ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

খানসামায় ছড়িয়ে পড়ছে গরুর সংক্রামক রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ'


জসিম উদ্দিন, খানসামা photo জসিম উদ্দিন, খানসামা
প্রকাশিত: ১২-৭-২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’। এ রোগ বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে।
প্রতিদিন ৫-৬ টা গরু উপজেলা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
গরুর এই সংক্রামক রোগে আতঙ্কিত খানসামা উপজেলার খামারি ও কৃষকরা। তারা বলছেন,এই রোগে প্রথমে গরুর গা গরম হয়ে যায়। তারপর শরীরজুড়ে ছোট ছোট মাংসপিণ্ডের মতো ফুলে ওঠে। কিছুদিন পর সেগুলো ফেটে রক্ত বের হয়। এ সময় গরু খাবার না খাওয়ায় রোগা হতে শুরু করে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
জয়নাল নামের এক খামারি বলেন , এই রোগ মহামারি আকারে ছড়াচ্ছে! ফলে গবাদিপশু দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কম বয়সি গরু বাছুর মারা যাচ্ছে ।  ইতিমধ্যে আমার একটি বাছুর মারা গেছে খেতে না পেরে। ফলে আর্থিক লোকসানের আশঙ্কা করছি।

এ ছাড়াও উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হাসান নামের এক খামারির দুইটি গরু ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এছাড়া উপজেলার বটতলা, ভুল্লির বাজার সহ কয়েক জায়গায় বেশ কয়েকটি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর বলছেন শুধুমাত্র এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব গরু মারা যায় নি এর পাশাপাশি আলাদা কোন রোগ হয়তো ছিল।

জানা যায়, সাধারণত মশা-মাছির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। ১৯২৯ সালে আফ্রিকার জাম্বিয়াতে প্রথম এই রোগ দেখা যায়। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সালে ওই মহাদেশে এই রোগ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে অনেক পশু মারা যায়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে এই রোগ প্রথম দেখা যায়। রোগটি বর্ষা এবং শরৎকালে বেশি দেখা যায়। আক্রান্ত পশু জ্বরে আক্রান্ত হয়, খাবার খেতে চায়না, আস্তে আস্তে গরুর শরীরে ব্যথা হয়ে ফোসকা ওঠে। পরবর্তীতে ওই জায়গায় ঘাঁয়ের সৃষ্টি করে।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক মো.মশিউর রহমান মুজাহিদ সকালের সময়কে বলেন, এ রোগে আক্রান্ত গরু সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। খুরা রোগের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রোগ এটি। সাধারণত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে মশা-মাছির বিস্তারের সময় ব্যাপক আকারে দেখা দেয় রোগটি। মশা-মাছি ও খাবারের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ভাইরাসজনিত এ রোগ ছড়ায়। তাই আক্রান্ত পশুকে আলাদা স্থানে রেখে চিকিৎসা দেবার পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে সকালের সময়কে বলেন, এই রোগ খানসামা উপজেলায় আগে অনেক বেশি ছিল, এখন আর তেমন নাই। এটি সাধারণত বর্ষাকালে দেখা দেয়। দিনাজপুর জেলার অন্যান্য উপজেলায় থেকে খানসামা উপজেলায় এই রোগের প্রকপ কমই আছে। তবে এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ হলেও এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগ প্রতিরোধে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের গরুর মালিকদের সচেতন করতে উঠোন বৈঠকসহ রোগ নিরাময়ে পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো বাড়িতে কিংবা খামারে অসুস্থ গরু থাকে তাহলে সেটিকে অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। এবং মশারি টানিয়ে রাখতে হবে যাতে মশা বা মাছি তার শরীরে বসে অপর সুস্থ গরুর মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত