কেশবপুরে তীব্র তাপদাহ ও বিদ্যুতের লুকোচুরিতে জনজীবন অতিষ্ঠ
তীব্র তাপদাহর পাশাপাশি গত ৫দিন ধরে যশোরের কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এছাড়া এই ৫ দিনে কেশবপুর এলাকায় অনুভূত তাপ মাত্রাছিল ৪১ ও ৪২ ডিগ্রী
সেলসিয়াস।
কেশবপুর শহরের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, মুসলমানদের সবথেকে বড়ো উৎসব দুই ঈদ রমজানের চাঁদ উঠলেই কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। বছরের দুটি বড়ো উৎসবের একটি আগাত ঈদুল ফিতর অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে জাওয়ায় লোকজন বাজারে আসছে না। ফলে এবার ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তারপর বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। সন্ধ্যা হলেই বিদ্যুৎ আাসছি বলে চলে যায়। আর আসে তারাবি নামাজ শেষ হলে।
স্থানীয় বিদ্যৎ অফিস জানায়, কেশবপুর উপজেলায় ৮০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৪ মেগাওয়াট। ফলে রাত দিন ২৪ ঘটার মধ্য মাত্র ৬ ঘটা বিদ্যুৎ পাছে গ্রাহকরা। আর লোডশেডিং থাকছে প্রায় ১৮ ঘটা। এদিকে ওই ৮০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে কৃষকের বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ রয়েছে ১০৯১টি। চলতি বোরো মৌসুমে নিরবিছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় কৃষকেরা তাদের বোরো ক্ষেত ঠিকমত সেচ দিতে পারছে না। এরফলে তাদের ধানের ক্ষেত শুকিয়ে যাছে। যে টুকু সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তাতে সেচ মটর চালিয়ে রাখলেও ২০/২৫ শতাংশ জমিতে সেচ দেয়া যায়। অথচ এক একটি সেচ পাম্পের আওতায় ২০/৩০ বিঘা পর্যন্ত জমি রয়েছে। এতে চলতি বছর এ উপজেলায় বোরো ধান উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় থাকলও বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং ও গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপদাহ জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। চাহিদা মত বিদ্যুৎ না পেয়ে একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছে গাছ তলায়। বিশেষ করে এখন পবিত্র মাহে রমজান মাস মুসলমানদের সিয়াম ও সাধনার মাসে ইফতারি ও তারাবির নামাজের সময়ও বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকছে। এতে রোজাদারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান কেশবপুর উপজেলায় দিন ও রাত ২৪ ঘন্টায় ৬ ঘটা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে গ্রাহকেরা জানান।
এদিকে অতিরিক্ত তাপ মাত্রা ও নিরবিছিন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারনে এ উপজেলার বিভিন গ্রামে বিদশী গরু ও ব্রয়লার মুরগী হিট স্টোকে মারা যাচ্ছে বলে জানান। তাদের খামারে সব সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন রাখতে বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করে থাকেন। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে খামারের গরু ও ব্রয়লার মুরগী খামারীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন রয়েছে বল জানান। এছাড়া তীব্র তাপ দাহর কারণে এলাকার পুকুর ও মৎস্য ঘরের পানি অতিরিক্ত গরম হয়ে মাছ মরে ভেস উঠছে। ফলে লাকসানের আশংকা করছেন মৎস্য ও খামার ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে খুলনার রামপাল বিদ্যুৎ কেদ্রটি সম্প্রতি বসে যাওয়ার জন্য এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ সাভাবিক পর্যায় চলে আসবে আশা করা যাচ্ছে।
কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম শাহীন বলেন, খুলনার রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেদ্রটি সম্প্রতি বসে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ১৪ মেগাওয়াড। রামপাল ও বরিশাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেদ্র ঠিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সাভাবিক পর্যায় আসবে না ।
এমএসএম / এমএসএম
কেশবপুরে ধানের শীষের প্রার্থী শ্রাবণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাঘায় লকডাউন প্রতিহতে সংগ্রামী দলের মশাল মিছিল
মিরসরাইয়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি উদ্যোগে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত
ত্রিশালে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১
জজের ছেলে তাওসিফ'র মৃত্যুর মূল কারণ-অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভূঞাপুর ইউনিটের কমিটি ঘোষণা
বিরল রোগে আক্রান্ত মা ও ছেলে, অসহায়দের সাহায্যের আবেদন
নাচোলে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
মানিকগঞ্জে স্কুল বাসে আগুন: দগ্ধ চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক
ধামরাইয়ে বিএনপি'র লিফলেট বিতরণ
সুবর্ণচরে রফিকুন-নবী ফাউন্ডেশন বৃত্তি অনুষ্টিত
মুকসুদপুরের কৃতি সন্তান আশেক হাসান সাগর যশোরের নতুন জেলা প্রশাসক