ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আত্রাই নদীর পাড় এখন ময়লা-আবর্জনার স্তূপ


আত্রাই প্রতিনিধি photo আত্রাই প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১-১২-২০২৩ বিকাল ৫:১০

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত আত্রাই নদী। এই নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ হাজারও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এ সকল বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নদীর পাড়ে প্রতিনিয়ত ফেলছে ময়লা-আবর্জনা‌। এতে একদিকে দূষিত হচ্ছে নদী, নষ্ট  হচ্ছে পরিবেশ। পাশাপাশি ভরাট হচ্ছে নদী, নদীপথ দিন‌ দিন হয়ে যাচ্ছে সরু। নদী ভরাট হয়ে গেল সেই জায়গাও হচ্ছে বেদখল। এ ক্ষেত্রে নদীদূষণ রোধে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আত্রাই নদী ও গুড় নদী এবং বর্তমান বুড়িগঞ্জ খাল যার নাম আগে (আত্রাই বড় নদী) নামে পরিচিত ছিল। এ সকল নদীও খালের পাড়ে সাহেবগঞ্জ বাজার, আত্রাই নতুন বাজার, আত্রাই ব্যবসায়ী বাজারসহ অনেক বাজার গড়ে উঠেছে। এ সকল বাজারের আত্রাই সেতুর নিচে, বুড়িগঞ্জ খালের মুখে, রেলওয়ের স্টেশনের নিচে, সাহেবগঞ্জ ব্রিজের ধারেসহ নদীর বিভিন্ন স্থানে বাজারে মাছ মাংসের দোকান, কাঁচা তরিতরকারির দোকান, চায়ের দোকানসহ নানা ধরণের দোকান রয়েছে। এসব দোকান থেকে প্রতিদিনের পচা খাবার, দইয়ের খালি বাটি, ডিমের খোসা, পলিথিন, মুরগির নাড়ি-ভুঁড়ি, জুসের বোতল, চায়ের দোকানের ছাইসহ নানা ধরনের আবর্জনা প্রকাশ্যেই ফেলছেন নদী ও খালে। এসব আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এখানে বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেই। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। এখন নদী পাড়ে এবং খালের মুখ ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নদী রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যেকোনো মূল্যে নদীদূষণ বন্ধ করতে হবে। এবং যারা নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, নদীর পাড়ে এসব আবর্জনা থেকে মাঝেমধ্যেই অনেক দুর্গন্ধ ছড়াই। এতে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরে জনসাধারণ।

এদিকে উপজেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরর্শেদ আলম পল্টু বলেন, আমি বাজারের হোটেল ও ফল দোকানিদের নদীর পাড়ে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করেছি, তার পরেও গোপনে বা রাতে কে কখন নদীতে আবর্জনা ফেলে তা আমার জানা নেই। তবে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আগে অনেকবার এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আত্রাই সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম পিন্টু বলেন, "নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেললে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হয়, তেমনি হুমকির মুখে পড়বে জীববৈচিত্র্য। তাই নদী রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি"।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন,
নদীতে ময়লা-আবর্জনা থাকলে মাছের প্রজনন বন্ধ হয়ে যায়। কোন কোন সময় দেশী প্রজাতির মাছ মরে নদীতে ভেসে ওঠে । এই বর্জ্য আবর্জনা অপসারণের জন্য জনসাধারণ ও প্রশাসনের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রোখসানা হ্যাপী বলেন, ময়লা-আবর্জনা নদীর পানিতে মিশে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়ায়। মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএসএম / এমএসএম

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন