ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

শান্তিগঞ্জের কলেজ পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র এখন মুদি দোকানের কর্মচারী


শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি photo শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩১-৭-২০২১ দুপুর ৪:৫
নানা টানাপড়েন আর বাধা, কষ্ট ও দুঃখ পেরিয়ে কলেজের চৌকাঠে পা রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. শামসুদ্দোহা। শান্তিগঞ্জের আব্দুল মজিদ কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারের একটি মুদি দোকানে কর্মচারীর কাজ করে নিজের লেখাপড়া ও বেঁচে থাকার খরচ জোগাচ্ছেন মো. শামসুদ্দোহা। 
 
শামসুদ্দোহার এমনও দিন গেছে সকালের নাশতা পান্তাভাত খেয়েই টিউশনি করতে বের হতে হয়েছে। টিউশনি থেকে ফিরে বিদ্যালয়ে। শুধু পানি খেয়ে টিফিনের সময় কেটেছে। বিকেলে বাড়িতে ফিরে নাশতা বা চালভাজা। তারপর আবার টিউশনি। রাতে আবার নিজের রান্নাবান্না, হোমওয়ার্ক। এভাবে লেখাপড়া চালিয়ে ২০১৯ সালে এসএসসি পাস করেন তিনি।
 
এসএসসি পাসের পর কলেজে ভর্তি হবেন সে টাকাও ছিল তার হাতে। পরে অন্য একজনের দয়ায় ও আর্থিক সাহায্যে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। কলেজে ভর্তি হয়ে টিউশনির পরিমাণটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শামসুদ্দোহা। এক সময় লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে ভালোই চলছিল শামসুদ্দোহার জীবন। স্বপ্ন বুনছিলেন লেখাপড়া শেষ করে একটা বড় চাকরি করে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবেন। কিন্তু এতে বাদসাধে মহামারী করোনা ভাইরাস। করোনাকালে অন্যের বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করার সুযোগ হারিয়ে চোখমুখে অন্ধকার দেখেন তিনি। 
 
অবশেষে তার এক বন্ধুর পরামর্শে উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে সেলসম্যানের চাকরী নেন তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে চলেছেন মেধাবী ছাত্র শামসুদ্দোহা।
 
শামসুদ্দোহার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ২নং জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামে। তার বাবা আজাদ মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর। মায়ের নাম রিনা বেগম। মায়ের আদর বোঝার আগেই মাত্র দুই বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। ২ বোন ১ ভাইয়ের সংসারে শামসুদ্দোহা ছিলেন সবার ছোট। বাবা থাকতেই বড় দু বোনের বিয়ে হয়ে যায় অনত্রে। যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন তখন বাবাকে হারিয়ে একদম একা হয়ে যান তিনি। নিদারুণ কষ্ট আর  পিতা-মাতাহারা মেধাবী শামসুদ্দোহা দরিদ্রতাকে উপেক্ষা করে আত্মপ্রত্যয় আর অদম্য মনোবলের জোরে তার জীবন-জীবিকা আর লেখাপড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।  
 
শামসুদ্দোহা বলেন, দরিদ্র পরিবারে নানা সংকটের মধ্যদিয়ে আমাকে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ইচ্ছাশক্তির বলেই এখনো লেখাপড়া ধরে রেখেছি। পাড়ার অন্য ৮-১০টা ছেলের জীবনের মতো আমার জীবন-জীবিকা ছিল না। এতিম হয়ে যাওয়া এবং দরিদ্রতাকে সাথে করেই আমি আমার জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। আজও আমার নিজের একটা বাড়ি নেই, অন্যের বাড়িতে থাকি। আমার চেয়ে অসহায় আর গবিব হয় না। এরপরও আমি সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।
 
এ ব্যাপারে ধনাঢ্য হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতা এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মেধাবী শামসুদ্দোহা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

এমএসএম / জামান

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন