সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই : পরিবেশমন্ত্রী
বর্তমানে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে প্রশংসনীয় অবস্থায় আছে। নিরাপদ খাদ্যের সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক রয়েছে। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই।নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বৃদ্ধি করতে খাদ্য উৎপাদনের গুণগত মান বাড়াতে হবে। কেননা দেশের মানুষ এখন খাদ্য গ্রহণে অনেক সচেতন।
সোমবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সুস্থ্য সবল জাতি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,দেশের জনগণের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং নিরাপদ সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার নিরলভাবে কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ,স্বাস্থ্যসম্মত, বিষাক্ত পদার্থ ও রোগজীবাণু মুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু আমাদের নিজেদের জন্যই নয়, খাদ্য রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিরাপদ খাদ্য বিষয়টাকে নিশ্চিত করার এখনই উপযুক্ত সময়।দেশ ও জাতিকে মেধাবী, সুখী ও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে হলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে । এটা আশার কথা যে, নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের জন্য শিক্ষার্থীরা এসেছেন, আগ্রহ দেখিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আজকের শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই নিরাপদ খাদ্য পাওয়া যাবে মর্মে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া বলেন,'বাংলাদেশের মানুষ মাংসের থেকে মাছ বেশি খায় বলেই জনমত রয়েছে।যদিও মৎস অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি গড়ে ৬২ গ্রাম মাছ এবং ডিএলএস তথ্য অনুযায়ী গড়ে ১৪৭ গ্রাম মাংস খায় যা জনমতের তথ্যের সাথে কিছুটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।এছাড়া মাংসের চাহিদার তুলনায় গ্রহনের হার বেশি হলেও তথ্যেগুলোর আরো বিশ্লেষণ প্রয়োজন।মূলত নিরাপদ খাদ্য মানে শুধু নিরাপদ মাংস না।নিরাপদ খাদ্য একটা সামগ্রিক বিষয়। যার মধ্যে নিরাপদ মাছ,নিরাপদ ফসল সহ নিরাপদ খাদ্যের সামগ্রিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।'
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ডক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী রিপ্রেজেন্টেটিভ(প্রোগ্রাম) ড. নুর আহমেদ খন্দকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রকল্পের টিম লিডার প্রফেসর ডক্টর মোঃ হারুন উর রশীদ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষকসহ, এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে, ‘মিট ফুড সেফটিঃ এ ওয়ে টু এনসিউর হেলদি লাইফ এন্ড ওয়েলবিইং’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক, মেগা কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারী হতে উক্ত অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১৯০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক কুইজ কম্পিটিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। উক্ত শিক্ষার্থীরা পুনরায় আজ ৬ মার্চ মেগা কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে একজনকে "ইয়ুথ অ্যাম্বাসিডর অফ ফুড সেফটি" হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও অনলাইন প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রচনার বিষয় ছিল, "পারসোনাল হাইজিন প্রাকটিস এনসিউরিং সেফ ফুড"। আজ উক্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এমএসএম / এমএসএম