খানসামায় তেঁতো করলার বাম্পার ফলনের পর ভালো দামে করলা চাষিদের উচ্ছ্বাস

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের অধিকাংশ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই সারা বছর এসব ইউনিয়নে উৎপাদিত হয় বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি।
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই উপজেলায় করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজারে করলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হওয়ায় ভালো দাম পেয়ে খুশি প্রান্তিক চাষিরা।
অন্য বছরের মতো এ বছরও করলার চাহিদা ব্যাপক থাকায় দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা করলা কিনে ট্রাকভর্তি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন এই উপজেলার করলা। এতে অধিক লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা।
এবার বর্ষা মৌসুমে অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় নবাব, রানিপুকুর’ রংপুরিয়া ও আজাদ বন্ধন জাতের করলার ব্যাপক ফলন হয়েছে।
খানসামা উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার ৫০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হচ্ছে।
চাষিদের উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সকলের সময়কে জানিয়েছে।
ফলে তিতা স্বাদের করলা এই উপজেলার করলা চাষিদের মুখে মিষ্টি হাসি এনে দিয়েছে। এখনকার উৎপাদিত করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করায় অনেকটা লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করলার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে প্রান্তিক চাষি ও স্থানীয় পাইকাররাও লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় পাইকাররা প্রান্তিক কৃষকদের কাছে থেকে ১১০০ টাকা দরে করলা কিনে তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে করলা ব্যবসায়ীদের কাছে ১৩০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন। তাতে কৃষকরাও যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি স্থানীয় পাইকাররাও।
সরজমিনে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের আলোকডিহি চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় দেখা যায়,বেশ কয়েকজন কৃষক ও স্থানীয় পাইকারসহ হাট-বাজারে বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে করলা সংগ্রহ করছেন। এরপর সেগুলো ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ক্ষেত থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। চলতি মৌসুমে করলার বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও চলতি মৌসুমে উপজেলার আঙ্গারপাড়া, আলোকডিহি, ডাঙ্গাপাড়া, বালাডাঙ্গী, পূর্ব ডাঙ্গাপাড়া, হোসেনপুর, খামারপাড়া, নেউলা, তেবাড়িয়া, গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি গ্রামে এলাকাজুড়ে করলার চাষাবাদ দেখা যায়।
এখানকার উৎপাদিত করলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার পাকেরহাট, বটতলী বাজার, পাঁচপীর বাজার, বুড়িরবাজার, তেবাড়িয়া, বাহাদুরবাজার, মরিয়মবাজারে প্রতিদিন বিশাল পাইকারি বাজার বসে। বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী করলা ক্রয় করে রাজধানীসহ আশেপাশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যান। আবার স্থানীয় অনেকেই মজুরি হিসেবে কাজ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
আলোকডিহি চেয়ারম্যান পাড়া এলাকার কৃষক সহির আলী সকালের সময়কে বলেন, প্রায় লাখ খানেক টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছেন। ওই তিন বিঘা জমি থেকে এ পর্যন্ত লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন তিনি। দাম ভালো থাকলে আরও প্রায় লাখ দেড়েক টাকার করলা বিক্রি করা যাবে বলে জানান।
মাজেদুল নামে এক কৃষি উদ্যোক্তা যুবক সকালের সময় প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, করলা চাষাবাদের জন্য জমি তৈরি, হাল চাষ, বীজ বপন, সার, কিটনাশক ও মাঁচা তৈরি এবং শ্রমিকদের পারিশ্রমিকসহ এক বিঘা জমিতে কৃষকের খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। ফলন ও বাজারদর আশানুরূপ হলে ওই জমি থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার করলা বিক্রি করা যায় অনায়াসে।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
Link Copied