কে হচ্ছেন কক্সবাজারের পৌর মেয়র ?
বহুল আলোচিত কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন ১২ জুন সোমবার। সকাল থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহন। পৌর বাসীর চোখ এখন ইভিএম মেশিনের দিকে। ভোটের আগে তাই পৌর বাসীর কাছে ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন- মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নাকি মাসেদুল হক রাশেদ, কে হচ্ছেন নতুন পৌর পিতা?
জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক এই দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যেই লড়াই হবে। নৌকার প্রার্থী মাহাবুবুর রহমানের সমথকেরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি,আবার কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সদস্যরা বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ হবেন মেয়র।
সোমবার ১২ জুন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১২টি ওয়ার্ডে ৪৩টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮০২ জন। তারমধ্যে পুরুষ ৪৯ হাজার ৮৭৯ জন এবং মহিলা ৪৪ হাজার ৯২৩ জন।
দ্বিতীয় বারের মত অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দারা আগামী পাঁচ বছরের জন্য একজন মেয়র, ১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন।
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। ১২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন। ৪টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন। তবে মেয়র পদে ভোটারদের কাছে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মাসেদুল হক রাশেদ।
মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস ছিলেন,কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর নির্বাচিত হন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সর্বশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভায় তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত
চিত হন। এবং প্যানেল মেয়র ও ভারপ্রাপ্ত মেয়রের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
মাসেদুল হক রাশেদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে। মাসেদুল হক রাশেদ ছাত্র রাজনীতি না করলেও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে।
গত ২৬ মে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন ৫জন মেয়র প্রার্থীসহ ৭৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। টানা ১৫ দিন-রাত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ ১০ জুন রাত ১২টায়। এসময় প্রার্থীরা যে যেভাবে পারেন পৌরসভার ভোটারদেরম মনোযোগ আকর্ষণের প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এ কয়েক দিনে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, আচরণবিধি লঙ্ঘন, শব্দ দূষণসহ বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনা সংবাদ শিরোনামও হয়েছেমএ কয়েকদিনে।
এছাড়াও কক্সবাজার পৌর নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থীর বিরোধিতাসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১৩ আওয়ামী লীগের নেতাকে বহিষ্কার, বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের দুই ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েলকেও বহিষ্কার করার মত ঘটনাও ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী পৌরবাসীর সামনে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ৩৭টি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছেন। ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে গৃহহীন নগরবাসীর জন্য আবাসন প্রকল্প, কবর ব্যবস্থাপনা, বয়ষ্কদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম, ডোর টু ডোর ক্লোজড মেথডে বর্জ্য অপসারণ,
সুপেয় পানি সংকট সমাধান, জনবান্ধব সেন্ট্রাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) নির্মাণ, সড়ক, গলি, উপগলিতে পর্যাপ্ত এলইডি লাইট স্থাপন ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কক্সবাজার থীম পার্ক, ক্যাশলেস পর্যটন সহ কক্সবাজারকে স্মার্ট সিটি করার ঘোষণা দেন তিনি।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ নিজের ইশতেহারের নাম দিয়েছেন স্বপ্নযাত্রা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার পাঠ করে তিনি বলেছেন, পৌরসভার নাগরিক সেবা প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি মোকাবেলা, সহনশীল পরিবেশবান্ধব শহর গঠন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, পৌরসভার অধীনে আইসিটি স্কুল নির্মাণ, পৌর শহরে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, যানজট নিরসনে পৌর শহরে অবৈধ বাস বন্ধ করণ, অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ, পৌর শহরের জলাবদ্ধতা স্থায়ী সমাধান করণ এবং সন্ত্রাস, ছিনতাই ও চাঁদাবাজ মুক্ত পর্যটন নগরী গড়ে তোলা হবে জানান তিনি।
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন প্রার্থী । তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী জোসনা হক (মোবাইল ফোন), জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)।
কক্সবাজার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি করে সিসিটিভি এবং প্রতি বুথে ১টি করে সিসি ক্যামেরা থাকবে। একইসাথে পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ১২টি র্যাবের পেট্রোল টিম, ১২টি ওয়ার্ডে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সাথে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৭৯০ জন পুলিশ ও ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। এখন অপেক্ষার পালা কে হবেন ১৫৪ বছরের এই পৌরসভার মেয়র পদটির অধিকারী কে হবে।
এমএসএম / এমএসএম
কোন লুটেরা, চাঁদাবাজ ও বল প্রয়োগকারীকে ভোট দেবেন না; গণসংযোগে রাশেদ খান
খানসামা টিটিসিতে ধর্মীয় বৈষম্য–নির্যাতনের অভিযোগ: জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে তদন্ত আবেদন
কেরুজ ভোটের দাবীতে আন্দোলনের শুরুর দিনেই দুপক্ষের মারামারি
নওগাঁয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ধলু’র উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
নৈয়াইর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাহার
রামগঞ্জে যুবদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে বিএনপি কর্মী খুন
ঠাকুরগাঁওয়ের ফকিরপাড়া থেকে মটরসাইকেল চুরি : মামলা
কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগে সরব জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার
কর্ণফুলী'তে হত্যা'সহ একাধিক মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি সাজু হাসান গ্রেপ্তার
শীতের আগমনে লেপ তোষকের ব্যস্ততা; পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে ধুনকরদের শীতের বাজার
কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান