সমৃদ্ধি অর্জনে আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীতা

মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর আর উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ যা এক অনন্য অনবদ্য ইতিহাস ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলার অবিসাংবাদিত অবিভাজ্য নেতা জাতির জনক মহান বঙ্গবন্ধু সনদে সোঁনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের রক্তিম সালাম। বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ ও অসম্প্রদায়িক চেতনায় নিরপেক্ষতার কোন সুযোগ নেই, বির্তকের কোন সুযোগ নেই, আপোষকামিতার কোন সুযোগ নেই বা অযুহাতের কোন সুযোগ নেই। এই দর্শনে যার যার অবস্থান থেকে সহমত পোষণ করেই সোনার বাংলা গড়তে হবে। আমরা বিশ্বাস করি সোনার বাংলা গড়তে হলে লড়তে হবে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে। আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর মানবিক রাজনীতিতে আলোকিত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম সমস্যা ব্রিটিশ অনুশাসনের ১৮৬১ সালে আইনে পরিচালিত হচ্ছে বিতর্কীত পুলিশ বাহিনী। পৃথিবীর সেবার মানে পুলিশ বাহিনী ৭ম অবস্থানে আছে আর বিশে^ আমাদের দেশে পুলিশ বাহিনীর অবস্থান ১৫৪ তম যা সত্যিই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। প্রিয় জীবন, প্রিয় পরিবার, প্রিয় দেশের সর্বোচ্চ সার্থে সময় উপযোগী ভবিষ্যৎ মহা পরিকল্পনায় পরিকল্পিত সম্মানজনক সুযোগ সুবিধা আর কঠোর জবাবদিহিতায় একটি স্বাধীন আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষে এই প্রথম কোন আন্দোলনের ডাক। গবেষনার সূত্র ছিল বাঙ্গালী স্বাধীনতার বরপুত্র বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একটি আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সূত্রেই ২০০৭ সাল থেকে চলমান এই গবেষনা এবং আন্দোলন কিছুটা হলেও আজ সফল।
মহান আল্লাহ্র কাছে লাখোকোটি শুকরিয়া আমাদের দেশ একটি রহমত পূর্ণদেশ। এত সম্পদ আর অপার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর সুদীর্ঘ পথ পার হয়ে এসেও অনেক সরকারের পালা-বদল হলেও আজও বঙ্গবন্ধুর সোঁনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি, কিন্তু কেন? কি জন্য? কাদের কারনে? সে এক সুদীর্ঘ প্রশ্নের অধ্যায়। বিতর্কে যেতে চাই না, এখন কাজ শুরু করতে হবে। আজ যেখানে জাতির জনক গ্রেট বঙ্গবন্ধু আর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা এখনো অসম্মানিত, অবহেলিত, বিভক্ত, আমরা এখনও ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক, নির্বাচন নিয়ে হানাহানী, প্রতিহিংসার রাজনীতি, দেশকে বিভিন্ন কলাকৌশলে হাইজ্যাক করছি তাহলে স্থায়ী সমাধানে সমৃদ্ধি উন্নয়ন নিয়ে কবে যুদ্ধ শুরু করব? গ্রেট বঙ্গবন্ধু সনদে সোঁনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে কয়টি বিষয় অতি গুরুত্বপুর্ণ তার মধ্যে অন্যতম প্রধান স্বাধীন আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা। পবিত্র পুলিশ বাহিনী যদি অপরাধ এবং দুর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়ে পুরোদেশ অপরাধে ছয়লাভ হয়ে যাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। একমাত্র পুলিশ বাহিনী রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা বিরতিহীন দায়িত্ব পালন করে। সময়ের প্রয়োজনেই ভবিষ্যৎ মহা পরিকল্পনায় সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষেই সম্মানজনক সুযোগ সুবিধা আর কঠোর জবাব দিহিতাই স্বাধীন আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। তেমনি পাশাপাশি চাই বিশ^স্ত স্বাধীন আধুনিক বিচার বিভাগ। যা স্থায়ী সমৃদ্ধি গঠনে একটি দেশ গঠনে বিশেষ অবদান রাখবে।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশের পবিত্র সশস্ত্র বাহিনী অলংকার, অহংকার। শেষ শক্তি হিসেবে কাজ করে। তেমনি পৃথিবীর সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর সার্বিক উন্নয়ণের পিছে অন্যতম প্রধান সহযোগী শক্তি ছিল এবং আছে আধুনিক পবিত্র পুলিশ বাহিনী। যা একটি দেশের অভন্তরিণ প্রথম বিরতিহীন সার্বিক সেবা বিভাগ। বাংলাদেশকে স্থায়ী সমৃদ্ধি অবস্থানে যেতে হলে অবশ্যই অন্যতম প্রধান পূর্বশর্ত আধুনিক স্মার্ট পুলিশ উন্নয়ন। পবিত্র আদালতের প্রথম পার্ট পবিত্র পুলিশ বিভাগ। আমি বিশ্বাস করি “একমাত্র পুলিশ বাহিনী অনেক প্রতিকুলতা, সীমাবদ্ধতা, বৈষ্যম্য আর অপবাদ, অবজ্ঞা, ঘৃণা, ধিক্কার, লাঞ্চনা-গঞ্চনা ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও বিরতিহীন নিরাপত্তায় ২৪ ঘন্টা শান্তির প্রহরী, সেবক, বন্ধু হিসেবে দায়িত্ব পালনে জীবনবাজি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে” এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ। আধুনিক পুলিশ আন্দোলনের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধায় প্রানঢালা অভিনন্দন ও চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার উক্তিটির সাথে একমত পোষন করায়। তেমনি চৌকশ জ্ঞানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুলিশ অফিসার ডঃ বেনজীর আহমেদ (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক) -কে ধন্যবাদ তিনিও সাধুবাদ জানিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছেন “পুলিশকেই মানুষের প্রথম ভরসার স্থল হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি এও বলেছেন পুলিশকে দূর্ণীতি মুক্ত থাকতে হবেই। যারা অবৈধ পথে বড় লোক হতে চান তাদের স্থান পুলিশে নয়। তিনি আরও বলেন আমরা এসেছি অনেক দূর- যেতে হবে বহু দূর। একদিন সেবার মানে পুলিশ বিভাগ অবশ্যই গর্বের বিষয় হবেই। দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা প্রশ্নে এক বিন্দুও ছাড় নয়। আমাদের বিশ্বাস পুলিশ বিভাগ সেটা পারবেই”। দু-বারের সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল কে এই আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরণে সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ক্লিন ইমেজ ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। এ বিভাগে ইমেজ ধরে রাখা সত্যিই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের।
পৃথিবীর সেবার মানে পুলিশের স্থান ৭ম এই পুলিশ বাহিনীর সুযোগ-সুবিধা জানা যায় ভারতে প্রতি ১৫০ জনে, পাকিস্তানে ১৮১ জনে, নেপালে ১৯০ জনে, মিয়ানমারে ১৭০ জনে, ভুটানে ১৪৬ জনে, মালয়েশিয়া ৩২০ জনে, থাইল্যান্ডে ২৬০ জনে, জাপানে ২৫০ জনে, যুক্তরাষ্ট্রে ২৮৪ জনে নাগরিকের বিপরীতে একজন পুলিশ এবং বেতন তিনগুণেরও বেশি। অন্য দিকে আমাদের দেশে প্রায় ১ হাজার ৪ শত জন নাগরিক সহ ২৪ ঘন্টা বিরতিহীন সব ধরনের নিরাপত্তাই গড়ে মাত্র ১ জন পুলিশ এবং বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা হতাশাজনক। তারপরও পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ এবং প্রশংসার দাবিদার প্রায় ২০কোটি জনবহুল ক্ষুদ্র দেশের আভ্যন্তরিন সার্বিক বিরতীহীন নিরাপত্তার জন্য, ভাবাই যায়না! তবে এভাবে বেশী দিন সম্ভব নই। একজন সৈনিক কখনই একজন সাধারণ চাকুরীর সাথে তুলনা করা যায় না। কারণ তারা চাকুরীতে নিয়োগ পাওয়ার সময় পবিত্র শপথ করে এই পেশায় আত্মনিয়োগ করে। ২০০৯ সালে দেশে প্রায় ৮৪ হাজার পুলিশ সদস্য ছিলো যা বর্তমান সরকার বৃদ্ধি করে প্রায় তিনগুণ। এক নজরে বর্তমান পুলিশ বাহিনীতে আইজিপি পদ মর্যাদায় (গ্রেড-১) এ রয়েছেন ৪ জন। অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) এ রয়েছেন ২২ জন। ডিআইজি-৬৩ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি-১০৪ জন, সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসপি) ১২০০ জন , অতিরিক্ত এসপি ৯৪১ জন, সিনিয়র এএসপি ১৭০০ জন (প্রায়), এএসপি ২২০০ জন (প্রায়), ইনস্পেক্টর ৬০০০ জন (প্রায়), সাব-ইনস্পেক্টর ১৮০০০ জন (প্রায়), সার্জেন্ট ২৫০০ জন (প্রায়), সহকারী সাব ইনস্পেক্টর (এএসআই) ৩০,০০০ জন (প্রায়), নায়েক ৮৫০০ জন (প্রায়) ও কসস্টেবল ও অন্যান্য কর্মচারী সহ রয়েছেন ১,৪১,৪৯০ জন (প্রায়)। তথ্য সূত্রটি সংগ্রহিত ২০২২ ইং মতে। বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর সকল ধরণের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২ লক্ষ ১২ হাজার ৭২৪ জন।
আমরা বিশ্বাস করি। সেরা হতে প্রথম হওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নৈতিকতা, শৃঙ্খলা। একদিনের বীরোচিত বেঁচে থাকায় যে অমরত্ব সম্মান আছে, পবিত্র আইনের পোষাক পরে সোঁনার খাঁচায় বন্দি হয়ে শতবছর বেঁচে থাকায় আমিত্বের কিছুই নেই, আছে সাময়িক চোরাবালির সুখ। শতবছর বেঁচে থাকতে ১০০ বছর আয়ু দরকার হয় না, এমন কিছু বীরোচিত কর্ম শতবছর বাঁচিয়ে রাখবে। তেমনি একটি পবিত্র পেশা “পুলিশ পেশা”। সুদীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ বিভাগে আছে বিবিধ সমস্যা ও বৈষম্য এবং তৈরী হচ্ছে। এখান থেকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে। অনেক ভালকাজ করেও এই পবিত্র বিভাগটি আজ পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিতর্কিত, দুর্নীতিগ্রস্থ, ঘৃনীত এবং শ্রদ্ধাহীন হয়ে পড়ছে। পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মাত্র গত ১৩ বছরে প্রায় ৯৫ হাজার নানান অপরাধের অভিযোগ উঠেছে সূত্র সংগ্রহিত। ক্রমশ তা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু কেনো ? কি জন্য ? কাদের কারনে ? আমি ১০০% চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি যদি এমন অবস্থার গঠনমূলক পরিবর্তন না হয়, সুন্দর বাংলাদেশ গড়া কঠিন থেকে কঠিন হয়ে পড়বে। গ্রেট বঙ্গবন্ধুর অমর বাণী সার্বিক উন্নয়নে পূর্বশত প্রিয় জীবন, প্রিয় পরিবারের মতোই দেশকে ভালবাসতে হবে। পবিত্র শপথ পবিত্র পোশাক পবিত্র কলম যেন অপবিত্র না হয় যা আমার স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের পূর্বশর্ত। দেশ প্রেম, মেধা, পতিভা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, সাহস আর সততার হবে যথার্থ মূলায়ন তেমনি বেইমান মানাফিক দূনীতিবাজ বিশ^াসঘাতকরা যতোই যোগ্যতম হোক না কেন তারা কোন অবস্থায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে না। সেবায় মানবতার শ্রেষ্ট কর্ম এবং ধর্ম। তিনি আরো বলেছেন, এ দেশ জনগণের অর্থে চলে। তাই জনগণের সর্Ÿোচ্চ কল্যানেই আধুনিক পুলিশ বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। বিলাশ বহুল সুযোগ সুবিধায় নয়, দেশপ্রেমিক চেতনায় সকল প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক পুলিশ বাহিনীই পারে আভ্যন্তরিন সকল অপরাধ অপশক্তি মোকাবেলা করে আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তা শান্তি রক্ষার মাধ্যমে টেকসই স্থায়ী সমৃদ্ধি অর্জনে এগিয়ে নিতে।
পুলিশের দুঃখ কষ্ট অনেক দিনের। অব্যহত বৈষম্য, চরম অবহেলা, অপমান অবজ্ঞা, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকুলতা, মানষিক নিপীড়ন, নৈতিক অবক্ষয় সর্বপরি একজন নাগরিকের সুনিশ্চিত মৌলিক অধিকার অন্য বিভাগে থাকলেও সেটাও পুলিশের ক্ষেত্রে অদৃশ্য শৃংখলে আটকে আছে, যা মোটেই কাম্য নই। বিশেষ করে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত প্রায় অভিন্ন এক বন্ধুর যাত্রা। যাদের উপর পুলিশের সফলতা নির্ভরশীল। পুলিশ বিভাগ অন্যান্য দেশে অত্যান্ত সম্মানজনক ও শ্রদ্ধাশীল পেশা, আমাদের দেশে ধারা উল্টো। শিক্ষিত পুলিশ বৃদ্ধি পেলেও পেশাটি জনপ্রিয়তা খুবই ধীর, সেভাবে সৎ, দায়িত্বশীল, চৌকশ পুলিশ তৈরী হচ্ছে না। জনগণের আভ্যন্তরিন সার্বিক কল্যাণে পুলিশ বাহিনী একই সূত্রে গাঁথা একটি বিরতীহীন উৎস্বর্গের পবিত্র পেশা। দেশকে চুরি করছে গুটি কয়েক চক্র, দোষ হয় প্রথমত পুলিশের। এমন অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানের এত পরিমাণে এক বছরে অপচয় এবং দূর্নীতি হয় তা পুলিশ বিভাগে পাঁচ বছরেও সম্ভব নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ আছে আকাশের যত তারা পুলিশের তত ধারা, পুলিশ নাকি লাইসেন্সধারী মস্তান, তারপরও শোনা যায় পুলিশ সরকার চালায়, সরকারের আঙ্গাবহ লাঠিয়াল বাহিনী, প্রভাবশালীদের ক্যাডার, যেন বেতনই মুখ্য বিষয় এমন অনেক অপবাদ। আমি বিশ^াস করি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের পুলিশ যদি পাই স্বাধীনতা, যে কোন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ছিনিয়ে আনতে পারে বিজয়ের পতাকা। উক্তিটি একেবারেই সত্যি। অবদানের আছে অনেক উদাহরণ- মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে, ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু খুনী জিয়া মুস্তাক গংদের প্রথম পুলিশই প্রতিরোধ করেছিলো, জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, অপরাধ সিন্ডিকেট, মাদক দমন, সামাজিক অপরাধ সমূহ এমন সব। এই বিভাগটি জন্মলগ্ন থেকে অদ্যবদি অনেক প্রতিকূলতা অবজ্ঞা, অবহেলা, অপমান বিতর্কিত সমস্যায় জর্জারিত আছে। এই দূর্বলতার সুযোগে অল্প কিছু দূনীতি পরায়ন পুলিশের জন্য পুরো বিভাগটি বিতর্কিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এমন একটি পুলিশ বাহিনী এবং বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। যেখানে বিশ্বের ২৩৩ টি দেশের মধ্যে আমাদের বর্তমান অবস্থান ১৫৪ তম থেকে অন্তত ২০তম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লহ।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন রাজনীতিবিদ উন্নয়নে গণতন্ত্রের মানস কন্যা আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার,স্বপ্নবাজ জীবন বাজি রাখা নেতৃত্বের কান্ডারী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “আধুনিক পুলিশ বাহিনী” বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন। অনেক অভিযোগ, অপবাদ, অপমান, অবজ্ঞা, বৈষম্য, বিতর্ক, প্রতিকুলতা, সীমাবদ্ধতার মধ্যে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘন্টা বিরতিহীন রাজধানী থেকে তৃণমূল এবং রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে চলেছে। গ্রেট বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পুরণে জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক পুলিশ বিভাগ গড়ে তুলতে বিবিধ বৈষম্য দূরীকরণ, বেতন, পদর্মযাদা, লোকবল বৃদ্ধি, থানা বৃদ্ধি, পুলিশ ইউনিট বৃদ্ধি, পুলিশ ব্যাংক অনুমোদন, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, আইসিক্যাম্প বৃদ্ধি ও সংস্কার, পেনশনে রেশন চালু, যানবহন ও আধুনিক অস্ত্র সহ নতুন আইন কঠামো জবাবদিহিতা সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এজন্য আধুনিক পুলিশ আন্দোলনের পক্ষে গভীর শ্রদ্ধায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। আধুনিক পুলিশ গড়তে এটিই স্বাধীনতার পর প্রথম পদক্ষেপ এবং শুভ সূচনা। এই ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। দারিদ্রতা, বিলাশীতা, লোভ এসবই সকল দূর্ণীতি এবং অপরাধের জন্ম দেয়। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে হলে লড়তে হবে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই, এর বিকল্প নেই।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরণে স্বাধীন আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বিভাগ গড়ে তুলতে অতি সংক্ষেপে কিছু দাবি তুলে ধরছি ঃ-
১) ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই ১৬০ বছরের এই পুরোনো আইন দিয়েই কখনো একটি আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বাহিনী এবং বিভাগ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই ভবিষ্যৎ মহা পরিকল্পনা সামনে রেখে সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যপক গবেষনার মধ্যে দিয়ে একটি আন্তজার্তক মানের আধুনিক স্মার্ট পুলিশ আইন প্রনয়ন এবং বিভাগ গড়ে তোলা। উদাহরণসরূপ বিশ্বের সফল দেশের পুলিশ বিভাগের আইন ও কৌশল অনুস্মরণ করা যেতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি সর্Ÿোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞা সরূপ আজীবন সাংবিধানিকভাবে বংশ পরাক্রমা সর্Ÿোচ্চ নিরাপত্তায় সোয়াব বা এস.এস.এফ ইউনিট দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সুদীর্ঘ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশাল এই পুলিশ বাহিনীর জন্য আজও নিজেস্ব স্থানে এখনো ফিউচার প্লানে পুলিশ প্রধান কার্যালয় গড়ে ওঠেনি। অবশ্যই অতিদ্রুততম সময়ে অন্তত ৩০একর জমির উপর ভবিষৎ মহাপরিকল্পনায় সর্বাধুনিক প্রয্ুিক্ততে আবাসন সুবিধা, প্রধান কার্যালয় সহ ইউনিটের প্রধান কার্যালয়গুলো গড়ে তোলা। নিয়োমিত প্রজাতন্ত্রের জন্য শপথ চালু।
২) বাস্তবসম্মত বাৎসরিক পুলিশ বাজেট প্রনয়ন, নিয়োগ, ট্রেনিং, বদলী, পদন্নোতিতে থাকতে হবে কঠোর সচ্ছতা। ঘুষবিহীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যোগ্যদের চাকুরী নিশ্চিত করা। বিশাল অংকের ঘুষ দিয়ে যারাই চাকুরীতে আসবে অন্তত দেশ জনগনের কল্যাণে কাজ না করায় সাভাবিক। সকল নিয়োগ ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশন(পি.এস.সি.)। বিষয়টি দ্রুত সমাধান সম্ভব না হলেও বর্তমানে যে ধারায় নিয়োগ হচ্ছে সেখানে অবশ্যই দুদক, এনএসআই, ডিজিএফআই ও সাংবাদিক সম্পৃক্ত করা। মেধা প্রতিভার যোগ্যতার অবশ্যই মূল্যায়ন করা। পদ পদবী, পোষ্টিং বেচাকেনা হলে দায়িত্ব বেচাকেনা হবেই। অসম বৈশম্য নীতিতে বিচ্যুতি ঘটবেই। ২% অসৎ চাকুরীজীবিদের জন্য চাকুরী সুরক্ষা আইন ২০১৮ প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে জনবল বৃদ্ধি সহ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা অর্ধেক নারী। তাই ঝুঁকি পূর্ণ এ বিভাগে নারীদের যোগ্য ক্ষেত্র তৈরী করা। যেহেতু সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছায় নারীরা সুন্দর বৈষম্যে তৈরী। সেই সাথে সকল নিরাপত্তা বাহিনীতে শতকরা হিসেবে পর্যাপ্ত নারী সৈনিক সুযোগ তৈরী করা। প্রতি বছর বডি টেষ্ট বাধ্যতামূলক।
৩) একজন পুলিশ সদস্য কখনই সাধারন চাকুরীর সাথে তুলনা করা যাবে না। দেশ ও জনগনের মহা কল্যানে সর্বদা জীবন দিতে প্রস্তুত থাকতে বাধ্য থাকে। সাধারণ চাকুরীর সাথে তুলনা নয় পূর্ণ সতন্ত্র সকল সৈনিক বিভাগের জন্য একমুখী বেতন নুন্যতম স্কেল ১৬,৫০০/- টাকা বিবেচনা করা। বাড়ি ভাড়া কর্তন সর্বনিম্ন ৫% থেকে সর্বোচ্চ ২০% করা। কাজের দায়বদ্ধতা, সচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং অনুপ্রেরণা সরুপ অবশ্যই বেতনের পাশাপাশি সম্মানজনক ভাতা সংযোজন করতে হবে। আইজিপি পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা। ‘পুলিশ ব্যাংকের’ নতুন এবং পুরাতন প্রতোক সদস্যকে বংশ পরাক্রম মালিকানা শেয়ার কার্ড প্রদান। ২০হাজার কোটি টাকার ডিপোজিট ফান্ড গঠন, পদপদবীতে পার্থক্য থাকবে কিন্তু সবাই সৈনিক সেই সূত্রে যোগ্য মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চত করতে হবে। ধুমপান মুক্ত সকল প্রশাসন চাই এবং প্রতিবছর ড্রাগ টেষ্ট বাধ্যতামূলক করা।
৪) চাকুরীর মেয়াদ ১৮-২৪ বছর পর্যন্ত সকল সৈনিক বিভাগের জন্য প্রযোজ্য হবে। আজীবন সেবা কার্ড চালু যেখানে যাতায়াত সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা, রেশিনিং সুবিধা (স্বামী-স্ত্রী) জীবত পর্যন্ত ফ্রি থাকবে। বছরে ছয় সেট উন্নত ড্রেস প্রদান। মানসম্মত সমহারে আজীবন রেশন চালু, এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে পরবর্তী সকল সদস্যর জন্য হবে। নিয়োগ, বদলি, পদন্নোতী, অডিট, টেন্ডার এবং ক্রয় পদ্ধতি কঠোর ভাবে দূর্ণীতিমুক্ত এবং সচ্ছতা নিশ্চিত করা। পুলিশের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে পুলিশ আইন একটি শর্ট লিফলেট বিতরণ চালু।
৫) সকল নিরাপত্তা বিভাগের জন্য সাম্যতার ভিত্তিতে অবশ্যই ফ্রেশমানি চালু করা। ট্রেনিং ভাতা বৃদ্ধি করা, ওভার টাইম চালু , বীমা পলিসি চালু , ৭২ ঘন্টার মধ্যে কর্মে থাকা অবস্থায় নিহত ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ টাকা, পঙ্গু ক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ টাকা প্রদান, চিকিৎসা ব্যয় সাপেক্ষে নিশ্চিত করা এবং অটো প্রদান। স্বাধীনতার পরবর্তী আজ পর্যন্ত সকলেই এই সুবিধার আওতায় আসবে। মৃত্যু অথবা অবসরের ৩ মাসের মধ্যে যাবতীয় প্রাপ্য সুবিধা পরিশোধ করা।
৬) সুনির্দিষ্ট কর্মঘন্টা চালু, বাধ্যতামুলক ছুটি চালু , ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি, টিফিন ভাতা বৃদ্ধি, ওভারটাইম ভাতা, স্বাক্ষী ও ট্যুর ভাতা মানসম্মত অগ্রিম প্রদান। পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষন আর্মি সমপর্যায়ে নিয়ে আনা। প্রশিক্ষন সময়ে যেন কোন ধরনের দূর্নীতির সুযোগ না থাকে, অনেক অভিযোগ আছে। দেশপ্রেম চেতনা বৃদ্ধি করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনি, ৭ই মার্চের ভাষন সহ গুরুত্বপূর্ন বাণী উপস্থাপন। প্রতিটি বিভাগে আধুনিক ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা। ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন সর্বাধুনিক ভাবে গতে তোলা সহ আধুনিক হোস্টেল নির্মান। প্রতিটি বিভাগে গড়ে তোলা। ব্যয় হলেও যেন বিলাসী অপচয় না হয়। চাকুরীতে প্রথম প্রশিক্ষন, যোগদান থেকে যদিকেউ মৃত্যুবরণ করে বা আজীবন পঙ্গু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা তার পরিবার পাওয়ার আইনি সুব্যবস্থা করা, বিতর্কীত মৃত্যু ব্যাতিত। সকল চাকুরীর ক্ষেত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা। যেহেতু মৃত্যুর কোন সময় অসময় নেই। পুলিশ ও চিকিৎসা বিভাগে শুক্র ও শনিবার ওভারটাইম সুবিধা চালু করা। পুলিশ সেবা দেয়, অপবাদ নেয় কিন্তু সমস্যার কথা কেউ বলে না। থানায় জিডি এবং কেস করার পর পুলিশ কোন অবস্থায় ভিকটিমকে ভয়ভীতি হ্যারেজ করতে পারবে না। থানায় এনে মার-ধর ভয়-ভীতি দেখানো যাবে না। থানার প্রতিটি কক্ষ সহ আসামীকে বা ভিকটিমকে যে স্থানে রাখা হবে সেখানে অবশ্যই শক্তিশালী সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রন থাকবে। যেটা এসপি ও ডিআইজি দেখভাল করতে পারবে। হ্যন্ডকাপ পরানো এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে নেওয়া কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে তা নতুনভাবে আইন করা। নিরাপত্তা সংস্থাগুলীর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গভীরভাবে বাড়াতে হবে। দেশ এবং জনকল্যাণই মুখ্য বিষয়। যারা আইনকে পুঁজি করে অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। “পুলিশ আইন” সংক্ষেপে লিফলেট বিতরণ অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আলাদা শাখা গঠন।
৭) এসিআর, অডিট ও ক্রয় ব্যবস্থাপনাই যুগোপযোগী সংস্কার, বিপুল অংকের কল্যান ফান্ডের টাকা ব্যবহার সচ্ছতা নিশ্চিত করা। জেলা পর্যায় থেকে ১-৫লক্ষ টাকা ঋণ সুবিধা চালু করা। পুরষ্কারের ক্ষেত্রে অবশ্যই তৃণমুলকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সম্মানজনক পুরষ্কার রাখা। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপি পদক চালু আছে। তিনটি পদকেই নুন্যতম প্রাইজমানি ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা। তেমনি পূরস্কার প্রাপ্তদের সম্মান সরূপ ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে ইনক্রিমেন্ট ভাতা বৃদ্ধি করা।
৮) প্রতিটি থানা কার্যালয়ে আধুনিক অফিসরুম, হলরুম, ওয়েটিংরুম, ওয়াশরুম, বিশুদ্ধ পানি, পর্যাপ্ত বসার স্থান সুবিধা তৈরী করা। একই মডেলের আধুনিক থানা গড়ে তোলা, আধুনিক থানা পুলিশ কলোনী গড়ে তোলা। পুরো থানা ডিজিটাল আওতায় থাকবে। একসাথে থাকা, একসাথে দায়িত্ব পালন। মাদক, ভেজাল, নকল, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ টিম, র্যাব, দুদক ও সংবাদ মাধ্যমের নের্তৃত্বে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ চাই। পুলিশের দার্র্য়িত্ব পরিধি আরো বাড়াতে হবে।
৯) সৎ যোগ্য এসপি, ওসি, জেলা ও থানায় পোষ্টিং নিশ্চিত করা। থানার জন্য পর্যাপ্ত যানবহন সুবিধা বৃদ্ধি যেখানে ন্যূনতম ওসি ছাড়াও ৩টি হেভি পিকআপ, ৪টি লেগুনা, অত্যাধুনিক এ্যামবুলেন্স এবং ৪টি মটরবাইক। ডিবি, ডিএসবি, সিআইডি জন্য আলাদা এসি হাইচ গাড়ী। থানার অস্থায়ী আসামী কক্ষ অবশ্যই মানসম্মত করা সহ খাবার ব্যবস্থা রাখা। বাধ্যতামূলক প্রতিটি সদস্যের জন্য মার্শালআর্ট, গাড়ী, কম্পিউটার প্রশিক্ষন এবং রক্তদান কর্মসূচী চালু করা।
১০) জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, জেলা জজ এর জন্য স্বাধীন ঐচ্ছিক ব্যয় বাবদ নুন্যতম ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া। যা দিয়ে আদর্শ সমাজ তৈরীতে ক্রীড়া, সাংস্কৃতি, মাদক প্রতিরোধ ও উন্নয়নে অনুপ্রেরণামূলক কাজ করতে পারে। দীর্ঘদিন বিনা বিচারে জেল খাটা আসামী বেকুসুর খালাস প্রাপ্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা রাখা। পুলিশ সুপারের জন্য নুন্যতম ২টি আধুনিক গাড়ি। এএসপি ও এএসপি সার্কেল, ওসির জন্য আধুনিক গাড়ি সহ সরকারী আধুনিক আবাসন সুবিধা। মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর কার্যক্রম পুলিশ বিভাগে সরাসরি সমন্বয় করা। পুলিশের সকল রেঞ্জ, মেট্রোপলিটিন, হাইওয়ে থানা, বিশেষায়িত ইউনিট সহ সকল ধরনের ইউনিট ও থানা যুগ উপযোগী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গড়ে তোলা।
১১) পদমর্যদাই মতপার্থক্য থাকলেও যেন পারিবারিক জীবন ধারাই ব্যাপক বৈষম্য না থাকে। যুগোপযোগী শপথ পত্র তৈরী এবং নিয়মিত অনুশীলন, ৫ বছর অন্তর ব্যক্তিগত ও কর্মবৃত্তান্ত নবায়ন। উদ্দেশ্য একটি জনকল্যান। জনগণের কষ্টের অর্থে এ দেশ চলে (বাণী- বঙ্গবন্ধু)।
১২) বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর দর্শনে একটি আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বিভাগ গড়ে তুলতে ওসি পদটি গেজেটেড পদমর্যাদা করা হলেও এখনও পূর্ণ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি, যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা। তেমনি ওসি থেকে এএসপি পর্যন্ত যোগ্যতা দক্ষতার মূল্যায়নে পদমর্যাদা পদোন্নতি ক্ষেত্রে সার্বিক অভিজ্ঞাতার আলোকে ৮০% এবং সরাসরি ২০% সুযোগ থাকা প্রয়োজন। ওসি পদ বিসিএস পদমর্যাদা করা, ওসি পর্যন্ত নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান। একই গ্রেডে দুই বার পদন্নোতি হতে পারে না। তেমনি পদন্নোতি বিলম্বিত হলেও জৈৗষ্ঠতা অনুযায়ী সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করা। সবার জন্য ছোট অস্ত্র ব্যবহার চালু। বিদেশ মিশনে সিনিয়ারটি অনুস্বরণ করা। যেখানে মহিলা পুলিশ, বিজিবি, জেল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং আনছার যেন সুযোগ পাই। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী বিজিবি, জেল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বিভাগে নারীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা।
১৩) গুরুত্বপূর্ণ ওসি তদন্ত পদটি পরিপূর্ণ ভাবে চালু করা। শান্ত প্রিয় মানুষ থানা বা কোর্টে যেতে ভয় ও লজ্জা পায় কিন্তু দুষ্টু মানুষেরা থানা ওকোর্ট তাদের রুটি রুজির পথ করে নিয়েছে। তাই ওসি তদন্ত পথটি পূর্ণভাবে সাজিয়ে কেস করতে আসা প্রার্থীদের সরাসরি মামলা না নিয়ে দায়েরীভুক্ত করে ওসি তদন্ত টীম সরোজমিনে সত্যতা যাচাই করে মামলা এজহার ভুক্ত করবে। বিষয়টি অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্দ্যেগ হবে। পুলিশের কোর্ট জিআরও শাখাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই লোকবলসহ দক্ষ ও সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। জিআরও কোর্টে যানবাহন মামলাগুলোর বছরের পর বছর চলার কারণে আটককৃত দামী যানবাহনগুলো নিরাপদে রাখতে না পেরে রোদ বৃষ্টিতে সম্পদগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে টিনসেট গোডাউন রাখার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও জেলা উপজেলা পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন অফিসে আইনি জটিলতার কারণে অচল যানবাহন বছরের পর বছর ফেলে রেখে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র হারাচ্ছে রাজস্ব। এক্ষেত্রে আইনী জটিলতা দূর করে ডিসির মাধ্যমে নিলাম করার সুব্যবস্থা করা এবং সহজভাবে মালিকানা পরিবর্তন সুযোগ রাখা। অন্যত্র বদলী হবার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই যেন বেতন উত্তোলন সমস্যা দূরীকরণ হয়। অটো ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরন। নিরাপত্তা বিভাগের সকল সৈনিকদের বছরে এক বার বাধ্যতামূলক রক্ত দান কর্মসূচী চালু। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে সেবা প্রদান। শক্তিশালী পুলিশিং কমিটি গঠন এবং ওপেন হাউজ ডে এই দুটি বিভাগ নিয়মিত প্রতি মাসে চালুরাখা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিয়মিত স্কুল কলেজে মৌলিক মানবাধিকার, আইন, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম বিষয়ে পাঠ্যসূচি চালু করা ও প্রশিক্ষন প্রদান। পুলিশের সমন্বয়ে ইউনিয়ন আদালত শক্তিশালী করা। প্রতিদিন শপথ পাঠ কার্যক্রমটি চালু এবং প্রদর্শন রাখা। সকল সৈনিক বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি পালন এক নীতি হওয়া প্রয়োজন।
১৪) এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে কোন পুলিশ সদস্য আইনের ভয় দেখিয়ে যেন জনগনকে জিম্মি করতে না পারে। তেমনি জনগন যেন নির্ভয়ে অভিযোগ এবং চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কোন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা অবশ্যই সাথে সাথে গ্রহন করা এবং অতি দ্রুত আস্থাশীল তদন্ত এবং পদক্ষেপ গ্রহন। পুলিশের জন্য ভ্রাম্যমান পরিদর্শন ও বিশেষ আদালত গঠন। সকল ধরনের সরকারী বিশ্বাবিদ্যালয় এবং সরকারী চাকুরী, গণমাধ্যম, আদালত, ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বিরোধী প্রজন্ম যেন সুযোগ না পাই। অনেক আগেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া উচিত ছিল। প্রত্যেক পুলিশের জন্য উপজেলা থেকে রাজধানী পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী ঋণে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা। চাকুরি ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন সার্টিফাইড অত্যান্ত কঠোর হতে হবে।
১৫) প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে আধুনিক বহুতল আইসিক্যাম্প স্থাপন সহ সকল ধরনের থানা বৃদ্ধি করা। পুলিশ বিভাগের নতুন এমন শাখা খোলা সহ সকল শাখা আধুনিক ভাবে গড়ে তোলা। তেমনি সময় উপযোগী সাম্যতার ভিত্তিতে সম্মানজনক সুযোগ সুবিধা আর কঠোর জবাব দিহিতায় প্রথম থেকে শেষ ধাপ পর্যন্ত আস্থাভাজন ভাবে আধুনিক স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনকল্যানই হবে মুখ্য বিষয়। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহর ও নদী অঞ্চলের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা বরাদ্দ রাখা। পরীক্ষামূলক নদী অঞ্চলে আধুনিক ভাসমান শীপ বা জাহাজ থানা চালু।
