ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

খানসামায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগির মাংস বিক্রি; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি


জসিম উদ্দিন, খানসামা photo জসিম উদ্দিন, খানসামা
প্রকাশিত: ২৭-৩-২০২৩ দুপুর ২:৪২
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শত শত মুরগির দোকান রয়েছে। আর এসব দোকানে পবিত্র রমজান মাসে যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মুরগি জবাই,ড্রেসিং ও মাংস বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
 
২৭ মার্চ (রবিবার) সরেজমিনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে মাংস বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করছেন দোকানিরা। কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে না রাখা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় মশা-মাছি বসছে মাংসগুলোতে। আবার খোলা রাখায় রাস্তার ধুলাবালি এসে পড়ছে সেই মাংসে।
আর জনসাধারণগণ অনেকে সচেতনতার অভাবে কোনো রকম চিন্তা না করেই সেই এইসব মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি বাড়ির অন্যান্যরা বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এর আগে গত দুইদিন আগে আজিজার রহমান নামে  দৈনিক নবচেতনা'য় কর্মরত এক সাংবাদিক পাকেরহাট বাজারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগির মাংস বিক্রির কিছু ছবি তুলে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে "কি খাচ্ছি আমরা? কতটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অথচ দেখার কেউ নেই..! লিখে পোষ্ট করেছেন তার সেই পোস্টের কমেন্ট অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন এর মধ্যে -দ্বীপ জ্বেলে যাই নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন,"শিক্ষা, অর্থনীতি,সংস্কৃতি,নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সব দিকেই মনিটরিং করা দরকার"।
মোকসেদুল নামে অপর একজন লিখেছেন, "মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালানা করে জনগনের সামনে তুলে ধরার দরকার"।
এ ছাড়াও খানসামা উপজেলা নামক একটি গ্রুপে দরিদ্র নামে একটি আইডি লিখেছেন,
"দেখার কি দরকার তাদের? তারা কসাই কে অর্ডার দিয়ে আস্ত ছাগল একদিনে জবাই করে পিস করে নিয়ে ডিপে রেখে খায়। আমরা গরীব দের জন্যই পঁচা বাসি। তবুও আমরা হাসিখুঁশি,আর তাদের মেজাজ চড়া.স্যার না কইলে কাম সাড়া"।
 
জানা যায়,দেশে ২০০৮-০৯ সালে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ নিয়ে হুলুস্থূল পড়ে যায়। তখন সরকার বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকগুলো নিয়ম করেছিলেন। বার্ড ফ্লু আক্রমণ থেকে বাঁচতে হাতে গ্লাভস ও মুখে মাক্স ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দোকানিরা এখন আর তা ব্যবহার করেন না। এছাড়া সেই নিয়মও আর মানা হয় না। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বার্ড ফ্লু নয়, বর্তমানে যে পরিবেশে যে প্রক্রিয়ায় মুরগি জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে সেখান থেকে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগ ছড়াতে পারে।  
পাকেরহাট বাজারে খালেদ রায়হান নামের এক ব্যক্তি সকালের সময়কে বলেন, ‘খোলা বাজারে মুরগি জবাই করা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্ত আমরা গরীব মানুষ না বুঝেই সেগুলো ক্রয় করে থাকি। তবে এ ব্যাপারে তো মাংস বিক্রেতা দোকানিগণ সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই ও ড্রেসিং খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস রেখে বিক্রি করলে বার্ডফ্লুসহ নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।

এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সেকাল-একাল বই এর মোড়ক উন্মোচন

বড়লেখায় ইজ্জত বাঁচাতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে কলেজছাত্রী আহত, চালক আটক

মানবিক সাহায্যের আবেদন-‘বাঁচতে চায় শিশু ফরহাদ আলী’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কমলগঞ্জে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

বাঘা থানার অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

নবীনগরে কাঁঠালের ছড়াছড়ি: বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক ও ভোক্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ

সন্দ্বীপ থানার অভিযানে ১২ মামলার আসামী গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার

কাউনিয়ার মেহরাব নৌপ্রধান স্বর্ণপদক পাওয়ায় এলাকায় অভিনন্দনের ঝড়