডব্যাক পাই। এ ফিডব্যাক লিখতে অনুপ্রেরণা জাগায়। বুঝতে পারি লেখা কেমন হচ্ছে। কোন বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে।’ মানুষ পছন্দ করছে। এটাই তো অনুপ্রেরণা।
আমারিকায় বাঙালি কমিউনিটিতে লেখক হিসেব ভালো পরিচিতি আছে তাঁর। সবার সাথে ভালো যোগাযোগ। প্রথম লেখালেখি শুরু করার সময় কারও কাছে বলতেন না তিনি লেখেন। তাঁর লেখার প্রশংসা পাওয়ার পরেও নিরব থাকতেন। বর্তমানে প্রায় সবাই চেনেন তাঁকে।
বাংলাদেশে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এবং আমেরিকায় বসবাস করার কারণে তাঁর লেখায় যেমন থাকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের কথা, তেমনি প্রকাশ পায় আমেরিকার মানুষ, আমেরিকায় বসবাসকারী বাঙালির জীবন যাপনের গল্প। লেখাটি যদি আমেরিকা থেকে শুরু হয়, শেষে থাকে বাংলাদেশ অথবা লেখার মাঝে ঘুরে ফিরে থাকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
প্রতি বছর চেষ্টা করেন বইমেলার সময় বাংলাদেশে আসতে। বই মেলা তাঁর পছন্দের জায়গা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে বই মেলায় এসেছিলেন। করোনার কারণে তিন বছর দেশে আসতে পারেন নি। এবারও আসা হয়নি। আমেরিকা থেকে ফেসবুকে বাংলাদেশের বই, বাংলাদেশের লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের আনন্দ অনুভূতির খবর রাখছেন। মেলায় এসেছে তাঁর লেখা উপন্যাস- ক-১৯, উইপিং উইলো ও নিহা। প্রবাস জীবন ও করোনাকালের কথা আছে বইটিতে। প্রবাসীদের যাপিত জীবন নিয়ে এই বইয়ে এসেছে নিহা, টগর আর নন্দিনী চরিত্রের মাধ্যমে।
এমএসএম / এমএসএম

আসছে আরফান হোসাইন রাফির প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘সুদিন ফিরে আসছে’

বহুরূপী

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে মানিক লাল ঘোষের একগুচ্ছ কবিতা

একুশ ও আমরা

মানিক লাল ঘোষের একগুচ্ছ একুশের ছড়া

অপূর্ব চৌধুরী'র নতুন বই

সাহায্যের হাত বাড়াই

কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী

একজন নসু চাচা

বলি হচ্ছে টা কী দেশে

জগলুল হায়দার : তরুণ ছড়াকারের ভরসাস্থল

দিকদর্শন প্রকাশনীর সফলতার তিন যুগ