১৬) গ্রহণযোগ্য মতামতে আগামী ২০৫০ (২০৪১) সাল এবং ফিউচার প্লান (ডেলটা প্লান ২১০০) সামনে রেখে স্থায়ীভাবে স্বাধীন আধুনিক পুলিশ বিভাগ গড়ে তুলতে বিশ্বের সর্বাধুনিক টেকশই সুপার মাষ্টার প্লান প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন। পুলিশ যেন ব্যক্তির বা গোষ্টির অঢেল ক্ষমতা সম্পদের লাঠিয়াল বাহিনী না হয়। জনগণের এবং বিচার বিভাগের এখনো আস্থার জায়গা র্যাব। র্যাবকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞাতা মাঠ পর্যায়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জনে কাজে লাগানো। একটি দূর্ণীতি মুক্ত আস্থা ভাজন জনগনের মানবিক পুলিশ বিভাগ চাই। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের পুলিশ বিভাগ চাই।
১৭) শক্তিশালী উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভ্রাম্যমাণ মনিটরিং টিম গঠন। পুলিশ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নম্বর প্রতিটি থানা এবং সকল প্রতিষ্ঠানে রাখা। ঞযধহশ'ং মরভঃ গ্রহণযোগ্য হতে হবে। ৯৯৯ সেবাটি আরো গতিশীল এবং আস্থাশীল করতে হবে। প্রতি বছর প্রতিটি জেলা এবং থানায় “পুলিশ কল্যান বাঙালী সাংস্কৃতি মেলার” আয়োজন করা। এছাড়াও এনএসআই, ডিজিএফআই, বিজিবি, বাংলাদেশ জেল, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম পুলিশ, ৪র্থ স্তম্ভ সাংবাদিক এবং স্বাধীন কমিশনগুলো আস্থাশীল এবং ফিউচার প্লানে গড়ে তোলা। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল চলতি বছর করোনা ভাইরাসে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে দেশব্যাপি পুলিশের জীবনবাজী রাখা শপথ, দায়িত্বের সাথে পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, যা দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই, এটিই প্রকৃত শপথ। যারা জীবন উৎসর্গ করেছে কোভিড-১৯ সেবা দিতে গিয়ে তাঁদের সর্Ÿোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা। দায়িত্ব ও কর্তব্যে সফলতা অর্জনে টেলিফিল্ম তৈরী করা। পুলিশ সহ প্রত্যেকটি কার্যালয়ের নিজস্ব ফেইসবুক পেইজ চালু। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে দূর্ণীতি প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অধীনে একটি বহুমূখী শক্তিশালী চৌকশ টিম গঠন।
১৮) জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশে সশস্ত্র, পুলিশ বাহিনী ব্যপক প্রশংসা রেখে চলেছে এবং সব চেয়ে বেশি সংখ্যায় অবদান রেখেছে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে পৃথিবীর যেসব সৈন্যরা এবং সদস্যরা অবদান রেখেছে এবং রেখে চলেছে তাদের “ইন্টারন্যাশনাল ফোর্স এন্ড ওয়ার্ল্ড ফিড্রম ফাইটার” উপাধি দেওয়া। আমৃত্যু প্রতিটি সদস্য প্রতি মাসে ১০০ ডলার বা বছরে ১২০০ ডলার পাবে সুযোগ রাখা। আন্তর্জাতিক ফোর্স হিসাবে আইডি কার্ড থাকবে। পৃথিবীর যে কোন দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করার সুযোগ রাখা। নিজ নিজ দেশে আন্তজার্তিক ফোর্স হিসাবে সম্মান সরুপ তাঁদের ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ইনিক্রমেন্ট বেতনের সাথে যুক্ত করা। বিষয়টি জাতিসংঘ মিশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
১৯) চঙখওঈঊ শব্দগুলির চমৎকার অর্থ প্রত্যেক জেলা ও থানা কর্যালয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার আকারে প্রদর্শন।
এমএসএম / এমএসএম

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে তিস্তা পাড় বাসীর প্রত্যাশা

বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতি

রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী নেত্রী খালেদা জিয়া

সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব

ইউরোপ, আমেরিকার ফাটল এখন কাঠামোবদ্ধ রূপ পাচ্ছে

কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত

গত ২৫ বছরে বাংলাদেশে বেকারত্বের তথ্যচিত্র এবং পরিসংখ্যানগত তুলনামূলক বিশ্লেষণ!

শুভ নববর্ষ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ও আমাদের প্রত্যাশা

আর কত রক্ত, আর কত সময় দিলে সুন্দর হবে বাংলাদেশ?

বিশ্ব নেতৃত্বের পালাবদল ও গণতন্ত্রের অবনমন

নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হোক ঈদযাত্রা
