খানসামায় ছড়িয়ে পড়ছে গরুর সংক্রামক রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ'

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’। এ রোগ বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে।
প্রতিদিন ৫-৬ টা গরু উপজেলা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
গরুর এই সংক্রামক রোগে আতঙ্কিত খানসামা উপজেলার খামারি ও কৃষকরা। তারা বলছেন,এই রোগে প্রথমে গরুর গা গরম হয়ে যায়। তারপর শরীরজুড়ে ছোট ছোট মাংসপিণ্ডের মতো ফুলে ওঠে। কিছুদিন পর সেগুলো ফেটে রক্ত বের হয়। এ সময় গরু খাবার না খাওয়ায় রোগা হতে শুরু করে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
জয়নাল নামের এক খামারি বলেন , এই রোগ মহামারি আকারে ছড়াচ্ছে! ফলে গবাদিপশু দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কম বয়সি গরু বাছুর মারা যাচ্ছে । ইতিমধ্যে আমার একটি বাছুর মারা গেছে খেতে না পেরে। ফলে আর্থিক লোকসানের আশঙ্কা করছি।
এ ছাড়াও উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হাসান নামের এক খামারির দুইটি গরু ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এছাড়া উপজেলার বটতলা, ভুল্লির বাজার সহ কয়েক জায়গায় বেশ কয়েকটি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর বলছেন শুধুমাত্র এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব গরু মারা যায় নি এর পাশাপাশি আলাদা কোন রোগ হয়তো ছিল।
জানা যায়, সাধারণত মশা-মাছির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। ১৯২৯ সালে আফ্রিকার জাম্বিয়াতে প্রথম এই রোগ দেখা যায়। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সালে ওই মহাদেশে এই রোগ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে অনেক পশু মারা যায়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে এই রোগ প্রথম দেখা যায়। রোগটি বর্ষা এবং শরৎকালে বেশি দেখা যায়। আক্রান্ত পশু জ্বরে আক্রান্ত হয়, খাবার খেতে চায়না, আস্তে আস্তে গরুর শরীরে ব্যথা হয়ে ফোসকা ওঠে। পরবর্তীতে ওই জায়গায় ঘাঁয়ের সৃষ্টি করে।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক মো.মশিউর রহমান মুজাহিদ সকালের সময়কে বলেন, এ রোগে আক্রান্ত গরু সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। খুরা রোগের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রোগ এটি। সাধারণত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে মশা-মাছির বিস্তারের সময় ব্যাপক আকারে দেখা দেয় রোগটি। মশা-মাছি ও খাবারের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ভাইরাসজনিত এ রোগ ছড়ায়। তাই আক্রান্ত পশুকে আলাদা স্থানে রেখে চিকিৎসা দেবার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে সকালের সময়কে বলেন, এই রোগ খানসামা উপজেলায় আগে অনেক বেশি ছিল, এখন আর তেমন নাই। এটি সাধারণত বর্ষাকালে দেখা দেয়। দিনাজপুর জেলার অন্যান্য উপজেলায় থেকে খানসামা উপজেলায় এই রোগের প্রকপ কমই আছে। তবে এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ হলেও এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগ প্রতিরোধে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের গরুর মালিকদের সচেতন করতে উঠোন বৈঠকসহ রোগ নিরাময়ে পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো বাড়িতে কিংবা খামারে অসুস্থ গরু থাকে তাহলে সেটিকে অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। এবং মশারি টানিয়ে রাখতে হবে যাতে মশা বা মাছি তার শরীরে বসে অপর সুস্থ গরুর মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে।
এমএসএম / এমএসএম

লাকসাম পৌরসভার ১৯৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

মাগুরা পৌরসভার ২০২৫ - ২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা

নিরাপদ সড়কের দাবিতে চৌগাছায় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মানববন্ধন

নাচোলে বিনামূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ

কাপ্তাই ১০ আরই ব্যাটালিয়ন কতৃক সহায়তা প্রদান

পটুয়াখালীর বাউফলে কেটে কেটে আ.লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বাঁশখালীতে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণী উদ্বোধন

বাকেরগঞ্জ গৃহবধূ আসমার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবকে কুপিয়ে জখম

গোপালগঞ্জে পলিথিন বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

টাঙ্গাইলে অর্ধকোটি টাকার লুন্ঠিত ৭৫ ড্রাম তেল'সহ ২ ডা/কা'ত গ্রেফতার

দাউদকান্দিতে মাইথারকান্দি খালের আবর্জনা অপসারণ উদ্বোধন
