তমসা
তমসা
আখতারুজ্জামান বাবলুবন্ধু, কতদিন তোকে দেখি না
অথবা খুঁজি না, মনের বিমুগ্ধ জানালার ওপারে
চোখ বুজলেই অন্ধকারের অখণ্ড শূন্যতা
সেখানেই বিদগ্ধ হাহাকারের নির্মল মহোৎসব
সেই অন্ধকারে মাঝে মাঝে তারা ফোটে, জোছনা হাসে
ক্ষীণ আলোর অপরূপ রেখার বাঁকে বাঁকে
অনুসন্ধানী চোখ খুঁজে ফিরতে চায় জোনাকিদের আলোর নির্মল জানালায়
তোকে ও তোর মায়াময় মুখ
এই কল্পিত আলো-আঁধারীর বিলাসী স্বপ্ন বাসরে
চেতনার বিবর্ণতায় তখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা কষ্টের খয়েরি পিণ্ড
আর পরিশ্রান্ত প্রশান্তির দোলাচলে
সেইসব কষ্টের অবশ দহন
অতঃপর আমি কিছুই দেখি না অথবা খুঁজি না।
জানি, তুই এখন বহুদূরের অবকাশ।
কোনো এক যাপিত জীবনের বর্ণিল পথে -পথে
তোর বিমুগ্ধ পথচলা ও আকাক্সক্ষার সুন্দরতম বাস্তবায়ন।
আমার চেতনার অবিশ্বাস্য পথের দূরত্ব যোজন যোজন,
তাইতো অস্তিত্বের অবারিত বলয়ে শুধুই নন্দিত কষ্টের হাহাকার
সেখানেও অপেক্ষাগুলো নিঃশব্দে মুখ লুকায় অতীত বসন্তের অবগুণ্ঠনে
তখনো দিগন্ত প্রসারিত মায়ার ছায়ায় তোকে খুঁজি না,
না থাক, তুই আমার চাওয়ার বৈচিত্র্য লীলায়
আমার দৃষ্টির নিলজ্জ সীমারেখায়
না থাক, মনের দুরন্ত স্পন্দনে তোর কোনো বর্ণিল আলাপন
শুধু পলকহীন মুদ্রিত চোখের অন্ধকারে
অবেলার শূন্যতায় স্মৃতি ও বিস্তৃতির ভাগাড়ে
পড়ে থাক আমার আরক্ত প্রেম,
স্নায়ুর ব্যথায় লিন হোক কালোত্তীর্ণ অবসাদ।সেই স্মৃতি ও বিস্মৃতির প্ল্যাটফর্মের উপরে
এখনো জোছনা ফোটে, তারা হাসে
মহাশূন্যতায় রূপালী আলোর ঝরনা নামে
এখানে আমার চেতনা প্রলুব্ধ হয়
প্রখর আবেগ, নিগুঢ় অনুভবে, খুঁজতে চায়
মায়াবী মুখ, সময় ও অবলুপ্ত অস্থির অপেক্ষার নির্মল পাটাতনে
কিন্তু না -
সামনে জমাট তমসার অখণ্ড মহাপ্রাচীরের নিদারুণ নগ্নতা।
এমএসএম / এমএসএম