কক্সবাজারে পুলিশের চাঁদাবাজি
কক্সবাজারে শহরে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার অর্ধশত কোম্পানির গাড়ি প্রবেশ করে। এসব গাড়ি প্রবেশ ও পার্কিংয়ের জন্য বাস মালিকদের কাছ থেকে বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে নগদ ও বিকাশে প্রতিমাসে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সড়কপথে কক্সবাজারে প্রতিদিন বিভিন্ন কোম্পানির অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস প্রবেশ করে। সড়কে বাস যাতায়াতের সময় মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশ,থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সাথে বিশেষ চুক্তি করেন বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। সেই চুক্তির টাকা প্রতিমাসে পুলিশের নগদে বা বিকাশে পৌছিয়ে দেন বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কক্সবাজার পর্যন্ত ৩টি হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ৩টি ট্রাফিক পুলিশের বিকাশ ও নগদে লেনদেনের রেকর্ড ও তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি পরিবহনের কর্মকর্তা জানান, আমার কোম্পানির যাত্রীবাহী এসি বাস রয়েছে ৩৫টি। এসব বাস চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন কক্সবাজার চলাচল করে। সড়কে এসব বাস চলাচলে বিভিন্ন সময় পুলিশের হয়রানি ও মামলার শিকার থেকে বাচতে চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশকে ১০ হাজার টাকা, মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশকে ১০ হাজার টাকা, রামু হাইওয়ে থানা পুলিশকে ১০ হাজার টাকা, চকরিয়া ট্রাফিক পুলিশকে ৬ হাজার টাকা, ঈদগাহ ট্রাফিক পুলিশকে ৪ হাজার টাকা ও কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশদের প্রতিমাসে টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলার শিকার হতে হয়। এভাবে হয়রানি ও মামলার ভয় দেখিয়ে অর্ধশত কোম্পানির যাত্রীবাহি বাস থেকে প্রতিমাসে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে পুলিশের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাইওয়ে থানা পুলিশের সদস্য ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে বিভিন্ন মালবাহী ট্রাকের চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস পরিবহণ, যাত্রীবাহী লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ডাম্পার ও বিভিন্ন অবৈধ পরিবহন মালিক ও চালকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে টোকেনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগও রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন মাসিক মাসোহারার বিষয়টি অস্বীকার করেন। জানতে চাইলে মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ওসিও টোকেন ও মাসোহারার বিষয়টি অস্বীকার করেন।জানতে চাইলে চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।জানতে চাইলে কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ট্রাফিক বিভাগের মাসিক আর্থিক লেনদেন বা মাসোহারার বিষয়টি আমার জানা নেই। কে বা কোন কর্মকর্তা টাকাগুলো নেয় যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায় তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, অর্ধশত বাস ও অন্যান্য বহন থেকে মাসিক মাসোহারা ও টোকেনের ব্যাপরে জানা নেই। খোজ নিয়ে যদি সত্যতা পাওয়া যায় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম
কোন লুটেরা, চাঁদাবাজ ও বল প্রয়োগকারীকে ভোট দেবেন না; গণসংযোগে রাশেদ খান
খানসামা টিটিসিতে ধর্মীয় বৈষম্য–নির্যাতনের অভিযোগ: জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে তদন্ত আবেদন
কেরুজ ভোটের দাবীতে আন্দোলনের শুরুর দিনেই দুপক্ষের মারামারি
নওগাঁয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ধলু’র উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
নৈয়াইর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাহার
রামগঞ্জে যুবদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে বিএনপি কর্মী খুন
ঠাকুরগাঁওয়ের ফকিরপাড়া থেকে মটরসাইকেল চুরি : মামলা
কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগে সরব জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার
কর্ণফুলী'তে হত্যা'সহ একাধিক মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি সাজু হাসান গ্রেপ্তার
শীতের আগমনে লেপ তোষকের ব্যস্ততা; পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে ধুনকরদের শীতের বাজার
কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান