ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পঞ্চগড়ে আবাসন প্রকল্পের সাড়ে ৫২মে:টন গম আত্মসাতের অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে


সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড় photo সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ১-১১-২০২৩ দুপুর ২:৪৫
পঞ্চগড়ে সাড়ে ৫২মেট্রিকটন খাদ্যশস্য (গম) আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার ইউএনও মো.আরিফ হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেন ও কার্য সহকারি আবু হানিফের বিরুদ্ধে। পঞ্চগড়
সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের গয়পানি গ্রামের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঘর নির্মানের জায়গায় মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও কোন প্রকার মাটি ভরাট না করেই পুরো সাড়ে ৫২ টন গম বিক্রি করে অর্থ আত্মসাত করেছেন।যার বাজার মূল্য প্রায় ছিল ২০ লাখ টাকা। এমনকি প্রকল্পের সভাপতি পর্যন্ত জানেন না তার নামে প্রকল্প নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রকল্পের সভাপতি তৎকালীন চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাত হোসেন।
 সম্প্রতি এসব তথ্য উঠে এসেছে দৈনিক দৈনিক সকালের সময়ের অনুসন্ধানে।
বর্তমানে ওই ইউএনও নাটোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি শাখার দায়িত্বে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়,২০২০-২১ অর্থ বছরে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মানের জন্য আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নে মাটির কাজ বাস্তবায়নের জন্য, সদর উপজেলার আবাসন প্রকল্পে জেলা প্রশাসক উপজেলা পর্যায়ের চাহিদার বিপরীতে সোনারবান আবাসনে-৩০.৮৭৫ মেট্রিকটন, নালাগঞ্জে-২৪.৫০০ ও গয়পানিদিঘী-৫২.৫০১ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য (গম)উপ-বরাদ্দের আদেশ জারি করা হয়। প্রতিটিতে আবাসন প্রকল্পে কম-বেশি মাটি ভরাট করলেও চাকলা হাট ইউনিয়নের গয়পানি দিঘী নামের আবাসন প্রকল্পে, কোন মাটি ভরাট না করেই পুরো অর্থ লোপাট করেছেন বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা।
গয়পানি দিঘী আবাসন প্রকল্প এলাকার হবিবর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে পুকুরটি খুঁড়ে চতুরপাশে পাড় বেঁধে দেয়,সেখানে আমরা বাড়ি করি।অনেকে এখান থেকে মাটি দুরে নিয়ে গেছে। ঘরের জায়গায় আধা পাকা ঘর করে দিয়েছেন। কিন্তু কোন মাটি ভরাট করতে হয়নি।
একই কথা বলেন, প্রকল্প এলাকার আল আমিন, সাবিনা, পারুলসহ একাধিক ব্যক্তি।
গয়পানিদিঘী আবাসন প্রকল্পে মাটির কাজ বাস্তবায়নের সভাপতি তৎকালীন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন জানান, ওই আবাসন প্রকল্প  উঁচু সেখানে মাটির কোন প্রয়োজন নাই। এমনিতেই ঘর নির্মান করা হয়েছে। নিজে প্রকল্পের সভাপতি কথা শুনে অবাক তিনি।
তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেন জানান,
আমি সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলাম। কাজ করছে কি-না ইউএনও স্যার,আর প্রকল্প অফিসের কার্য সহকারী আবু হানিফ বলতে পারবেন। তবে আবু হানিফ জানান,ইউএনও স্যার ওই প্রকল্প এলাকার কিছু মানুষকে দুই হাজার, পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছিল ঘরে মাটি ভরাট করার জন্য।
এব্যাপারে তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)নাটোর,মো.আরিফ হোসেন জানান,ওই বিষয়ে আপনাকে বলার মতো কিছু জানিনা। দুই-আড়াই বছর আগে চলে এসেছি তা-কি এখন মনে আছে।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্প যেহেতু আগের সেটা বলতে পারবোনা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যাবে।

এমএসএম / এমএসএম

মধুখালী বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

নড়াইলের লোহাগড়ায় শ্রমিক অধিকার পরিষদের পরিচিতি সভা

চৌগাছায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা

নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ সাইবারস্পেস নিশ্চিত করতে কর্মশালা

বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে সভাপতি সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক মিলন

নাঙ্গলকোটে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

পাবিপ্রবিতে ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালা

বেনাপোল চেকপোষ্টে কুলি শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে ধলাই নদী পরিষ্কার পরিছন্নতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

সিনেমা হলের শেষ গল্প: তাজ সিনেমা হল থেকে স্মৃতি হারাচ্ছে দর্শক

হাটহাজারীতে শারদীয় দূর্গা পূজার ১১৮টি মন্ডপে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি

মাদারীপুরে মানব কল্যাণ সংগঠনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প