বাঁচতে চায় টিউমার ক্যান্সারে আক্রান্ত মির্জাগঞ্জের জেসমিন
টাকার অভাবে থেমে গেছে টিউমার ক্যন্সারে আক্রান্ত জেসমিনের (২৫) চিকিৎসা। ধুঁকে ধুঁকে মরছে প্রতিনিয়ত। জেসমিন উপজেলার ৫নং কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মো. আ. মজিদ খানের ছোট মেয়ে।
জানা গেছে, ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের খোকন বিশ্বাসের সাথে প্রায় ২০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় জেসমিনের। তাদের সংসারে দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। দুই বছর ধরে টিউমার ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী ক্লিনিক, পটুয়াখালী ক্লিনিক (প্রা.) লি., ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, রাফা মেডিকেলসহ শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাস্পাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। তার স্বামী রাজ জোগালি হিসেবে কাজ করলেও লকডাউনে তা বন্ধ হয়ে যায়। ব্যয়বহুল চিকিৎসা টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে এখন মৃত্যুপথের যাত্রী তিনি।
জেসমিনের মা কুলসুম বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি এট্টু মাইয়াডারে টাহা দিয়া সাহায্য করতে, হইলে ওষুধ কিন্না খাওয়াইতে পারতাম। মোর নাতি দুইডা এতিম অইতে না। চিকিৎসা ছাড়া মোর মাইয়াডা কি মইরা যাইবে? মাইয়াডারে সাহায্য কইররা নাতি দুইটা বাঁচান, মোরা কৃতজ্ঞ থাকমু।‘ জেসমিনের চিকিৎসার সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের মানুষের প্রতি আকুল আবেদন জানান তিনি।
এমএসএম / জামান