ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বালাগঞ্জ যুব উন্নয়ন সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতি


বালাগঞ্জ প্রতিনিধি photo বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪-১০-২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অফিস না করা, সরকারি গাড়ী ও মালামাল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা, দীর্ঘদিন ধরে বাভবনের ভাড়া না দেওয়া, অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নিজ স্ত্রীকে প্রশিক্ষক বানিয়ে বিল উত্তোলন সহ নানান অনিয়ম দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে। 

সূত্র জানায়, মো. আব্দুর রহিম দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে বালাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে সহকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকার সুবাদে বানিয়েছেন অর্থের পাহাড়। অফিসের একমাত্র সর্বেসর্বা তিনি। কেউ তার বিরুদ্ধে গেলে অর্থের লোভ দেখিয়ে মীমাংসা করা যেনো তার চিরাচরিত এক অভ্যাস। এবার জাগ্রত সিলেটের কাছে আসা কিছু অর্থ ক্যালেকারির তথ্য। চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিভিন্ন ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরী করে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন আব্দুর রহিম। সপ্তাহে দুই-এক দিন এক মহিলাকে ২০-৩০ টাকা দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে পরিচ্ছন্নতার নাম করে প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা বিল তুলেছেন এই কর্মকর্তা। কম্পিউটার, মনিটর, বিদ্যুৎ, চেয়ার, আলমারি, স্টাম্প, সীল ইত্যাদি ক্রয় না করে মোটা অংকের বিল উত্তোলন করেছেন এই সর্বেসর্বা। 

আরো জানা যায়, আব্দুর রহিমের স্ত্রী-সন্তানাদি সিলেট থাকেন। সেখানে যাতায়াত করতে ব্যবহার করেন সরকারি গাড়ী এবং গাড়ীর তৈলের বিল উত্তোলন করে আসছেন মাসের পর মাস। নিজ স্ত্রী যদিও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। তারপরও প্রশিক্ষক দেখিয়ে মোটা অংকের বিল উত্তোলন করেন এই কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ তুলে পরিশোধ করেন না এই দম্পতি। সপ্তাহে দুই-একদিন অফিস করেন রহিম। সেবা গৃহীতারা ফোন দিলে, নিজ বাসায় থেকে তিনি জানান, অফিসের বাইরে, ফিল্ডে, ব্যাংকে, জেলার মিটিংয়ে রয়েছি। তাও প্রতিদিন করেন আপ্যায়ন বিল। ফিল্ডে এত কাজ করলে ২১ লক্ষ টাকা ঋণ খেলাপী কেন?  

প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হকের উপস্থিতিতে- বালাগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক বালাগঞ্জ বার্তার সম্পাদক শাহাব উদ্দিন শাহিন, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়টি তুলে ধরলে এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সামস্ উদ্দিন সামস, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভূলন সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা বিষয়টির তদন্ত পূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। 

বাসা ভাড়া না দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমার কোনো ভূল নেই। সব অভিযোগ মিথ্যা। সরকারি কাজে গাড়ী ব্যবহার করি তেলের খরচ আমি দেই, অফিসও দেয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক বলেন, এ ব্যাপারে অবগত আছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এমএসএম / এমএসএম

রাজবাড়ীতে বাড়ি থেকে মাকে বের করে দিল ছেলে-পুত্রবধূ!

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে সিএসও