ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

তিস্তার তীরে ছোট্ট জরাজীর্ণ ঘরে থাকে বৃদ্ধা শ্যামলি

বান আসিলে মোর ঘর কোনা বোধায় ভাঙ্গি নিয়া যাইবে


হাতীবান্ধা প্রতিনিধি  photo হাতীবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪-৬-২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

প্রায় ২০ বছর আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান স্বামী ফটিক চন্দ্র। এরপর পরেই সর্বনাশা তিস্তা বুকে বিলিন হয় বৃদ্ধা শ্যামলি রানীর বসত-ঘর। অতপর একমাত্র আদরের ছেলে মহেশ সেও বিয়ে করে মাকে একা চলে যান চট্রগ্রামে। অবশেষে ঠাই মেলে স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ারের তিস্তা নদীর তীরবর্তী জমিতে। সেখানেই টিনের চালা আর ভুট্টার ডালের বেড়ায় ছোট্ট একটি জরাজীর্ণ ঘরে দুটি ছাগল ও বৃদ্ধা শ্যামলি রানীর রাত কাটে। তাও হঠাৎই বিলিন হয়ে যেতে পারে সর্বনাশা তিস্তা নদী গর্ভে।  

ভূমিহীন বৃদ্ধা শ্যামলি রানী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের হরিমন্দির পাড়া এলাকার তিস্তা নদীর তীরে এভাবেই বসবাস করে আসছেন।সরজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সর্বনাশা তিস্তা নদীর একমদ তীরে টিনের চালা আর ভুট্টার ডালের বেড়ায় ছোট্ট জড়াজীর্ন ভাঙ্গাচোড়া ঘর। টিনের চালায় একাধিক ফুটো। বৃষ্টি হলে ভিজেই রাত পার করতে হয়। একটি মাত্র বিছানা, যেখানে শুয়ে আছে তার পালিত দুটো ছাগল। এদিকে যে কোন মুহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে শ্যামলী রানীর একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাই। স্বামী তো অনেক আগেই পরপারে। ছেলে থেকেও নেই। সে আর খোঁজ নেয় না তার বৃদ্ধা মায়ের। নিরুপায় হয়ে অনেক কষ্টে তিস্তা নদীর তীরে পড়ে আছে অসহায় বৃদ্ধা মা। কখন প্রতিবেশীরা দু-মুঠো খাবার দিবে সে আসায় বসে থাকেন তিনি। এমন কি কোন দিন অনাহারেও থাকতে হয় তার। বিধবা ভাতার টাকায় কেনা দুটি ছাগল ছাড়া আর কিছু নেই বললে চলে। এমনকি সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হলেও তার ভাগ্য জোটেনি কোন ঘর। শীত-বর্ষা কাটে তার ভাঙ্গা ওই জরাজীর্ণ ছোট্ট ঘরটিতে। শেষ বয়সে মাথাগোঁজার জন্য সরকারের কাছে একটি ঘর চান ভূমিহীন শ্যামলি রানী।  

এ সময় শ্যামলী রানীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এক সময় তার সব কিছুই ছিলো। জমি-জমা, স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছিলো জীবন। কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার পর সব কিছু বিলীন হয় তিস্তায়। এরপর ছেলেও চলে যান মাকে ফেলে। এসব কিছু নিয়ে আক্ষেপ করে কান্না জড়িত কন্ঠে বৃদ্ধা শ্যামলি রানী বলেন, বৃষ্টি আসিলে ঘরের ভিতর জল পরে। রাইতোত (রাতে) নিন (ঘুম) পারির পাংনা (পাইনা)। মাইনশের (মানুষের) টে খোঁজাখুঁজি করি কোন মোতন খেয়া বাঁচি আচুং (আছি)। আগোত তো কাজ করির পাচুং, এলা বয়সের কারনে কাজ করির পাংনা। ব্যাটা-বউ (ছেলে-বউ) কোন খবর নেয় না। দেলোয়ারের জমিত একনা ঘর করি আচুং (আছি)। তিস্তা নদী মোর ঘরের গোড়োত (কাছে) আইচে (এসেছে)। বান (বন্যা) আসিলে মোর ঘর কোনা বোধায় এবার ভাঙ্গি নিয়া যাইবে। সরকার সবাকে ঘর দেয় মোকে একটা ঘর না দেয়? সরকার যদি মোক একটা ঘর দেইল হয়। তাইলে বাকি জীবনটা একনা আরামে থাকনুং হয়।

এ বিষয়ে পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে তার একটা স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করার হবে। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, তিনি যদি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে থাকতে ইচ্ছুক হন। তাহলে আমরা একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।

এমএসএম / এমএসএম

তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে শীষ পরিবারের বিকল্প নেই

চন্দনাইশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উপেক্ষা করেই- চলছিল কেরানী হাটের সেই বানিজ্য মেলা

জয়পুরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে উঠান বৈঠক

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত