সাটুরিয়ায় এক’শ টাকার জন্য ঘটককে খুন: রহস্য উৎঘাটন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মাত্র এক’শ টাকার জন্য ঘটক লোকমান হোসেনকে খুন করেছেন আফরোজা বেগম নামে এক গৃহবধূ। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৬ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন। সেইসাথে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছেন পিপিআই। বিষয়টি পিবিআই এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামরুল হোসেন।
জানা গেছে, নাগরপুরেরর আটুটপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেন কৃষি কাজ ও এলাকায় বিয়ের সমন্ধ নিয়ে ঘটকালি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গত ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে বের হন তিনি। পরেদিন ১৫ জুন তার মরদেহ পূর্ব দিঘুলিয়া আয়নাল হকের কৃষি জমিতে পরে আছে জানতে পারে তার ছেলে আব্দুল হাকিম। আত্বীয়¯স্বজন নিয়ে লাশ শনাক্ত করেন তিনি। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মো. লোকমান হোসেনের ছেলে বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী আব্দুল হাকিম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা করলে বিষয়টি মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর এস আই সামরুল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তিনি ছায়া তদন্ত করে ১৫ জুন রাতে পাকুটিয়া গ্রামের মো. আলমাছ আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আফরোজা বেগমের তথ্যমতে মো. লোকমান হোসেন কৃষি কাজের পাশাপাশি এলাকায় বিবাহযোগ্য পাত্র পাত্রীর বিয়ের সম্পর্ন করতেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত তিনমাস আগে পরিচয় হয় তাদের মধ্যে। আফরোজার মেয়ে তনিমা আক্তার (১৪) সাথে বিয়ে ঠিক করে কথিত সুমন সাথে। এ সুযোগে তনিমা আক্তার ও সুমন মোবাইলে যোগাযোগ করতে থাকেন। এ বিষয়ে আফরোজা বেগম ও লোকমান হোসেনে সাথেও কথা হতো। এভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আফরোজা বেগমের হত্যার স্বীকারোক্তি
গত ১৫ জুন রাত আনমানিক ৯ পর মো. লোকমান হোসেন আফরোজা বেগমের বসতবাড়ির পেছনে চকের ভেতর (কৃষি জমি) পুকুর পাড়ে মেয়ের বিয়ের সমন্ধে কথা আছে বলে যেতে বলে। এসময় কথাবার্তার পর আফরোজা বেগমকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোড় করে। এক পর্যায়ে আফরোজা বেগমের পরণের সেলোয়ার ছিঁড়ে ফেলে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে চলে যাওয়া পর আফরোজা বেগম মো. লোকমানের কাছে ১০০ টাকা দাবী করেন। লোকমান হোসেন তখন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আফরোজাকে। তখন আফরোজা উত্তেজিত হয়ে লোকমানের অন্ডকোষে সজোরে লাথি মারে। এসময় লোকমান হোসেন আহত হয়ে পরলে তাকে পরণের সেলোয়ার পুকুর থেকে ভিজিয়ে মাথায় দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আস্তে আস্তে লোকমানের নিথর দেহ নিস্তেজ হতে থাকে। ঘাতক আফরোজা ভয় পেয়ে লোকমানকে রেখে বাড়ি চলে আসে। আফরোজার ভেজা সেলোয়ারটি বসতবাড়ির পেছনে ফেলে দিয়ে আসেন। সেই সেলোয়ার পিবিআই উদ্ধার করেছে মামলার আলামত হিসেবে।
আফরোজা বেগম ভাষ্যমতে, আমার মেয়ের বিয়ের সুযোগ নিয়ে সে আমার সাথে তিনমাস মোবাইলে কথা বলেছে। কথা বলতে বলতে সে আমার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওইদিন রাতে সে আমাকে পুকুর পাড়ে ঢেকে নিয়ে মেয়ের বিয়ের কথা বলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষণ করেছে। এ কারণে আমি তাকে একটি লাথি মেরে ছিলাম। লাথিটি অন্ডকোষে লাগছে আমি বুজতে পারিনি। যখন দেখলাম সে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হচ্ছে তখন তাকে বাঁচানোর জন্য চেস্টা করেছি। কিন্তুর অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে ফেলে আমি বাড়ি চলে আসি। তবে লোকমান হোসেন ঘটকের ছব্দ বেশে অনেক নারীর ইজ্জত নষ্ট করেছে বলে দাবী এই গৃহবধূর।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ইমাম আল মেহেদি জানান, নিহত মো. লোকমান হোসেনের ছেলে আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু

বেনাপোলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন

শার্শায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধকরণ

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাকেরগঞ্জ বাসী

সীমান্তে রোহিঙ্গা পারাপারে সক্রিয় পাচঁ পাচারকারী আটক

রিকশাচালকের ছেলে রতন স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত

বিদ্যালয়ের মূল্যবান গাছ কম দামে বিক্রির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে

গোমস্তাপুরে বিএনপি নেতা মাসুদের গণসংযোগ

টাঙ্গাইলে নিউ ধলেশ্বরী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের ভাঙনে ৪০ পরিবার নিঃস্ব

কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদীতে ডুবে বৃদ্ধা নিখোঁজ

পাঁচবিবিতে কৃষকের বাড়ী ভস্মীভূত, শত্রুতার আগুন নাকি, শর্ট সার্কিট ?

ঝিনাইদহ সূর্যের হাসি ক্লিনিকে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা ও মেয়ে দুজন নিহত
Link Copied