ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

শখের বসে সমন্বিত খামারে সফল খানসামার জয়নাল আবেদীন


জসিম উদ্দিন, খানসামা photo জসিম উদ্দিন, খানসামা
প্রকাশিত: ৩০-৫-২০২৩ দুপুর ১:৯
শখের বসে প্রথমত মাত্র ৩০০ ব্রয়লার মুরগী নিয়ে খামার দিয়ে শুরু করে এখন বর্তমানে অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি বয়লার ও লেয়ার মুরগীর একজন সফল খামারি জয়নাল আবেদীন। শুধু মুরগির খামারই নয়, করেছেন মাছ চাষ ও গরুর খামারও। মাছ, মুরগি ও গরুর খামার--তিনে মিলিয়ে উপজেলার সবচেয়ে বড় সমন্বিত খামারি এখন ৬০ বছরের এই জয়নাল আবেদীন। কৃষিক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১০ সালে পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পুরষ্কারও।
সফল এই খামারির বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গার পাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামে। বাড়ির পাশেই প্রায় ৪ একর জমিতে গড়ে তোলেন তাঁর সমন্বিত কৃষি খামার। খামারের নাম
জয়নাল এগ্রো ফার্ম লিমিটেড। তাঁর খামারে রয়েছে-ছয়টি মুরগীর সেড, তিনটি গরুর সেড।খামারের আসে পাশে প্রায় তিন একর জমিতে বুনেছেন নেপিয়া, পাচং ও জারা ঘাস। সেখান থেকে ঘাস এনে খাওয়ান গাভিকে।
মুরগি ও গরুর খামারের পাশাপাশি রয়েছে তার তিনটি পুকুর। এই পুকুরগুলোতে বিভিন্ন প্রকারের মাছ চাষ করে এলাকায় আমিষের ঘাটতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
তার এই খামারে ২০ জন মানুষের মিলেছে কর্মসংস্থান। তার খামারে কাজ করে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের খরচও চালাতে পারছে। ছাতিয়ান গড় গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, জয়নাল আবেদীন তাদের গ্রামের একজন সফল খামারী। যিনি প্রথম এই গ্রামে মুরগীর খামার, গরুর খামার ও বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ শুরু করেন।
 
খামারি কীভাবে হলেন—প্রশ্নের জবাবে জয়নাল আবেদীন সকালের সময়কে বলেন, শখের বসে শুধুমাত্র জমানো ২০০ টাকা দিয়ে ৫০টি হাঁসের বাচ্চা কিনে পুষতে শুরু করি তারপরে সেগুলো পালনে আমি যখন সফল হই তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আমি বয়লার মুরগির খামার করবো পরে ১৯৮৮ সালে ৩০০টি বয়লার মুরগি দিয়ে আমি প্রথম খামার শুরু করি। তখন থেকেই ধীরে ধীরে আমার এই পর্যন্ত আশা। আর এখন একজন সফল খামারি হিসেবে শিক্ষিত বেকারদের বলব, আপনারা যারা ভাবছেন একজন সফল খামারি বা উদ্যোক্তা হবেন তারা ধৈর্য ধরে লেগে থাকবেন, তাহলে সফলতা আসবেই। এ ছাড়া চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
 
সমন্বিত খামারে গরু পালনে তিনি আরও বলেন, ‘ডেইরি খামারে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয় সেই বর্জ্যকে এবারে কাজে লাগানোর জন্য কিছু প্রজেক্ট নিয়েছি। এই বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির চেষ্টা করছি। এছাড়াও গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করার ব্যবস্থা করছি যা দিয়ে রান্নাবান্নাসহ ফার্মের বেশ কিছু কাজে ব্যবহৃত হবে বলে তিনি জানান।
 
তরুণ-যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে জয়নাল আবেদীনকে একটি উদাহরণ মনে করেন ওই এলাকার প্রবীণরা। তারা সকালের সময়কে বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের স্বাবলম্বী হতে জয়নাল আবেদীনের মতো উদ্যোগ নিতে হবে। খামার করে তিনি নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। দেশের অর্থনীতিতে তিনি অবদান রাখছেন। পাশাপাশি আমিষের অভাব পূরণেও তাঁর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার ব্যবস্থাপনায় আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে চান।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত