মুন্সিগঞ্জের এভিজেএম স্কুল: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্তরালে
মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের বুকে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভঃ গালস হাই স্কুল ‘র ( এভিজেএম) ভুগোল শিক্ষক মো. ইবরাহিম কবীরের বদলির আদেশ বাতিল চেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারন হিসেবে বেরিয়ে আসছে এর নেপথ্যের কারন। একে একে বের হচ্ছে থলের বিড়াল।
একই স্কুলে দীর্ঘ ১৮ বছর শিক্ষকতা করার পর সম্প্রতি ইবরাহিম স্যার কে ফেনিতে বদলি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সরকারি নিয়ম মাফিক একই স্কুলে ৩ বছরের অধিক থাকার কোন সুযোগ নেই।
গত কয়েক দিনের অনুসন্ধানে জানা যায় ,ভুগোলের শিক্ষক মো. ইবরাহিম টানা কয়েক বছর স্কুলে শিক্ষকতা করে গড়ে তোলেছেন নানা সিন্ডিকেট। বিভিন্ন পন্থায় কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। করোনার আগে কোচিং বানিজ্যে চালিয়েছেন দেদারছে।
প্রধান শিক্ষকের সাথে তার অশোভন আচরন , টিফিনের টাকা না দিয়ে টিফিন খাওয়ানে , স্বেচ্ছায় স্কুলে আসা – যাওয়া , স্কুল মাঠে গরু জবাই করে মাংস ভাগাভাগি , করোনা কালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস না নেওয়া ,স্কুলে বিভিন্ন কাজে বাধা প্রদান , অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উপর মহলে অভিযোগ , নারী সহকর্মী (আমেনা) হয়রানি সহ আরো একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক এই ইবরাহিম।
বদলির আদেশ বাতিলের জন্য এবং নিজের কর্মস্থল ধরে রাখতে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কিছু শিক্ষকদের যোগসাজশে তৈরি করেন নাটক। যার ফলোশ্রæতিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে বিক্ষোভ করে। যা আন্দোনে রুপ নেয়।
সেদিনের সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীর কিছু কথোপকথনের অডিও ক্লিপ এই নিউজ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তাতে জানা যায়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীর বক্তব্য, “ কিরে আন্দোলনে নাকি গিয়েছিলি? উত্তরে---হুম গিয়েছিলাম।ওখানে গিয়ে কি করলি? এই তো করলাম , স্যার ম্যাডামরা মিলে এটা করলো । রানা স্যার , গফুর স্যার মিলে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ইবরাহিম স্যারের বদলি বাতিলের আন্দোলন করলো। আমি এখন স্কুলে যাইনা রে।
আরেক অডিও ক্লিপে শোনা যায় , “কিরে ফেসবুকে তোদের ছবি দেখলাম ? উত্তরে ---আরে বলিস না। ১০ শ্রেণীর আপুরা বলতাছে আন্দোলন করবো আজকে ( ২৪ সেপ্টেম্বর)। আবার গফুর স্যারের কাছে পড়ে ওরাও বলতাছে আন্দোলন করবো। আন্দোলনটা গফুর স্যার , রানা স্যার ,ইবরাহিম স্যার ওনারা ইচ্ছা করেই করাইছে। তাছাড়া ওখানাদের কোচিংয়ে মনোরঞ্জন স্যার কে নিয়ে অনেক কথা বলছে।
এখানেই শেষ নয় , নাটের গুরু এই ইবরাহিম মুন্সিগঞ্জে বসে আন্দোলনের সকল চিত্র উপভোগ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কে পরিকল্পিতভাবে কোচিং বানিজ্য আন্দোলনে রুপ দেন।
বলা হয় যে , কোচিং বানিজ্যের বিরোধিতা করায় ইবরাহিম কে বদলি করা হয়েছে। অথচ , খোজ নিয়ে জানা যায় ,তার গ্রুপের শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি কোচিংয়ের সাথে জড়িত। সে নিজেও করোনার আগে কোচিং বানিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এখানে পুরো ঘটনাটি অনেকটা শুভঙ্করের ফাঁকির মতই। নিজেই নিজেই বদলির আদেশ বাতিলের দাবি ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষকদের বিরদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আনেন ইবরাহিম। তার গ্রুপের অনেক শিক্ষকের মিথ্যে অভিযোগে কতিপয় শিক্ষক এখন বেকায়দায়।
সঠিক ও সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হোক এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
এমএসএম / এমএসএম
চুপ্পু থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয় এরচেয়ে ভালো পানিতে ডুবে মরা: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সিইউএফএল সার কারখানায় উৎপাদন শুরুর ১২ ঘন্টা পর ফের বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় অনেক বাড়ি বিক্রি হয়েছে কেউ দিয়েছেন ভাড়ায়
জুড়ীতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
ধোপাছড়িতে ইউএনও'র প্রচেষ্টায় মেরামত হচ্ছে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি
কুতুবদিয়ায় বনভূমি বিলীন ও বেদখলে, লবণ মাঠে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মান্দায় ভূয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ
পাবনায় প্রিপেইড মিটার সরবরাহ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত
বাউফলে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী; থানায় অভিযোগ
তুলশীখালী ও মরিচা সেতুর ইজারা বন্ধে ডিসিকে চিঠি দিয়েছে নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি
বড়লেখায় র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার পলাতক আসামী সুনাম গ্রেফতার
জামালপুরে বিদায়ী ওসি আবু ফয়সল মোঃ আতিককে সংবর্ধনা
ভূমিদস্যু গুলজারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
Link Copied