ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আগাম করলায় হাফিজের সফলতা


নিজস্ব সংবাদদাতা photo নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১৩-২-২০২৩ দুপুর ৩:৩৫
স্বাদে তিতা করলা অনেকেই আগ্রহ নিয়ে পাতে নেন। করলার উপকারিতার যে অভাব নেই। আধুনিক জীবনে সুস্থ ও ফিট থাকতে করলার জুরি মেলা ভার। এখন দেশের অধিকাংশ জেলায় বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে করলা। 
 
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কয়েক বছর ধরে এ করলা চাষে রীতিমতো চমক দেখিয়ে আসছেন হাফিজ উদ্দিন। ১৯৮২ সালে জন্ম  হাফিজ উদ্দিনের। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবার অভাবের সংসার, তাই লেখাপড়া বেশিদূর যায়নি। তাঁর কষ্টের কথা শুনে ২০১০ সালে পাশের গ্রামের তমিজ মিয়া কিছু করলাবীজ তাঁর হাতে দিয়ে জমিতে লাগানোর পরামর্শ দেন। এ বীজ আইয়ুব আলী ৬ শতক বসতভিটার চারদিকে লাগান। ৬০ দিনের মাথায় করলা ধরে। বিক্রি করে আয়ও হয় ৪ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর পুরোপুরি করলা চাষে লেগে পড়েন তিনি। প্রথম বছরের লাভের টাকা দিয়ে পরের বছরে অন্যের ২৫ শতক জমি বর্গা নেন। তাঁর করলার ফলন ভালো হয়। বসতভিটাসহ ৩১ শতক জমির করলা বিক্রি করে আয় করেন ২০ হাজার টাকা।এভাবেই একপর্যায়ে চাষের জমি বাড়ে, আয় বাড়ে হাফিজের। দিনমজুর থেকে আইয়ুব আলী হয়ে ওঠেন সফল করলাচাষি।
 
"আমি চাচ্ছিলাম একটা ছোট্ট দোকান নিয়ে ব্যবসা করবো, সঙ্গে কিছু জমি বর্গা নিয়ে নিজেই আবাদ করবো। প্রথম অবস্থায় আমি করলার সঙ্গে বিভিন্ন সবজির চাষ করি এবং ভালো পরিমাণে লাভবান হই। তখন থেকে কৃষিতেই রয়েছি। অন্য ব্যবসা আর করা হয়ে উঠেনি।" বলছিলেন হাফিজ উদ্দিন। গত ডিসেম্বরে জমি প্রস্তুত করে করলার চারা রোপণ করেন হাফিজ উদ্দিন, এর মাঝে সুযোগ বুঝে মাচা তৈরি করেন। ১৯ বিঘা জমিতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরি এবং শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ২,৫০,০০০ টাকা। চারা রোপণের ২০ দিনের মধ্যে ফুল এবং ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০ মণ করলা বিক্রি করেছেন এবং করলার দাম বাজারে খুব ভালো থাকায় ৩ লক্ষ টাকার মত বিক্রি হয়েছে।হাফিজ উদ্দিন মুখে হাসি নিয়ে আরও বলেন, "কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতার সাহস করে এবার বর্গা নিয়ে ১৯ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো, বেশ ভালো লাভ হবে।"
 
হাফিজ উদ্দিনের সফলতায় তার খামার পরিদর্শনে এসেছেন কৃষি উদ্যোক্তা যুবক মাসুদ। তিনি আগাম এ করলার চাষ সম্পর্কে জেনে শীত সহিষ্ণু এ জাতের চাষ করতে চান, তিনি জানান,'আমি পটল, কাঁকরোল ও আলু চাষ করি, শুনেছি হাফিজ চাচা করলায় ভালো লাভবান হয়েছেন, তাই দেখতে ও জানতে এসেছি। আমিও এ শীতকালীন আগাম করলার চাষ করতে চাচ্ছি। 'সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশি ও উন্নত জাতের করলা চাষে লাভবান হয়েছেন কৃষক হাফিজ। শীতে গাছ ও করলার ক্ষতি না হওয়ায় ভালো ফলন পেয়েছেন বলে তিনি জানান।একই সঙ্গে বাজারে করলার কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ বলেন, উন্নত জাতের করলা সারা বছরই আবাদ করা যায়। উপজেলার অনেকেই এখন বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করছেন এবং স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগামীতে উপজেলায় অধিক জমিতে করলার চাষ যেন হয় সে জন্য আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিব।

এমএসএম / এমএসএম

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন