মাদক সেবনের নিরাপদস্থল সিরাজুদ্দৌলা হলের ছাদ, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের
বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিলে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূর্ণতা পায় না অনেকের। মাদকের করাল গ্রাসে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় কিছু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। দিন দিন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য। সন্ধ্যা নামতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বসে মদ, গাঁজা আর ইয়াবার আসর। রাত যতই বাড়তে থাকে ততই বাড়ে মাদকাসক্তদের আনাগোনা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ না থাকায় ক্যাম্পাসে মাদকের সহজলভ্যতা ও সরবরাহ বেড়ে চলছে যার ফলে হলগুলোতে মাদকের আড্ডার আসর দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত হলগুলোর ছাদে মাদকের আসর বসলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেকৃবির নবাব সিরাজুদ্দৌলা হলের ছাদে দিন-রাত গাজার আসর বসে। এছাড়াও অক্সফোর্ড মোড়, আমতলা,খামার বিভাগ সংলগ্ন চাতালেও অবাধে চলে মাদক সেবন। এমনকি শেকৃবি ক্যাম্পাসের ভেতরে বটতলা সংলগ্ন বস্তিতে বসবাসকারীরাও মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর সেখানে হাতবদল হয় দেশি-বিদেশি মদের বোতল। পাশাপশি মিনি বাজারের একটি দোকানেও গোপনে চলে মাদক বেচাকেনা।
নবাব সিরাজুদ্দৌলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা চ্যানেল২৪ কে বলেন,'আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগতরাও হলের ছাদ গুলোতে নিয়মিত গাজার আসর বসায়। সন্ধ্যা হলেই গাঁজার উৎকট গন্ধে নষ্ট হয় হলের পড়াশোনার পরিবেশ। এছাড়াও হলের লিফটে গাজার গন্ধে ওঠা যায় না।এমনকি কোনো বাঁধা ছাড়াই নিজ কক্ষে এখন অনেক ছাত্র মদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করেন।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদকসেবী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দামে কম ও সহজলভ্য হওয়ায় হাতের নাগালেই মিলছে এসব মাদকদ্রব্য। ক্যাম্পাসে অবস্থিত বস্তির অনেক এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে মাদক ঢোকে। এছাড়াও অনেকে বিহারি ক্যাম্প বাজার থেকে মাদক নিয়ে আসেন।মাদকসেবী শিক্ষার্থীরা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রতি পুরিয়া গাঁজা কেনেন ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। মাদকসেবীদের মধ্যে যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তাঁরা বেশি ঝুঁকছেন ইয়াবা বড়ি সেবনে।প্রতিটি বড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়।
এ ব্যাপারে নবাব সিরাজুদ্দৌলা হলের সহকারী প্রভোস্ট মোঃ মাসুম আব্দুল্লাহ চ্যানেল২৪ কে বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা প্রত্যেক ফ্লুরে নাম্বার সহ নোটিশ দিয়েছি। কিছুদিন আগে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ২জনকে হল থেকে বহিষ্কার ও করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নিব আমরা।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. হারুন উর রশীদ চ্যানেল২৪ কে বলেন, ‘প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, এমনটা নয়।মাদকদ্রব্য সরবরাহ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সচেষ্ট রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। হল প্রভোস্টদের বলে দিয়েছি এসব দিকে খেয়াল রাখতে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে হলে হলে অভিযান চালাব আমরা।'
এমএসএম / এমএসএম
মাধ্যমিকের বই বছরের শুরুতে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না
৬ দিনের অচলাবস্থার পর আজ শুরু সরকারি প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা
জাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ-তানভীর
ইবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন
নকল সাইটেশনে দেশসেরা গবেষকের তালিকায় শেকৃবি প্রোভিসি অধ্যাপক বেলাল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার: চাকরিচ্যুত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জাবিতে অর্থনীতি বিভাগকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দর্শন বিভাগ
সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা
জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল
অপ্রচলিত ফসল খাদ্যনিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে: বাকৃবি সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা
ইবিতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগে শিক্ষক বহিষ্কার
প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, ৬৫ হাজার স্কুলে বন্ধ পাঠদান