বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ০৭ মে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়, ঢাকায় এক সংবাদ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য রাখেন মুখ্য সন্ধ্যাকে ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি বলাম ফেডারেশনের সহপতি মো. ওয়ারেছ আলী।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, মো. ইব্রাহিম খলিল, সহসভাপতি, তৃতীয় শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি, মো. আনিসুর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদ, সভাপতি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশন, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, আহবায়ক, বাংলাদেশ ১৭-২০ মেড কর্মচারি সমিতি, মো: জিয়াউল হক, সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, খায়ের আহম্মেদ মজুমদার, সমন্বয়ক, নো: গাজীউল ইসলাম, সমন্বয়ক, নো: নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, সমস্যাক, আসমা খানম, সমন্বয়ক, মো: হেলাল উদ্দিন, সমন্বয়ক, নুরে আলম, সদস্য সচিব, বাংলাদেশ ১৭-২০ কর্মচারি সমিতি, মো: আইনুল হক, সার্চে অব বাংলাদেশ, মো: কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, জনৱাস্থ্য প্রকৌশল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন, মো: মোফাজ্জল হোসেন, সমন্বয়ক, মো: আল্লাহ সমস্বয়ক, বিভাগীয় সমন্বয়ক মো: আসানুর রহমান, মো: ঘোরন আলম, আবুল কালাম আজাদ, সেলিম রেজা, যুগ্ম সমন্বয়ক আফরোজ আলী মোল্যা, মোজহারুল ইসলাম, মো: ফরিদ আহমেদ সরদার, কায়সার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মো. তারিকুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন তালুকদার, মাহবুব হোসেন তালুকদার, আরিফুল ইসলাম, মৌসুমী প্রধান, আশিকুল ইসলাম আশফাকুল আশেকীন, মো: আব্দুল হালিম, গাজী সালাউদ্দিন, শাহীনুর রহমান, আব্দুল্যা আল মামুন, মো: শফিকুল ইসলাম, মো: শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, বেলা হোসেন, আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মূখ্য সমন্বয়কসহ সমন্বয়কবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের নিম্নবর্ণিত ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মচারীদের প্রতিনিধিগণ মানব বন্ধন কর্মসূচিতে কর্মচারীদের মনের পুঞ্জিভূত অসন্তোষ ও বিরাজিত ক্ষোভ নিরসনসহ ৭ দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য
সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

৭ দফা দাবী নিম্নরূপ:

১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।

২। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।

৪। টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূর্ণবহাল সহ বেতন জোষ্ঠতা পুনঃবহল, বিদ্যমান প্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন প্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম থেডে উন্নীতকরণ ও অধ্যয়ন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

৬। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

৭। বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রাপ্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না। ৫ বছর পর পর পে-স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এ পর্যায়ে কর্মচারিদের ৯ম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা প্রত্যাশিত। অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পদবী বৈষম্য দূর করে পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহলসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লিখিত তারিখ ও দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় আগামী ১২ মে ২০২৩ তারিখ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঢাকায় পূর্বে ঘোষিত মহাসমাবেশ কর্মসূচি আগামী ২৬-০৫-২০২৩ খ্রিঃ তারিখ একই সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তার পরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত দাবিসহ ঘোষিত কর্মসূচি বহুল প্রচারিত ইলেকট্রনিক মিডিয়া / প্রিন্ট মিডিয়া/অনলাইন মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গোচরীভূত করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।