শান্তিগঞ্জের কলেজ পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র এখন মুদি দোকানের কর্মচারী

নানা টানাপড়েন আর বাধা, কষ্ট ও দুঃখ পেরিয়ে কলেজের চৌকাঠে পা রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. শামসুদ্দোহা। শান্তিগঞ্জের আব্দুল মজিদ কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারের একটি মুদি দোকানে কর্মচারীর কাজ করে নিজের লেখাপড়া ও বেঁচে থাকার খরচ জোগাচ্ছেন মো. শামসুদ্দোহা।
শামসুদ্দোহার এমনও দিন গেছে সকালের নাশতা পান্তাভাত খেয়েই টিউশনি করতে বের হতে হয়েছে। টিউশনি থেকে ফিরে বিদ্যালয়ে। শুধু পানি খেয়ে টিফিনের সময় কেটেছে। বিকেলে বাড়িতে ফিরে নাশতা বা চালভাজা। তারপর আবার টিউশনি। রাতে আবার নিজের রান্নাবান্না, হোমওয়ার্ক। এভাবে লেখাপড়া চালিয়ে ২০১৯ সালে এসএসসি পাস করেন তিনি।
এসএসসি পাসের পর কলেজে ভর্তি হবেন সে টাকাও ছিল তার হাতে। পরে অন্য একজনের দয়ায় ও আর্থিক সাহায্যে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। কলেজে ভর্তি হয়ে টিউশনির পরিমাণটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শামসুদ্দোহা। এক সময় লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে ভালোই চলছিল শামসুদ্দোহার জীবন। স্বপ্ন বুনছিলেন লেখাপড়া শেষ করে একটা বড় চাকরি করে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবেন। কিন্তু এতে বাদসাধে মহামারী করোনা ভাইরাস। করোনাকালে অন্যের বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করার সুযোগ হারিয়ে চোখমুখে অন্ধকার দেখেন তিনি।
অবশেষে তার এক বন্ধুর পরামর্শে উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে সেলসম্যানের চাকরী নেন তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে চলেছেন মেধাবী ছাত্র শামসুদ্দোহা।
শামসুদ্দোহার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ২নং জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামে। তার বাবা আজাদ মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর। মায়ের নাম রিনা বেগম। মায়ের আদর বোঝার আগেই মাত্র দুই বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। ২ বোন ১ ভাইয়ের সংসারে শামসুদ্দোহা ছিলেন সবার ছোট। বাবা থাকতেই বড় দু বোনের বিয়ে হয়ে যায় অনত্রে। যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন তখন বাবাকে হারিয়ে একদম একা হয়ে যান তিনি। নিদারুণ কষ্ট আর পিতা-মাতাহারা মেধাবী শামসুদ্দোহা দরিদ্রতাকে উপেক্ষা করে আত্মপ্রত্যয় আর অদম্য মনোবলের জোরে তার জীবন-জীবিকা আর লেখাপড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
শামসুদ্দোহা বলেন, দরিদ্র পরিবারে নানা সংকটের মধ্যদিয়ে আমাকে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ইচ্ছাশক্তির বলেই এখনো লেখাপড়া ধরে রেখেছি। পাড়ার অন্য ৮-১০টা ছেলের জীবনের মতো আমার জীবন-জীবিকা ছিল না। এতিম হয়ে যাওয়া এবং দরিদ্রতাকে সাথে করেই আমি আমার জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। আজও আমার নিজের একটা বাড়ি নেই, অন্যের বাড়িতে থাকি। আমার চেয়ে অসহায় আর গবিব হয় না। এরপরও আমি সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।
এ ব্যাপারে ধনাঢ্য হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতা এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মেধাবী শামসুদ্দোহা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
এমএসএম / জামান

সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারপিট, স্বামী আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুরে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত মহল্লা গড়তে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আদমদীঘিতে শারর্দীয় দুর্গাপুজা শান্তিপুন ভাবে উদযাপনের লক্ষে প্রস্ততিমুলক সভা

রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার

মির্জাগঞ্জে নয় মাসের নাতি কে নিয়ে বিপাকে বৃদ্ধা ভানু বেগম

শালিখায় গ্রীষ্মকালীন ক্রিড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

কুতুবদিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইনসিওরেন্সের গ্রাহক পরিবারকে মৃত্যুদাবী প্রদান ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

সিরাতুল মুস্তাকিম সংস্থা দুবাই'র আরব আমিরাত কমিটি গঠন
Link Copied