মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে বিপাকে সাধারণ গ্রাহকরা
সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আয়-রোজগার বলতে কিছুই নেই। এই কঠোর লকডাউনের মাঝেই জুলাই মাসের বিল পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করেছে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মাসের ২৫ দিন হাতে রেখেই চলতি জুলাই মাসের বিল ৬ তারিখেই প্রস্তুত করে। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বিল পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ জুলাই। এতে একজন গ্রাহককে জুলাই মাসের বিল জুলাই মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় জরিমানা গুনতে হবে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত গ্রামীণ এলাকাগুলোর গ্রাহকদের বিল পরিশোধের সময়সীমা চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্ধারণ করা হয়। আর পৌরসভা বা শহর এলাকাগুলোতে পরের মাসে ৭ তারিখ পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
সমিতির বিল পরিশোধের এই দ্বিমুখী আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইছবপুরের বাসিন্দা মো. আজহার মিয়া বলেন, এটা নামেই পল্লী বিদ্যুৎ। সমিতি পল্লী গ্রাহকদের বোকা ভাবতে পারে। পল্লীর গ্রাহকেদের আগে আর শহুরে গ্রাহকদের পরের মাসে বিল পরিশোধের সময়সীমা দেখে মনে হয় তারা আমাদের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
উত্তর ভাড়াউড়া এলাকার গ্রাহক সারমিন আক্তার বলেন, কঠোর লকডাউন চলাকালে বিল পরিশোধের সময়সীমাটা না দিলেও পারত। ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন। সংসারের উপার্জনক্ষম মানুষরা ঘরে বসে। আয়-রোজগার বলতে কিছুই নেই। টাকার অভাবে গত মাসের বিল বকেয়া পড়েছে। সংসার চালাতেই নাভিশ্বাস। এ অবস্থায় জুলাই মাসের বিল আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ধারণ করতে পারত। তা না হওয়ায় এখন উল্টো জরিমানা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিল পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করায় মোহাজিরাবাদ এলাকার এক অটোরিকসাচালক বলেন, এটা গরিব মানুষদের জরিমানার ফাঁদে ফেলার একটা কৌশল। আমাদের মতো কর্মহীন মানুষ এই সময়টাতে খেতেই পারছি না, বিদ্যুৎ বিল দেবো কোথা থেকে? সমিতির বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে পারব না, এটা বুঝেই তারা কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিল পরিশোধের সময়সীমা দিয়ে রেখেছে।
জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, এটা ইচ্ছাকৃত নয়, সমিতির ৪ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে বিল পরিশোধে এটা করা হয়েছে। জুলাই মাসের বিল জুলাইয়ের ২৪ তারিখের পরের দিন দিলে কেন জরিমানা গুনতে হবে? আবার অপেক্ষাকৃত শহুরে গ্রাহকদের পরের মাসে বিল পরিশোধের সময়সীমা কেন? এমন প্রশ্নের সরসরি কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বিইআরসির নাম শুনেছেন কখনো?’ শুনেছি, একজন সংবাদকর্মীকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নাম জানতে হয় -এটা জানালে জিএম জিয়াউর রহমান কিছুটা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সব জানার কথা নয়। আর না জেনে কিছু বলাও ঠিন নয়।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কুচক্রী মহল থেকে ভুল তথ্য দেয়া হতে পারে। সমিতির সব গ্রাহক সমান। এখানে গ্রামীণ বা শহুর বলে কোনো কথা নেই। বিইআরসি থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
এমএসএম / জামান
দক্ষিণ মতলবে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
মধুখালীতে ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে তারা মেম্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালীতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়লো ৯ দোকান
শালিখায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত
আত্রাইয়ে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
পাবিপ্রবিতে ৫৮ জন গবেষককে নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
দর্শনার বিভিন্ন মহল্লায় দাড়িপাল্লার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা
দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে গণসংযোগকালে বাবু খান
শ্রীমঙ্গলে নতুন ওসির যোগদান
শীতের শুরুতেই বারহাট্টায় চিতই-ভাঁপায় মজেছে পিঠাপ্রেমীরা
পীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দূর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
ভূরুঙ্গামারীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
Link Copied