নওগাঁর পত্নীতলায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল
নওগাঁর পত্নীতলায় গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে আমের মুকুল। বাংলা পঞ্জিকায় অভিষিক্ত হয়েছে বহু আচার-অনুষ্ঠান সৃষ্টির মাস বসন্ত। বিশেষত মাঘ মাস মানুষের কাছে একটি কাক্সিক্ষত সময়। কারণ এই মাসেই আম গাছে মুকুল আসে।
আম গাছে আসতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। আগাম মুকুলে আমচাষিদের মনে আশার প্রদীপ জ্বলে ওঠেছে।পৌষ মাঘের হিমেল হাওয়ার পর বসন্তে সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে মুকুল। সেই মুকুলেই স্বপ্ন বাঁধেন চাষিরা। বনফুল থেকে মৌমাছির দল গুনগুন করে ভিড়তে শুরু করেছে আম্রমুকুলে। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস-আনন্দে ভরে উঠছে চাষির মনও। গাছের কচি শাখা-প্রশাখায় ফোটা ফুলগুলোর উপরে সূর্যের আলো পড়তেই চিকচিক করে উঠছে। জানান দিচ্ছে আম উৎসবের। আমের মুকুল ও কৃষকের স্বপ্ন যেন একই সুতোয় গাঁথা। বছরের নির্দিষ্ট এই সময়জুড়ে চাষি তো বটেই চলতে-ফিরতে সবশ্রেণির মানুষেরও নজর থাকে আমগাছের মগডালে। মুকুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে বাতাসে। এবার মধ্য জানুয়ারিতেই কিছু কিছু গাছে আমের মুকুল চলে এসেছিলো। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া কাটিয়ে আমের বাগানে মুকুল রেকর্ড পরিমান। স্বভাবতই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফসলের উৎপাদন মাত্রা বাড়ে। আমচাষিরা খুশি হলেও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলছেন, শীত বিদায় নেয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভালো কিছু নয়।এখন যদি ঘন কুয়াশা পড়লে গাছে আগে ভাগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ফলনেও প্রভাব ফেলবে। পাউডারি মিলডিউ রোগে আক্রান্ত হয়ে মুকুলের অধিকাংশই ঝরে যাবে। তবে নিয়ম মেনে মাঘের শেষদিকে যেসব গাছে মুকুল আসবে, সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।
এমএসএম / এমএসএম