সাপ, মশা আর দুর্গন্ধের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুদ্ধ

দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ঢাকা বাঙলা কলেজের অধ্যাপক আবুল কাসেম ছাত্রাবাসে নানাবিধ সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান হয়নি। শিক্ষার্থীরা এখনও মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, প্রশাসনের বারবার আশ্বাসেও মিলছে না বাস্তব পরিবর্তন।
জুলাই বিপ্লবের পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আবুল কাসেম ছাত্রাবাস। নানা জল্পনা-কল্পনার পর ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর পুনরায় ছাত্রাবাসটি খোলা হয়। শিক্ষার্থীরা মনে করেছিলেন, এবারের সংস্কারে পরিবেশ বদলাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটে ঠিক উল্টোটা।
উল্লেখ্য, ছাত্রাবাস চালু হওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলেন দ্রুত চালুর দাবি নিয়ে। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ছাত্রাবাস রং করে সুন্দরভাবে ১ নভেম্বর খোলা হবে।’ কিন্তু খোলার পর দেখা যায়, কোনো রং বা সংস্কার হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রাবাসের বড় বড় সমস্যা:
১. চেয়ার-টেবিল সংকট:
ছাত্রাবাসের অধিকাংশ কক্ষে এখনও নেই মানসম্পন্ন চেয়ার ও টেবিল। অনেক শিক্ষার্থী ভাঙা ও পুরোনো আসবাবেই কোনো রকমে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে তৈরি হয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ।
২. রিডিং রুম অকার্যকর:
ছাত্রাবাসের রিডিং রুমে নেই প্রয়োজনীয় আলো, ফ্যান কিংবা আসবাব। বাইরে থেকে আসা শব্দও সেখানে পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করছে। থাই গ্লাস লাগানোর কথা বলা হলেও এখনও তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
৩. পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থায় গাফিলতি, মশার উপদ্রব তীব্র:
প্রতিটি ফ্লোরের বেসিন থেকে পানি নিচে গড়িয়ে পড়ে নিচতলার কক্ষগুলোর সামনে জমে থাকে। এর ফলে দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কখনো কখনো সেই পানি রুমের ভেতরেও ঢুকে পড়ে।
৪. ছাত্রাবাসের আশপাশে আবর্জনার স্তূপ ও ঝোপঝাড়:
ছাত্রাবাসের সামনে জঙ্গলের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধ এবং সাপের উপদ্রব শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। একাধিকবার সাপ দেখা যাওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫. হোস্টেল সুপারের অনুপস্থিতি:
ছাত্রাবাসের সাথে থাকা হোস্টেল সুপারের কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। সেখানে কাউকে দেখা যায় না। ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ কিংবা প্রয়োজনে সহায়তা মেলে না।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
এই বিষয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী সাকিব বলেন,
“আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ছাত্র প্রতিনিধি সভাগুলোতেও সমাধান হয়নি। অধ্যক্ষের কাছেও গিয়েছি, তবু পরিবর্তন আসেনি।”
শিক্ষার্থীদের দাবি, কেবল আশ্বাস নয়, দ্রুত ও দৃশ্যমানভাবে সমাধান শুরু করতে হবে।
এই বিষয়ে হোস্টেল সুপার কামরুন নাহার জানান,
“৫ আগস্টের পর ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, কিন্তু আমরা নানা ভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছি। এ বছরের জন্য ৫ লাখ টাকার বাজেট এসেছে, কাজ শুরু হবে খুব দ্রুত। পরবর্তীতে আরও বাজেট আসবে।”
অধ্যক্ষ কামরুল হাসান বলেন,
“ছাত্রাবাসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৫ লাখ টাকার একটি বাজেট এসেছে, সেটি কার্যকর হলেই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।”
আবাসিক শিক্ষার্থীরা আরো বলেন,
ছাত্রাবাসে সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হলেও এখনো সেগুলোর সঠিক ও দ্রুত সমাধান হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন,
“এবার কেবল আশ্বাস নয়, চাই বাস্তব পদক্ষেপ।”
ছাত্রাবাসের পরিবেশ যদি দ্রুত শিক্ষার উপযোগী করে তোলা না হয়, তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আরও বাড়বে—এমনটাই আশঙ্কা করছেন সবাই।
এমএসএম / এমএসএম

দ্রত সময়ে টিএসসি স্থাপনসহ ৭ দফা দাবিতে চবি শিবিরের সংবাদ সম্মেলন

চাকরীর নামে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বরখাস্ত চবির অফিস সহকারী

খাবারের মান যাচাইয়ে ক্যান্টিনে ডিআইইউ প্রক্টোরিয়াল টিমের অভিযান

ডিআইইউ-তে "বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইবিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

চবি হিস্ট্রি ক্লাবের নেতৃত্বে মাহিম-জোবায়েদ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ইবিতে সেশনজট নিরসনে ভিসির মতবিনিময়

সাপ, মশা আর দুর্গন্ধের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুদ্ধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে মাওয়া ভ্রমণ, আপত্তি অন্য রাজনৈতিক দলের, এনসিপি নেতা আশিকের রাজনৈতিক প্রভাব?

নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে পবিপ্রবির অধ্যাপক তিন বছরের জন্য অবনমিত

QS র্যাংকিং আবেদন না করায় জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বাগছাসের ক্ষোভ
