খানসামায় প্রত্যন্ত গ্রামে চা বিক্রেতা এন্তাজুলের জীবনকথা

জীবন এবং জীবিকা সকলের একভাবে চলে না। জীবন নদীর স্রোতের মত প্রবহমান। মানুষ তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাথে যুক্ত।
বলছি দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার ছাতিয়ান গড় গ্রামের মাদার দরগাহ্ উকিলের বাজারে ইছামতি নদী তীরে ছোট্ট একটি দোকানের চা বিক্রি করা মোঃ এন্তাজুল হকের কথা। যার তৈরি করা চায়ের স্বাদ প্রত্যন্ত এই গ্রামের লোকজনের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
মাদার দরগাহ্ সেল্টু শাহ্ মাদ্রাসার প্রায় ১০০ মিটার দক্ষিণে এড.হাবিবুর সুপার মার্কেটের দুই ভাই স্টোর ও আব্দুল্লাহ ফার্মেসির সামনে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় টিনের একটি চালা (ছাপড়া) স্থাপন করে সকাল ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা অবধি চলে পপুলার চা বিক্রেতা এন্তাজুলের চা বিক্রি।
খানসামা উপজেলার আঙ্গার পাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের চার সন্তানের সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র এন্তাজুল হক।
বাবার অভাবের সংসারে তার বেড়ে উঠা যে কারণে ছোটবেলা থেকেই বাবাকে সহায়তা করতে শিশুশ্রম বিক্রি করতে হয় তাকে। তার স্বাদ ছিলো লেখাপড়া শিখে মানষের মত মানুষ হওয়া কিন্তু বিধিবাম, দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করতে করতে তার সে স্বপ্ন সাধ পূরণ হয়নি কোনদিন।
এন্তাজুলের চা এর সুখ্যাতি থাকায় স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র,ব্যবসায়ী, ডাক্তার, চাকুরীজীবী, পথিক সকলেই তার তৈরি করা চায়ের ভক্ত ও ক্রেতা। সকাল থেকেই সিরিয়াল অনুসারে তার চা প্রদান শুরু হয়, একটু দেরীতে সহাস্যে বিনয়ী স্বরে অপেক্ষার কথা কাস্টমার বিরক্তির কারণ হয়না কোন সময়। সদা হাস্যজ্বল এন্তাজুল রুঢ় আচরণে কখনই বিরক্ত প্রকাশ করে না। দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকালে তিনি তার চা বিক্রির কাহিনী, সংসারের সুখ দুঃখ, হাসি কান্নার কাহিনী অবলীলায় উপস্থাপন করেন।
চা বিক্রেতা এন্তাজুল হক দৈনিক সকালের সময় পত্রিকাকে জানায়, তিনি ২০০৪ সাল থেকে টানা ১৭ বছর চা বিক্রি পেশার সাথে যুক্ত। চা ছাড়াও তিনি কালাইয়ের বরা ও বুট মুড়ি বিক্রী করেন।
সারাদিন এসব বিক্রি করে তার কোনদিন ১৫০০ আবার কোনদিন ১২০০ কোনদিন ১০০০ টাকা বিক্রি হয়। সেখান থেকে ৩০০-৪০০ টাকা লাভ হয় তার। আর এ লাভের টাকা দিয়েই চলে তার অভাবের সুখের সংসার।
মোরসালিন, জাহাঙ্গীর, আব্দুল কাদের, বেলাল,নুর ইসলাম ও বাবুসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন চা পান করা অবস্থায় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকাকে জানান, এই দোকানের (এন্তাজুলের) চা ছাড়া আমরা কোথাও চা খাই না।
কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, এন্তা ভাইয়ের মতো চা অন্য কোনখানে হয় না তাছাড়া সে ৫ টাকায় যতগুলো চা দেয় অন্য কোথাও সেগুলোর দাম ১০ টাকারও বেশি হবে। শুধুমাত্র চা নয় তার দোকানের বুট ও কালাইয়ের বরাও খেতে বেশ ভালো লাগে।
'পরিমাণে বেশি চা কিন্ত দামে কম' দেয়ার ব্যাপারে তাঁর (এন্তাজুল) এর কাছে জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তিনি বললেন, 'দু'বেলা বিক্রি করে ঠিক পুষিয়ে যায়। চলে যাচ্ছে যখন, তখন আর দাম বাড়িয়ে কী হবে বলুন? অন্য দোকানদার, এমনকী খদ্দেররাও মাঝে মাঝে দাম বাড়ানোর পরামর্শ দেন বটে। তবে আমার সমস্যা হয় না। তাই বাড়াইনি।'
'যতদিন পারব, এই ৫ টাকাতেই বিক্রি করে যাব'
শেষ বয়সে শুধু আমার চাওয়া আমি যখন থাকবো না তখন যেন সবাই আমার এই স্মৃতিটুকু ধরে রেখে আমার জন্য দোয়া করে" চা ছাঁকতে ছাঁকতে বললেন এন্তাজুল হক।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
