ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার কারা হেফাজত থেকে পালালেন মহিলা আসামী


শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার photo শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ২৫-১০-২০২৩ রাত ১১:৪

কক্সবাজার জেলা কারাগারের হেফাজতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদা বেগম (৩৫) নামের এক আসামী পালিয়েছেন।এদিকে কারা হেফাজত থেকে আসামী পালানোর ঘটনায় জেলা জুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আলোচিত এ ঘটনায় জেল সুপারসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

বুধবার ২৫ অক্টোবর বিকাল ৫ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান ওই নারী।রাশেদা বেগম (৩৫) উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের উত্তর পুকুরিয়া এলাকার নজরুল হোসেনের মেয়ে। তিনি গত ১০ অক্টোবর উখিয়া থানার একটি অপহরণ মামলায় কারাগারে রয়েছেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা সুপার মোঃ শাহ আলম খান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে রাশেদা বেগম নামে এক আসামী অসুস্থ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ইকবাল ও ইশরাত নামের দুই কারারক্ষী তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি দেন। পরদিন বিকাল ৫টার দিকে কারারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই আসামী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক খোজাখুজি করার পরেও কোন হদিস মেলেনি ওই আসামির। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, রাশেদা বেগম অপহরণকারী চক্রের সহযোগী। তিনি বিভিন্ন ছেলেকে প্রেমের প্রলোভনে ফেলে টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেন। সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর আব্দুল খালেক ও আব্দুল মালেক নামের দুই ব্যাক্তিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়ন মহেশখালীয়া পাড়ায় ৬ দিন আটক রেখে তাদের পরিবারের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন।

এ ঘটনার পর গত ১০ অক্টোবর উখিয়া কোটবাজার সোনারপাড়া রোডে রুমখা কুলালপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা ওই মহিলাকে আটক করেন। পরবর্তীতে তারা উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে রাশেদা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন অপহরণ মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় দেখা যায় হয়তো কোর্ট পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামি পালিয়ে যায়। নয়তো কারাগার থেকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা আসামিরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসারত অবস্থায় পালিয়ে যায়। এখানে আসামিদের অভিযুক্ত করে লাভ নেই কারণ ওরা অপরাধী ওরা চাইবে সবসময় তাদের সুবিধা মতো কাজ করতে বা পালাতে। কিন্তু এসব চিহ্নিত অপরাধীদের যারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কারাগার থেকে নিয়ে আসার কথা তাদের ভূমিকা কি সেটি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। কারারক্ষীদের টাকা দিলে একজন অপরাধীকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিতে শুনা যায়। তদন্ত করে দেখলে ঠিকই দেখা যাবে পালিয়ে যাওয়া নারী আসামিকেও বিশেষ কোন সুবিধা দিয়েছিল যেটিকে কাজে লাগিয়ে সে পালাতে সুযোগ পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এইভাবে যদি অপরাধীরা পালিয়ে যায় তাহলে মামলার বাদীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ওই পলাতক আসামী যদি মামলার বাদীর কোন ক্ষতি করে এর দায় কি কারা কর্তৃপক্ষ নিতে পারবে। তাই অবিলম্বে জেল সুপারসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন এইচ এম নজরুল ইসলাম।

এমএসএম / এমএসএম

কোন লুটেরা, চাঁদাবাজ ও বল প্রয়োগকারীকে ভোট দেবেন না; গণসংযোগে রাশেদ খান

খানসামা টিটিসিতে ধর্মীয় বৈষম্য–নির্যাতনের অভিযোগ: জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে তদন্ত আবেদন

কেরুজ ভোটের দাবীতে আন্দোলনের শুরুর দিনেই দুপক্ষের মারামারি

নওগাঁয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ধলু’র উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

নৈয়াইর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাহার

রামগঞ্জে যুবদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে বিএনপি কর্মী খুন

ঠাকুরগাঁওয়ের ফকিরপাড়া থেকে মটরসাইকেল চুরি : মামলা

কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগে সরব জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার

কর্ণফুলী'তে হত্যা'সহ একাধিক মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি সাজু হাসান গ্রেপ্তার

শীতের আগমনে লেপ তোষকের ব্যস্ততা; পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে ধুনকরদের শীতের বাজার

কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

আত্রাইয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সেনা সদস্য নিহত