ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

শান্তিগঞ্জের কলেজ পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র এখন মুদি দোকানের কর্মচারী


শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি photo শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩১-৭-২০২১ দুপুর ৪:৫
নানা টানাপড়েন আর বাধা, কষ্ট ও দুঃখ পেরিয়ে কলেজের চৌকাঠে পা রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. শামসুদ্দোহা। শান্তিগঞ্জের আব্দুল মজিদ কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারের একটি মুদি দোকানে কর্মচারীর কাজ করে নিজের লেখাপড়া ও বেঁচে থাকার খরচ জোগাচ্ছেন মো. শামসুদ্দোহা। 
 
শামসুদ্দোহার এমনও দিন গেছে সকালের নাশতা পান্তাভাত খেয়েই টিউশনি করতে বের হতে হয়েছে। টিউশনি থেকে ফিরে বিদ্যালয়ে। শুধু পানি খেয়ে টিফিনের সময় কেটেছে। বিকেলে বাড়িতে ফিরে নাশতা বা চালভাজা। তারপর আবার টিউশনি। রাতে আবার নিজের রান্নাবান্না, হোমওয়ার্ক। এভাবে লেখাপড়া চালিয়ে ২০১৯ সালে এসএসসি পাস করেন তিনি।
 
এসএসসি পাসের পর কলেজে ভর্তি হবেন সে টাকাও ছিল তার হাতে। পরে অন্য একজনের দয়ায় ও আর্থিক সাহায্যে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। কলেজে ভর্তি হয়ে টিউশনির পরিমাণটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শামসুদ্দোহা। এক সময় লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে ভালোই চলছিল শামসুদ্দোহার জীবন। স্বপ্ন বুনছিলেন লেখাপড়া শেষ করে একটা বড় চাকরি করে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবেন। কিন্তু এতে বাদসাধে মহামারী করোনা ভাইরাস। করোনাকালে অন্যের বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করার সুযোগ হারিয়ে চোখমুখে অন্ধকার দেখেন তিনি। 
 
অবশেষে তার এক বন্ধুর পরামর্শে উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে সেলসম্যানের চাকরী নেন তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে চলেছেন মেধাবী ছাত্র শামসুদ্দোহা।
 
শামসুদ্দোহার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ২নং জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামে। তার বাবা আজাদ মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর। মায়ের নাম রিনা বেগম। মায়ের আদর বোঝার আগেই মাত্র দুই বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। ২ বোন ১ ভাইয়ের সংসারে শামসুদ্দোহা ছিলেন সবার ছোট। বাবা থাকতেই বড় দু বোনের বিয়ে হয়ে যায় অনত্রে। যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন তখন বাবাকে হারিয়ে একদম একা হয়ে যান তিনি। নিদারুণ কষ্ট আর  পিতা-মাতাহারা মেধাবী শামসুদ্দোহা দরিদ্রতাকে উপেক্ষা করে আত্মপ্রত্যয় আর অদম্য মনোবলের জোরে তার জীবন-জীবিকা আর লেখাপড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।  
 
শামসুদ্দোহা বলেন, দরিদ্র পরিবারে নানা সংকটের মধ্যদিয়ে আমাকে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ইচ্ছাশক্তির বলেই এখনো লেখাপড়া ধরে রেখেছি। পাড়ার অন্য ৮-১০টা ছেলের জীবনের মতো আমার জীবন-জীবিকা ছিল না। এতিম হয়ে যাওয়া এবং দরিদ্রতাকে সাথে করেই আমি আমার জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। আজও আমার নিজের একটা বাড়ি নেই, অন্যের বাড়িতে থাকি। আমার চেয়ে অসহায় আর গবিব হয় না। এরপরও আমি সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।
 
এ ব্যাপারে ধনাঢ্য হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতা এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মেধাবী শামসুদ্দোহা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

এমএসএম / জামান

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

রাজশাহীতে দিনব্যাপী সুজুকি বাইকার্স ডে অনুষ্ঠিত