ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফুটপাত দখলকরে রমরমা চাঁদা বানিজ্য


যোবায়ের আহমেদ photo যোবায়ের আহমেদ
প্রকাশিত: ২৯-৮-২০২৩ দুপুর ৩:৫৩
রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প চলমান থাকাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ পার্শ রাস্তা ও সেক্টরের রাস্তাগুলোতে প্রায় সময় যানজট লেগেই থাকে। এই জ্যাম নিরাসনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তরার ফুটপাতে থাকা দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেয়া হলেও ১২ নং সেক্টর খালপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর দোকান বসিয়ে যানজট সৃষ্টি করে একটি মহল রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ফুটপাত চাঁদাবাজি । 
 
গাজীপুর ও উত্তরার সকল পয়েন্ট থেকে আসা উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ মেট্রোরেলের এই তিন স্টেশনে এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে যাওয়া আসার মূল রাস্তাটি হচ্ছে সোনারগাঁও জনপত্র রোড। আর এই রোডের পশ্চিম মাথা তথা খালপার এলাকায়  রাস্তার বৃহৎ এক অংশ দখল করে বসানো হয়েছে বিশাল এক বাজার। যে বাজারে রয়েছে কয়েকশত দোকান। এভাবে রাস্তা দখল করে দোকান বসানোর কারণে  সার্বক্ষণিক যানজট লেগেই থাকে রাস্তাটিতে। আর এতেই প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের বাস ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের।
 
শুধু তাই নয় এই দোকানগুলো থেকে আকার বুঝে প্রতিদিন নেওয়া হয় ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা। যা থেকে প্রতি মাসে আসে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। আর এই পুরো টাকাই আসে লাইনম্যান মিরাজের হাতে। কোন দাকানদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে বা তাদের সময় মত টাকা না দিতে পারলে তাদের কাছ থেকে জুলুম নির্যাতন করে টাকা তোলার জন্য রয়েছে আলাদা বাহিনী। এই বাজার টিকিয়ে রাখার জন্য রাজনৈতিক মহল, সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে লাইনম্যান মিরাজের রয়েছে সখ্যতা এবং এই চাঁদার টাকায় পালিত হয় কিশোর গ্যাংয়ের বড় একটি দল। খালপার ব্রিজ এলাকায় এই বাজারের জন্য যানজট সৃষ্টি হওয়ায় মাদক কারবারিদের মাদকদ্রব্য বেচাকিনার বড় পয়েন্টও এখন এই বাজারটি। 
 
দৈনিক সকালের সময়ের অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, এই লাইনম্যান, পুটপাত চাঁদাবাজ মিরাজ প্রায় সকল মহলকে ম্যানেজ করেই প্রশাসনের নাকের ডগায়, এই বাজারটি পরিচালনা করছে।
 
এই রোডের যাতায়াতকারী মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, এই রাস্তাটির ৩ দিকেই ২ লেনের সড়ক আছে। আগে কখনই এখানে যানজট সৃষ্টি হতো না। এই বাজারটি বসার পর থেকেই প্রতিদিন যাওয়া আসার পথে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আমার মনে প্রশ্ন এখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অফিস, সেক্টর কল্যাণ সমিতির অফিস এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্সে রয়েছে। পুলিশদের গাড়িও মাঝে মধ্যে এখানে দেখতে পাই। তার পরও কিভাবে বাজারটি এখানে থাকে তা আমার বুঝা আসেনা? 
 
এ বিষয়ে  জানতে লাইনম্যান মিরাজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও সে ফোন রিসিভ করেন না। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে মিরাজ জানায়, সে এই বাজারের টাকা উঠায় না। মোস্তফা নামের একজন এই বাজারের টাকা-পয়সার লেনদেন করে জানিয়ে কল কেটে দেয়। 
 
এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশন মো. আসাদুজ্জামান (পিপিএম) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, আমরা কয়েকদিন আগে ওইখানে (খালপাড় ফুটপাত) অভিযান চালিয়ে এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করেছি। এরপর আবার ওরা দোকান বসিয়েছে। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। আমরা আবারো এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাবো।

এমএসএম / এমএসএম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক

আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ

যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা

মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউকের জরুরি তৎপরতা