প্রতি হেক্টরে মাছের উৎপাদনের দিক দিয়ে আমরা বেশ পিছিয়ে আছিঃ প্রতিমন্ত্রী
মাছ স্থিতিশীল তবে প্রতি হেক্টরে মাছের উৎপাদনের দিক দিয়ে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি বলে মন্তব্য করেছেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
শনিবার (১১মার্চ) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অডিটোরিয়ামে ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এফএসবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত যুব মৎস্য বিজ্ঞানীদের সম্মেলন ২০২৩ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬ - ২০) লিখেছিলাম কৃষির সেক্টর গুলোতে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৩.৫ শতাংশ বা এর বেশি সেখানে কৃষি বনায়ন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যা ৫ শতাংশ, এরপর ৩.৫ শতাংশ আছে মৎস্য খাতে, এরপর প্রাণী সম্পদ এবং সর্বশেষে আছে শস্য পন্য যা মাত্র ০.৯ শতাংশ ৷ একটা সময় ছিল যখন মৎস্য খাতে শতকরা ৪.৫ থেকে শতকরা ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে তবে এখন ৩.৫ হয়েছে। বাজার দেখলেই বোঝা যায় মৎস্য খাতে চাহিদার সাথে উৎপাদনের সামঞ্জস্য রয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে ঘাটতি থাকায় যেভাবে দাম খুব বেশি উঠা নামা করে তেমনটা মৎস্য খাতে দেখা যায় না। সকাল বিকাল হয়ত কিছুটা উঠানামা করে। মাছ স্থিতিশীল তবে প্রতি হেক্টরে মাছের উৎপাদনের দিক দিয়ে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, মাছে খাদ্য নিরাপত্তা, রেডি টু ইট, ক্যানিং সহ মাছের সব ধরনের গবেষণায় কৃষি বিজ্ঞানীদেরকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। আমরা যায় বলি উৎপাদন ঘাটতি না থাকলে কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোন কারন নেই। কারন কৃষিপণ্যে বাজার জাতকরণে বহু স্তর রয়েছে যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থান। সারাদেশে প্রায় ছোট-বড় সাড়ে ৫ হাজার চাউলের মিলার রয়েছে। এত মানুষ একসাথে মিটিং করে আলোচনা করে কিভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করবে? তবে চাল নিয়ে চালবাজি হয়। আমাদের বাজারে সবচেয়ে অস্থিতিশীল পণ্য চাল। এটার কারন চাউলের মিলাররা চাউল পলিশ করে চিকন এবং মিনিকেট করতে যেয়ে খরচ বাড়িয়ে ফেলে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এফএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. সাদিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেম এসিআই কোম্পানির প্রোডাক্ট ম্যানেজার এবিং সিইও ড. এফ. এইচ. আনসারি, কৃষি গবেষণা ফাইন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জীবন কৃঞ্চ বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর এবং শেররেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
এমএসএম / এমএসএম