সুনামগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে নুরুল ইসলাম হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে নুর আলম (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি ওই গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোররাতে সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর মধ্যপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের বসতবাড়িতে। খবর পেয়ে ওই দিন সকালে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় নুর আলমের বাড়িতে ১৫-২০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে এবং নুর আলম ও তার ভাইদের প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে একটি চক্র। সকাল হতেই নুর আলমের নিজ ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়ায় অনেকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সন্দেহের তীর ওঠে এক বছর আগে খুন হওয়া নুর ইসলাম হত্যা মামলার আসামিদের দিকে।
নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবি, নুর আলমকে হত্যা করা হয়েছে এবং নুর ইসলাম হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা মিলে তাকে খুন করেছে। মৃত ব্যক্তির স্বজনরা আরো জানান, এর আগে একই বংশের তিনজন খুন হয়েছেন। আর এই মৃত্যু নিয়ে সৈয়দপুর গ্রামে একই বংশের ফোর মার্ডার যোগ হয়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ জানতে চান গত ২৮ জুলাই কী হয়েছিল ব্যবসায়ী নুর আলমের বাড়িতে? সে কি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে? ভোরবেলা বোন সুলতানা ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন নুর আলমের ঘরের দরজা খোলা এবং টিনের চাল কাটা। নুর আলমের ঘরে ঢুকে দেখেন চালের বর্গার সাথে ওড়না দিয়ে পেঁচানো নুর আলমের লাশ। সেটাই এখন মূল রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে সৈয়দপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে ভয় এবং আতংঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে আত্নহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে কিভাবে ব্যবসায়ী নুর আলম মারা গেছেন। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান