ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ড. জোহার রক্তের সিঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা তড়ান্বিত হয়েছিল : শামসুল হক টুকু


অর্পণ ধর, রাবি photo অর্পণ ধর, রাবি
প্রকাশিত: ১৮-২-২০২৩ দুপুর ৪:৩

ড. জোহার রক্তের সিঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা তড়ান্বিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রসায়ন বিভাগের আয়োজনে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুল হক বলেন, ড. জোহা রক্ত দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জোড়াল হয়েছিল। এরপর নির্বাচন হলো তারপর বাঙালি জাতির পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবিভূত হলেন। জোহা ১৮ তারিখ রক্ত দিলেন এরপর ২২ তারিখ বঙ্গবন্ধু সবাইকে নিয়ে মুক্ত হলেন। ড. জোহার রক্তের সিঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা তড়ান্বিত হয়েছিল।

জাতীয় সংসদের এ ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, জোহার রক্ত আমাদের প্রতিবাদী করেছে।  পাকিস্থানী বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম আরো বেগবান করেছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা যে সেই ড. জোহাকে দেশব্যাপি জাতীয় ভাবে স্মরণে, শিক্ষক দিবসকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নি।

টুকু বলেন, ৭৫ এর পরে যারা সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বে এসছেন তারা এটি জাতীয় শিক্ষক দিবস করতে কোন পদক্ষেপ নেন নি। এর কারণ ছিল জোহার রক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রক্ত। জোহার ভূমিকা জাতীয়তাবাদী আন্দেলনকে বেগবান করেছে। কিন্ত যখন প্রগতিশীল দল ক্ষমতায় এলো তখন যারা এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের উদ্যেগে একটা জায়গায় আসা উচিত ছিল। এখানের যারা প্রগতিশীল শিক্ষক, যারা প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি করে তাদের ছোট খাট ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে এক সাথে থাকতে হবে। এক সাথে থাকলে এতদিনে ড. জোহার প্রতি জাতীয় ভাবে শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হতো।

অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের অংশগ্রহণ ছিল। ৫২ তে শুরু হওয়া বাংলাদেশের‌ স্বাধিকার আন্দোলনকে আরো বেগবান করেছে জোহা‌ স্যারের আত্মত্যাগ। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের যে অবদান তা বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৩ এর অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। আজকের দিনকে সারা দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

'বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা' বিষয়ের উপর স্মারক বক্তৃতা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  ড. লুৎফর রহমান।

রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন রাকসুর সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু। এসময় উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএসএম / এমএসএম

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,

এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা

স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি