ফুটপাত দখলকরে রমরমা চাঁদা বানিজ্য

রাজধানীর উত্তরায় র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প চলমান থাকাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ পার্শ রাস্তা ও সেক্টরের রাস্তাগুলোতে প্রায় সময় যানজট লেগেই থাকে। এই জ্যাম নিরাসনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তরার ফুটপাতে থাকা দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেয়া হলেও ১২ নং সেক্টর খালপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর দোকান বসিয়ে যানজট সৃষ্টি করে একটি মহল রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ফুটপাত চাঁদাবাজি ।
গাজীপুর ও উত্তরার সকল পয়েন্ট থেকে আসা উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ মেট্রোরেলের এই তিন স্টেশনে এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে যাওয়া আসার মূল রাস্তাটি হচ্ছে সোনারগাঁও জনপত্র রোড। আর এই রোডের পশ্চিম মাথা তথা খালপার এলাকায় রাস্তার বৃহৎ এক অংশ দখল করে বসানো হয়েছে বিশাল এক বাজার। যে বাজারে রয়েছে কয়েকশত দোকান। এভাবে রাস্তা দখল করে দোকান বসানোর কারণে সার্বক্ষণিক যানজট লেগেই থাকে রাস্তাটিতে। আর এতেই প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের বাস ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের।
শুধু তাই নয় এই দোকানগুলো থেকে আকার বুঝে প্রতিদিন নেওয়া হয় ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা। যা থেকে প্রতি মাসে আসে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। আর এই পুরো টাকাই আসে লাইনম্যান মিরাজের হাতে। কোন দাকানদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে বা তাদের সময় মত টাকা না দিতে পারলে তাদের কাছ থেকে জুলুম নির্যাতন করে টাকা তোলার জন্য রয়েছে আলাদা বাহিনী। এই বাজার টিকিয়ে রাখার জন্য রাজনৈতিক মহল, সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে লাইনম্যান মিরাজের রয়েছে সখ্যতা এবং এই চাঁদার টাকায় পালিত হয় কিশোর গ্যাংয়ের বড় একটি দল। খালপার ব্রিজ এলাকায় এই বাজারের জন্য যানজট সৃষ্টি হওয়ায় মাদক কারবারিদের মাদকদ্রব্য বেচাকিনার বড় পয়েন্টও এখন এই বাজারটি।
দৈনিক সকালের সময়ের অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, এই লাইনম্যান, পুটপাত চাঁদাবাজ মিরাজ প্রায় সকল মহলকে ম্যানেজ করেই প্রশাসনের নাকের ডগায়, এই বাজারটি পরিচালনা করছে।
এই রোডের যাতায়াতকারী মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, এই রাস্তাটির ৩ দিকেই ২ লেনের সড়ক আছে। আগে কখনই এখানে যানজট সৃষ্টি হতো না। এই বাজারটি বসার পর থেকেই প্রতিদিন যাওয়া আসার পথে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আমার মনে প্রশ্ন এখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অফিস, সেক্টর কল্যাণ সমিতির অফিস এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্সে রয়েছে। পুলিশদের গাড়িও মাঝে মধ্যে এখানে দেখতে পাই। তার পরও কিভাবে বাজারটি এখানে থাকে তা আমার বুঝা আসেনা?
এ বিষয়ে জানতে লাইনম্যান মিরাজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও সে ফোন রিসিভ করেন না। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে মিরাজ জানায়, সে এই বাজারের টাকা উঠায় না। মোস্তফা নামের একজন এই বাজারের টাকা-পয়সার লেনদেন করে জানিয়ে কল কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশন মো. আসাদুজ্জামান (পিপিএম) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, আমরা কয়েকদিন আগে ওইখানে (খালপাড় ফুটপাত) অভিযান চালিয়ে এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করেছি। এরপর আবার ওরা দোকান বসিয়েছে। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। আমরা আবারো এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাবো।
এমএসএম / এমএসএম

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে

ছাত্রলীগের হামলায় ব্যবসায়ী বাবুল গুরুতর আহত, থানায় মামলা

তেজগাঁও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল, নৈরাজ্যের প্রতিবাদ

সরকার কর্তৃক মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের বিতর্ক বরদাশত করা হবে না

ঢাকা-১৮ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন'র গণসংযোগ পথসভা অনুষ্ঠিত

চাঁদা না দেওয়ায় ভাঙচুর ভাইরাল মিজানের হোটেলে

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

তেজগাঁওয়ে ডিম ও কলা ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ছেলের জন্মদিনে বাবা কাজী জাকির হোসেনের আবেগঘন শুভেচ্ছা

বিএনপি আন্দোলনের পাশাপাশি জনকল্যাণেও অঙ্গীকারবদ্ধ: বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন

গেন্ডারিয়া থানার বিএনপি'র আহবায়ক কমিটির নবগঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় পল্লবী থানা ছাত্রদল আহবায়ককে কুপিয়ে জখম

জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক
Link Copied